নিজস্ব প্রতিবেদকঃ আশুলিয়ায় বকেয়া পাওনাদি পরিশোধে বার্ডস গ্রুপের শ্রমিকদের অবস্থানের সময় ৫২ ঘন্টা অতিবাহিত হওয়ার পর বেলা ১ টার দিকে রাস্তার অবরোধ তুলে নেয় রাস্তায় অবস্থান নেওয়া শ্রমিকরা। এতে দীর্ঘ সময়ের ভোগান্তি থেকে মুক্তি পেয়েছে গাড়ি চালক সহ সাধারন মানুষ।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর সকাল ৮টা থেকে বাইপাইলের বুড়িরবাজার এলাকায় লেঅফ থাকা বার্ডস গ্রুপের শ্রমিকরা তাদের বকেয়া বেতন ও অন্যান্য পাওনাদির দাবিতে নবীনগর -চন্দ্রা মহাসড়ক অবরোধ করে অবস্থান করছিল।
যানা যায়, গত আগস্ট মাসের ২৮তারিখে বার্ডস গ্রুপের চারটি কারখানা বাংলাদেশ শ্রম আইনের ২০০৬ এর ১২(৮) ধারায় লে-অফ ঘোষণা করা হয়।ওই সময় তারা বাইপাইল-চন্দ্রা মহাসড়ক অবরোধ করেন।পরে কল কারখানা অধিদপ্তরে শ্রমিক প্রতিনিধি, ফেডারেশন নেতৃবৃন্দ এবং মালিক পক্ষের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে আজ সোমবার শ্রমিকদের পাওনাদি পরিশোধের সিদ্ধান্ত হয়। শ্রমিকরা পাওনাদির জন্য সকালে কারখানার সামনে এসে দেখেন, গেটে পাওনাদি পরিশোধের সময়সীমা তিন মাস বৃদ্ধি সংক্রান্ত নোটিশ লাগিয়ে রেখেছে। এতে উত্তেজিত হয়ে তারা সড়ক অবরোধ করে রেখেছ।
সরজমিনে গিয়ে দেখা, তিন ধরে রোদ বৃষ্টি উপেক্ষা করে শ্রমিকরা এখনো শান্তিপূর্ন অবস্থায় আছে। দীর্ঘ সময় অবস্থান করায় তাদের যেমন অসুবিধা হচ্ছে তার চেয়ে বেশি অসুবিধায় পরেছে এখানে আটকে পরা গাড়ির ড্রাইভার এবং হেলপাররা। তাদের জন্য এখানে পানি এবং সৌচকর্মের ব্যবস্থা না থাকায় তারা বিপদের মধ্যে পরেছে। ঠিকমত গোছল খাওয়া দাওয়ার না করার কারনে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পরছে। এছাড়া এ পথে চলাচল কারী যাত্রীদের হেঁটে চলাচল করায় বেশ কষ্ট পেতে হচ্ছে। এখনকর দোকান পাট ব্যবসায়ীদের অসুবিধা হচ্ছে বলে তারা জানান।
এবিয়ষে কথা হয় এক গাড়ি চালকের সাথে, তিনি বলেন, তিন দিন ধরে এখানে পড়ে আছি, পকেটে টাকা থাকলেও ঠিক মত খেতে পারছি না, গোছল করতে পারছিনাআর এখানে কোন টয়লেট মা থাকায় আমাদের কি যে অসুবিধায় পড়তে হয়েছে তার শেষ নেই। এতো দিন এভাবে কষ্ট করছি আমাদের দেখার কেউ নেই। আমাদের দাবি, সরকারের লোক জানি এ ব্যপারে ব্যবস্থা নিয়ে আমাদের এখান থেকে ছাড়ানোর ব্যবস্থা করে।
সবার দাবির প্রেক্ষিতে, শ্রমিকরা তাদের অবরোধ তুলে নিয়ে গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক করে দেয়।