রুটি তৈরির জন্য ময়দা মাখছেন পরিচারিকা। তাতে জলের বদলে মিশিয়ে দিচ্ছেন প্রস্রাব! এই কাজের ভিডিয়ো বানিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছিলেন গৃহকর্ত্রী। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে ওই পরিচারিকাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযোগ স্বীকারও করে নিয়েছেন মহিলা, দাবি পুলিশের।
ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের গাজ়িয়াবাদের। ধৃতের নাম রিনা। একাধিক বাড়িতে পরিচারিকা হিসাবে কাজ করতেন তিনি। সম্প্রতি তাঁর একটি ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। গৃহকর্ত্রী নিজেই ভিডিয়োটি রেকর্ড করেছিলেন। অভিযোগ, রান্নাঘরে রুটি করার জন্য ময়দা মাখতে বসে ময়দার সঙ্গে প্রস্রাব মিশিয়ে দিতেন অভিযুক্ত। গোপনে সেই ভিডিয়ো রেকর্ড করা হয়। তার পর পরিচারিকার নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করে ভুক্তভোগী পরিবার। বুধবার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, তাদের জেরার মুখে অপরাধের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন মহিলা। তিনি জানিয়েছেন, ওই বাড়ির গৃহকর্ত্রী বরাবর তাঁর কাজের উপর কড়া নজর রাখতেন। ছোটখাটো কোনও ভুল হলেও বকাঝকা করতেন। তাই তাঁর উপর রাগ ছিল অভিযুক্তের। তাঁকে শিক্ষা দেওয়ার জন্যই তিনি ময়দায় প্রস্রাব মিশিয়েছেন। একাধিক বার প্রস্রাব মিশিয়ে ময়দা মেখে রুটি করেছেন, পুলিশকে জানিয়েছেন অভিযুক্ত।
সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, একটি বাসনের মধ্যে প্রস্রাব করছেন মহিলা। তার পর ময়দার সঙ্গে তা মেশাচ্ছেন। নেটাগরিকেরা এই ভিডিয়ো দেখে অভিযুক্তের কড়া শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।
ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারায় পরিচারিকার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাঁর কোনও অপরাধের ইতিহাস রয়েছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কিছু দিন আগে এই গাজ়িয়াবাদেই এক ফলের রস বিক্রেতাকে রসের মধ্যে প্রস্রাব মেশাতে দেখা গিয়েছিল। গ্রেফতার করা হয় তাঁকেও। এই ধরনের কাজ দমনের জন্য কঠোর আইন আনার পরিকল্পনা করছে উত্তরপ্রদেশ সরকার।
সূত্রঃ আনন্দবাজার পত্রিকা