নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সাভারের আশুলিয়ায় বকেয়া বেতন পরিশোধসহ বেশকিছু দাবিতে শ্রমিকরা নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেছেন। এতে এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
সোমবার (৩০সেপ্টেম্বর) সকালে বাইপাইল বুড়ীর বাজার এলাকায় অবস্থিত বার্ডস গ্রুপের আর এন আর ফ্যাশনস লিঃ,বার্ডস গার্মেন্টস লিঃ, বার্ডস ফেডরেক্স লিঃ ও বার্ডস এ এন্ড জেড লিঃ এর শ্রমিকরা বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করেন। এতে সড়কে উভয় পাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দিতে পুলিশ এবং সেনাবাহিনী কাজ করছেন।
শ্রমিকরা জানান, গত আগস্ট মাসের ২৮তারিখে বার্ডস গ্রুপের চারটি কারখানা বাংলাদেশ শ্রম আইনের ২০০৬ এর ১২(৮) ধারায় লে-অফ ঘোষণা করা হয়।ওই সময় তারা বাইপাইল-চন্দ্রা মহাসড়ক অবরোধ করেন।পরে কল কারখানা অধিদপ্তরে শ্রমিক প্রতিনিধি, ফেডারেশন নেতৃবৃন্দ এবং মালিক পক্ষের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে আজ সোমবার শ্রমিকদের পাওনাদি পরিশোধের সিদ্ধান্ত হয়। শ্রমিকরা পাওনাদির জন্য সকালে কারখানার সামনে এসে দেখেন, গেটে পাওনাদি পরিশোধের সময়সীমা তিন মাস বৃদ্ধি সংক্রান্ত নোটিশ লাগিয়ে রেখেছে। এতে উত্তেজিত হয়ে তারা সড়ক অবরোধ করে রেখেছ।
বার্ডস এ এন্ড জেড লিমিটেড সুইং অপারেটর হোসনেয়ারা বেগম বলেন, আমি ১৬বছর এই কারখানায় চাকরি করি। ফান্ডের টাকাসহ বকেয়া বেতনের জন্য এসে দেখি তিন মাস পর দিবে। এমনিতে কারখানা বন্ধ রেখেছে, তারোপর পাওনাদি দিচ্ছনা। এই বয়সে এখন আমি যাবো কোথায়? চার কাখানায় আমরা প্রায় আট হাজার শ্রমিক আছি।
জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের আশুলিয়া অঞ্চলের সভাপতি ফরিদুল ইসলাম বলেন, আমরা শ্রমিকদের বকেয়া পাওনাদির বিষয়ে সরকারি দফতরে মালিক পক্ষের সাথে বসে যে চুক্তি করে ছিলাম। সে কথা তারা রাখেনি। আজ শ্রমিকদের বকেয়া পাওনাদি পরিশোধ করার কথা ছিল। কিন্তু গতকাল রাতে কাখানার গেটে তিনমাসের সময় চেয়ে নোটিশ ঝুলিয়েছে। এখন লজ্জায় আমরাও শ্রমিকদের সামনে যেতে পারছিনা। এখন আর শ্রমিকরা আমাদের কথা শোনছেনা। আসলে শিল্পাঞ্চল অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির জন্য মালিকরা দায়ি।
এ ব্যপারে শিল্প পুলিশ জানায়, আশুলিয়ায় আজ ১৮টি বাদে বাকি সব কারখানায় কার্যক্রম চালু রয়েছে। খোলা থাকা কারখানাগুলোতে সকাল থেকে কাজে যোগ দিয়েছে শ্রমিকরা। স্বাভাবিক পরিবেশ বিরাজ করছে শিল্পাঞ্চলে। তবে বার্ডস গ্রুপের শ্রমিকরা বকেয়া বেতনের দাবীতে নবীনগর চন্দ্রা মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছে।