০৭:০৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫, ২২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ছেলেধরা গুজবে গণপিটুনিতে রেনু হত্যা: মৃত্যুদণ্ড এক, চার জনকে যাবজ্জীবন

  • Reporter Name
  • প্রকাশের সময়ঃ ০১:৪০:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ অক্টোবর ২০২৪
  • ১৫১ বার পড়া হয়েছে

 

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ চার বছর আগে রাজধানীর বাড্ডায় ছেলেধরা গুজবে গণপিটুনির শিকার হয়ে নিহত তাসলিমা বেগম রেনু হত্যা মামলায় এক আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও চার জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (৯ অক্টোবর) ঢাকার ৬ষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ মোরশেদ আলমের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।

 মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন- ইব্রাহিম ওরফে হৃদয় মোল্লা। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- রিয়া বেগম ময়না, আবুল কালাম আজাদ ওরফে আজাদ মন্ডল, কামাল হোসেন ও আসাদুল ইসলাম।

 দণ্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেক আসামিকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় ৮ আসামিকে খালাস দেয়া হয়েছে।

 এর আগে সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ঢাকার ৬ষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ মোরশেদ আলমের আদালতে মামলার রায় ঘোষণার দিন ধার্য ছিল। ওইদিন রায় প্রস্তুত না হওয়ায় আদালত  আজ (৯ অক্টোবর) রায় ঘোষণার জন্য নতুন দিন ধার্য করেন। যা আজ ঘোষণা করা হলো।

২০২০ সালের ১০ সেপ্টেম্বর আদালতে ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আব্দুল হক। এছাড়া অপ্রাপ্তবয়স্ক দুজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। এই দুই শিশুর মামলাটি ঢাকার নারী ও শিশু টাইব্যুনাল-৭ এ বিচারাধীন রয়েছে।

 ২০২১ সালের ১ এপ্রিল ১৩ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার ৬ষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক ফাতেমা ইমরুজ কনিকা।

 এ মামলার আসামিরা হলেন-ইব্রাহিম ওরফে হৃদয় মোল্লা, রিয়া বেগম ময়না, আবুল কালাম আজাদ, কামাল হোসেন, মো. শাহিন, বাচ্চু মিয়া, মো. বাপ্পি ওরফে শহিদুল ইসলাম, মুরাদ মিয়া, সোহেল রানা, আসাদুল ইসলাম, বেল্লাল মোল্লা, মো. রাজু ওরফে রুম্মান হোসেন ও মহিউদ্দিন।

 ২০১৯ সালের ২০ জুলাই সকালে রাজধানীর উত্তর বাড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিজের সন্তানের ভর্তির ব্যাপারে খোঁজ নিতে গিয়েছিলেন তাসলিমা বেগম রেনু। এ সময় ছেলেধরা সন্দেহে তাকে পিটিয়ে হত্যা করে বিক্ষুব্ধ জনতা। ওইদিন সকাল পৌনে ৯টার দিকে উত্তর বাড্ডা কাঁচাবাজার সড়কে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই রাতেই বাড্ডা থানায় অজ্ঞাত ৫০০ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন নিহত রেনুর ভাগিনা সৈয়দ নাসির উদ্দিন টিটু।

 মামলাটিতে আদালত চার্জশিটভুক্ত ২৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। এরপর আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থন ও রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের তারিখ ধার্য করা হয়।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয়

আশুলিয়ায় পাঁচ দফা দাবিতে রিক্সা ও ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের  মানববন্ধন

ছেলেধরা গুজবে গণপিটুনিতে রেনু হত্যা: মৃত্যুদণ্ড এক, চার জনকে যাবজ্জীবন

প্রকাশের সময়ঃ ০১:৪০:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ অক্টোবর ২০২৪

 

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ চার বছর আগে রাজধানীর বাড্ডায় ছেলেধরা গুজবে গণপিটুনির শিকার হয়ে নিহত তাসলিমা বেগম রেনু হত্যা মামলায় এক আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও চার জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (৯ অক্টোবর) ঢাকার ৬ষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ মোরশেদ আলমের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।

 মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন- ইব্রাহিম ওরফে হৃদয় মোল্লা। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- রিয়া বেগম ময়না, আবুল কালাম আজাদ ওরফে আজাদ মন্ডল, কামাল হোসেন ও আসাদুল ইসলাম।

 দণ্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেক আসামিকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় ৮ আসামিকে খালাস দেয়া হয়েছে।

 এর আগে সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ঢাকার ৬ষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ মোরশেদ আলমের আদালতে মামলার রায় ঘোষণার দিন ধার্য ছিল। ওইদিন রায় প্রস্তুত না হওয়ায় আদালত  আজ (৯ অক্টোবর) রায় ঘোষণার জন্য নতুন দিন ধার্য করেন। যা আজ ঘোষণা করা হলো।

২০২০ সালের ১০ সেপ্টেম্বর আদালতে ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আব্দুল হক। এছাড়া অপ্রাপ্তবয়স্ক দুজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। এই দুই শিশুর মামলাটি ঢাকার নারী ও শিশু টাইব্যুনাল-৭ এ বিচারাধীন রয়েছে।

 ২০২১ সালের ১ এপ্রিল ১৩ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার ৬ষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক ফাতেমা ইমরুজ কনিকা।

 এ মামলার আসামিরা হলেন-ইব্রাহিম ওরফে হৃদয় মোল্লা, রিয়া বেগম ময়না, আবুল কালাম আজাদ, কামাল হোসেন, মো. শাহিন, বাচ্চু মিয়া, মো. বাপ্পি ওরফে শহিদুল ইসলাম, মুরাদ মিয়া, সোহেল রানা, আসাদুল ইসলাম, বেল্লাল মোল্লা, মো. রাজু ওরফে রুম্মান হোসেন ও মহিউদ্দিন।

 ২০১৯ সালের ২০ জুলাই সকালে রাজধানীর উত্তর বাড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিজের সন্তানের ভর্তির ব্যাপারে খোঁজ নিতে গিয়েছিলেন তাসলিমা বেগম রেনু। এ সময় ছেলেধরা সন্দেহে তাকে পিটিয়ে হত্যা করে বিক্ষুব্ধ জনতা। ওইদিন সকাল পৌনে ৯টার দিকে উত্তর বাড্ডা কাঁচাবাজার সড়কে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই রাতেই বাড্ডা থানায় অজ্ঞাত ৫০০ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন নিহত রেনুর ভাগিনা সৈয়দ নাসির উদ্দিন টিটু।

 মামলাটিতে আদালত চার্জশিটভুক্ত ২৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। এরপর আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থন ও রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের তারিখ ধার্য করা হয়।