০১:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নারায়ণগঞ্জে বাবু-কায়সারসহ সাবেক এসপির বিরুদ্ধে হেফাজতের হত্যা মামলা

  • Reporter Name
  • প্রকাশের সময়ঃ ১২:৩০:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪
  • ১০৯ বার পড়া হয়েছে

নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টে হেফাজতকান্ডের প্রতিবাদ করায় হেফাজত কর্মী ইকবাল হোসেন হত্যা অভিযোগে মামলা দারে করা হয়েছে।

সোমবার (২১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ঘটনার ৩ বছর পর সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু, কায়সার হাসানত ও সাবেক পুলিশ সুপার জায়েদুল আলমসহ ১২৮ জনকে আসামী করে এ মামলা দায়ের করেন হেফাজতে ইসলাম সোনারগাঁ শাখার কমিটির সদস্য মাওলানা শাজাহান শিবলী। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল বারী।

এ মামলায় ঢাকার মতিঝিল জোনের সাবেক এডিসি আতিকুল ইসলাম মুরাদ, সোনারগাঁও উপজেলার সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আতিকুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ ডিবির সাবেক ওসি মো. এনামুল কবির ও সোনারগাঁও থানার সাবেক ওসি মো. হাফিজুর রহমানকেও আসামি করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ‘গত ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল রাতে কেন্দ্রীয় হেফাজতে ইসলামের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মামুনুল হক তার স্ত্রীসহ সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্ট হোটেলে অবকাশ যাপনের জন্য আসেন। ওই সময় দুই সাবেক সংসদ সদস্যদের ষড়যন্ত্রে পুলিশ প্রশাসনের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদে এজহার নামীয় আসামীরাসহ ১শ থেকে দেড়শ আসামী মামুনুল হককে স্ত্রীসহ হেনস্তা করে রিসোর্ট থেকে বের করে দেয়। পরে রাত সাড়ে ১১ টার দিকে সোনারগাঁওয়ের হেফাজত কর্মী মাওলানা ইকবাল হোসেন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকায় মামুনুল হককে স্ত্রীসহ হেনস্তার জোরালো প্রতিবাদ করেন। এসময় আজহার নামীয় আসামীরা তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে কিল, ঘুষিসহ লোহার রড দিয়ে মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। আহত অবস্থায় তাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে আদালতে প্রেরণ করে। ওই সময় পুলিশ তাকে রিমান্ডের নামে পুলিশ নির্যাতন করে। নির্যাতনে ইকবাল অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ভর্তি করে। অসুস্থ অবস্থায় তিনি ২০২১ সালের ২১ এপ্রিল চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১২টায় মারা যান। ওই সময় বিরূপ পরিস্থিতির কারনে মাওলানা ইকবাল হোসেনের পরিবার মামলা করতে সাহস পাননি। বর্তমানে পরিস্থিতি অনুকূলে থাকায় তার পরিবারের পক্ষে মামলা দায়ের করেন।’

ওসি আবদুল বারী লাইভ নারায়ণগঞ্জকে বলেন, হেফাজত ইসলামের কর্মীর ওপর হামলায় ঘটনায় একটি মামলা রুজু হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয়

নারায়ণগঞ্জে বাবু-কায়সারসহ সাবেক এসপির বিরুদ্ধে হেফাজতের হত্যা মামলা

প্রকাশের সময়ঃ ১২:৩০:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪

নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টে হেফাজতকান্ডের প্রতিবাদ করায় হেফাজত কর্মী ইকবাল হোসেন হত্যা অভিযোগে মামলা দারে করা হয়েছে।

সোমবার (২১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ঘটনার ৩ বছর পর সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু, কায়সার হাসানত ও সাবেক পুলিশ সুপার জায়েদুল আলমসহ ১২৮ জনকে আসামী করে এ মামলা দায়ের করেন হেফাজতে ইসলাম সোনারগাঁ শাখার কমিটির সদস্য মাওলানা শাজাহান শিবলী। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল বারী।

এ মামলায় ঢাকার মতিঝিল জোনের সাবেক এডিসি আতিকুল ইসলাম মুরাদ, সোনারগাঁও উপজেলার সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আতিকুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ ডিবির সাবেক ওসি মো. এনামুল কবির ও সোনারগাঁও থানার সাবেক ওসি মো. হাফিজুর রহমানকেও আসামি করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ‘গত ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল রাতে কেন্দ্রীয় হেফাজতে ইসলামের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মামুনুল হক তার স্ত্রীসহ সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্ট হোটেলে অবকাশ যাপনের জন্য আসেন। ওই সময় দুই সাবেক সংসদ সদস্যদের ষড়যন্ত্রে পুলিশ প্রশাসনের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদে এজহার নামীয় আসামীরাসহ ১শ থেকে দেড়শ আসামী মামুনুল হককে স্ত্রীসহ হেনস্তা করে রিসোর্ট থেকে বের করে দেয়। পরে রাত সাড়ে ১১ টার দিকে সোনারগাঁওয়ের হেফাজত কর্মী মাওলানা ইকবাল হোসেন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকায় মামুনুল হককে স্ত্রীসহ হেনস্তার জোরালো প্রতিবাদ করেন। এসময় আজহার নামীয় আসামীরা তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে কিল, ঘুষিসহ লোহার রড দিয়ে মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। আহত অবস্থায় তাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে আদালতে প্রেরণ করে। ওই সময় পুলিশ তাকে রিমান্ডের নামে পুলিশ নির্যাতন করে। নির্যাতনে ইকবাল অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ভর্তি করে। অসুস্থ অবস্থায় তিনি ২০২১ সালের ২১ এপ্রিল চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১২টায় মারা যান। ওই সময় বিরূপ পরিস্থিতির কারনে মাওলানা ইকবাল হোসেনের পরিবার মামলা করতে সাহস পাননি। বর্তমানে পরিস্থিতি অনুকূলে থাকায় তার পরিবারের পক্ষে মামলা দায়ের করেন।’

ওসি আবদুল বারী লাইভ নারায়ণগঞ্জকে বলেন, হেফাজত ইসলামের কর্মীর ওপর হামলায় ঘটনায় একটি মামলা রুজু হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।