০১:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সোনারগাঁয়ে রিসোর্টে অবস্থান করে ধর্ষণ মামলা থেকে খালাস পেলেন মামুনুল হক 

  • Reporter Name
  • প্রকাশের সময়ঃ ০১:১৫:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪
  • ১৪৭ বার পড়া হয়েছে

নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে হেফাজতে ইসলামের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মামুনুল হক ধর্ষণ মামলায় বেকসুর খালাস পেয়েছেন।

২৪ অক্টোবর  দুপুরে সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ জেসমিন আরা বেগম এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময়ে মামুনুল হক আদালতেই উপস্থিত ছিলেন।

মামুনুল হকের আইনজীবী ওমর ফারুক বলেন, আমরা ন্যায় বিচার পেয়েছি।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টে একটি রুমে ওই কথিত স্ত্রীসহ মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করে ছাত্রলীগ—যুবলীগ। খবর পুলিশ গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় হেফাজত ও মাদ্রাসার ছাত্ররা রিসোর্টে হামলা চালিয়ে তাঁদের ছিনিয়ে নেন। ওই ঘটনার ১৫ দিন পর ওই বছরের ১৮ এপ্রিল মামুনুল হককে মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা থেকে ঢাকা মহানগর তেজগাঁও বিভাগের পুলিশ গ্রেপ্তার করে।

রয়েল রিসোর্ট কাণ্ডের ঘটনার ২৭ দিন পর ২০২১ সালের ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় হাজির হয়ে ওই কথিত স্ত্রী বাদী হয়ে মামুনুল হকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন। ২০২১ সালের ১০ সেপ্টেম্বর মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ওই কথিত স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।

২০২১ সালের ৩ নভেম্বর মামুনুল হকের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের আদালত ধর্ষণের মামলায় অভিযোগ গঠন করেন আদালত। এই মামলায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে বাদীসহ ৪০ জন সাক্ষীর মধ্যে প্রত্যক্ষদর্শীসহ ২৬ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন।

Tag :
About Author Information

সোনারগাঁয়ে রিসোর্টে অবস্থান করে ধর্ষণ মামলা থেকে খালাস পেলেন মামুনুল হক 

প্রকাশের সময়ঃ ০১:১৫:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪

নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে হেফাজতে ইসলামের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মামুনুল হক ধর্ষণ মামলায় বেকসুর খালাস পেয়েছেন।

২৪ অক্টোবর  দুপুরে সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ জেসমিন আরা বেগম এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময়ে মামুনুল হক আদালতেই উপস্থিত ছিলেন।

মামুনুল হকের আইনজীবী ওমর ফারুক বলেন, আমরা ন্যায় বিচার পেয়েছি।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টে একটি রুমে ওই কথিত স্ত্রীসহ মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করে ছাত্রলীগ—যুবলীগ। খবর পুলিশ গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় হেফাজত ও মাদ্রাসার ছাত্ররা রিসোর্টে হামলা চালিয়ে তাঁদের ছিনিয়ে নেন। ওই ঘটনার ১৫ দিন পর ওই বছরের ১৮ এপ্রিল মামুনুল হককে মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা থেকে ঢাকা মহানগর তেজগাঁও বিভাগের পুলিশ গ্রেপ্তার করে।

রয়েল রিসোর্ট কাণ্ডের ঘটনার ২৭ দিন পর ২০২১ সালের ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় হাজির হয়ে ওই কথিত স্ত্রী বাদী হয়ে মামুনুল হকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন। ২০২১ সালের ১০ সেপ্টেম্বর মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ওই কথিত স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।

২০২১ সালের ৩ নভেম্বর মামুনুল হকের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের আদালত ধর্ষণের মামলায় অভিযোগ গঠন করেন আদালত। এই মামলায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে বাদীসহ ৪০ জন সাক্ষীর মধ্যে প্রত্যক্ষদর্শীসহ ২৬ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন।