নিজস্ব প্রতিবেদকঃ পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ বেলুচিস্তানে একটি ছোট বেসরকারি কয়লা খনিতে সশস্ত্র ব্যক্তিদের হামলায় কমপক্ষে ২০ খনি শ্রমিক নিহত এবং সাতজন আহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার দেশটির পুলিশ এই তথ্য জানিয়েছে। খনিজ সমৃদ্ধ অঞ্চলটি আফগানিস্তান এবং ইরানের সীমান্তবর্তী এলাকায় অবস্থিথত। গত কয়েক দশক ধরে সেখানে সমস্যা চলছে।
ওই এলকায় বেলুচ বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। বিদ্রোহীদের দাবি, তাদের আঞ্চলিক সম্পদ থেকে তারা কোনো অংশ পায় না। তবে আজকের হামলার দায় এখনো কোনো গোষ্ঠী স্বীকার করেনি।
কোয়েটা শহরের পূর্বে অবস্থিত শহরের পুলিশ স্টেশন হাউজ অফিসার হুমায়ুন খান বলেন, ‘একদল সশস্ত্র লোক বৃহস্পতিবার রাতে দুকি এলাকায় জুনাইদ কয়লা কম্পানির খনিগুলোতে ভারী অস্ত্র ব্যবহার করে হামলা চালায়।
পাশাপাশি তারা খনি লক্ষ্য করে রকেট ও গ্রেনেড নিক্ষেপ করে।
স্থানীয় মিডিয়া জানিয়েছে, হামলাকারীরা খনি শ্রমিকদের এক জায়গায় জড়ো করে এবং তাদের ওপর গুলি চালায়। এ ছাড়া তারা খনির যন্ত্রপাতিতেও আগুন দেয়। ওই এলাকায় দশটি কয়লা খনি রয়েছে বলে কম্পানির এক কর্মকর্তা স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন।
দুকির একজন ডাক্তার জোহর খান শাদিজাই বলেছেন, ‘আমরা জেলা হাসপাতালে এ পর্যন্ত ২০টি মৃতদেহ এবং ছয়জনকে আহত অবস্থায় দেখেছি।’
এদিকে এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ-পশ্চিম বেলুচিস্তান প্রদেশে শ্রমিকদের বাসস্থানে ২০ জন পাকিস্তানি কয়লা খনি শ্রমিককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘গতকাল বৃহস্পতিবার আনুমানিক রাত ১২টা ৩০ মিনিটে ৩৫ থেকে ৪০ জন সাধারণ পোশাকধারী ভারী অস্ত্র নিয়ে আধা ঘন্টা ধরে কয়লা খনি শ্রমিকদের ওপর গুলি চালিয়ে পালিয়ে যায়।’ দুকি জেলার পুলিশ প্রধান অসীম শফি এএফপিকে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি আরো জানান, ‘তাদের সঙ্গে রকেট লঞ্চার এবং হ্যান্ড গ্রেনেডও ছিল।
পাকিস্তান ২০২২ সাল থেকে পাকিস্তানি তালেবান এবং সরকারের মধ্যে যুদ্ধবিরতি ভেঙে যাওয়ার পর থেকে এ ধরনের হামলার শিকার হচ্ছে। এই সপ্তাহের শুরুতেও করাচির দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে একটি বিস্ফোরণে দুই চীনা নাগরিক নিহত এবং তৃতীয়জন আহত হয়েছেন। তারা পাকিস্তানে বিদ্যুৎ প্রকল্পে কাজ করতেন।