নিজস্ব প্রতিবেদকঃ মহাকাশের মধ্য দিয়ে পুনরায় নিজের যাত্রা শুরু করার আগে, পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণের প্রভাবে ধরা পড়ছে ছোট একটি গ্রহাণু। এটিকেই বলা হচ্ছে ‘মিনি-মুন’ বা পৃথিবীর ‘দ্বিতীয় চাঁদ’, যা রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) থেকে দৃশ্যমান হচ্ছে বলে জানা গেছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করবে গ্রহাণুটি।
এদিকে দ্বিতীয় চাঁদের এই উপস্থিতি নিয়ে অনেকের মধ্যেই ব্যাপক কৌতুহল সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশ কিংবা বিশ্বের অন্য কোনো দেশ থেকে এই ‘মিনি-মুন’ দেখা যাবে কি না, তা নিয়েও মানুষের আগ্রহের কমতি নেই।
তবে বিজ্ঞানীরা বলছেন, দুর্ভাগ্যবশত, আকারে ছোট হওয়ায় এবং উজ্জ্বলতার অভাবের কারণে এটি খালি চোখে দৃশ্যমান হবে না। এমনকি দূরবীন বা হোম টেলিস্কোপ দিয়েও এটি দেখা যাবে না। মিনি-মুনের এক ঝলক পেতে হলেও প্রয়োজন হবে পেশাদার সরঞ্জাম।
‘অওসাম অ্যাস্ট্রোনমি পডকাস্টের’ হোস্ট ড. জেনিফার মিলার্ড সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে বলেছেন,
পেশাদার টেলিস্কোপগুলো মিনি-মুনের ছবি ধারণ করবে। আপনি এই ছোট গ্রহাণুর বিস্ময়কর ছবিগুলো অনলাইনে দেখতে পাবেন, যা তারাকে অতিক্রম করছে।
এর আগে গণমাধ্যমের খবরে জানা যায়, নাসা অর্থায়িত অ্যাস্টেরয়েড টেরেস্ট্রিয়াল-ইমপ্যাক্ট লাস্ট অ্যালার্ট সিস্টেম (অ্যাটলাস) ব্যবহার করে, গত ৭ আগস্ট ‘২০২৪ পিটি৫’ নামের গ্রহাণুটি শনাক্ত করা হয়।
আমেরিকান অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির রিসার্চ (আরএনএএএস) নোটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুসারে, গ্রহাণুটি খুব বেশি বড় নয়। এটি মাত্র ১০ মিটার (৩৩ ফুট) ব্যাস বিশিষ্ট। পৃথিবীর চারপাশ প্রদক্ষিণে ‘২০২৪ পিটি৫’ তার ৫৩ দিনের মেয়াদে সম্পূর্ণ কক্ষপথ ঘুরতেও সক্ষম হবে না।
কার্লোস দে লা ফুয়েন্তে মার্কোস এবং রাউল দে লা ফুয়েন্তে মার্কোস রচিত আরএনএএএস রিপোর্টে বলা হয়েছে, পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণের একটি প্রবণতা রয়েছে গ্রহাণুগুলোকে আকর্ষণ করার এবং তাদের কক্ষপথে টেনে নেয়ার।
এতে আরও বলা হয়, এই গ্রহাণুগুলো কখনও কখনও আমাদের গ্রহের চারপাশে এক বা একাধিক সম্পূর্ণ ঘূর্ণন সঞ্চালন করে, যখন অন্য সময় তারা একটি কক্ষপথ সম্পূর্ণ ঘোরার আগে পৃথিবীর উপবৃত্তাকার পথ থেকে দূরে চলে যায়।