নিজস্ব প্রতিবেদকঃ নব্বই দশকের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী মনি কিশোর। শনিবার (১৯ অক্টোবর) রাজধানীর রামপুরার নিজবাসা থেকে মনি কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে, ৪ থেকে ৫ দিন আগে তার মৃত্যু হয়েছে।
রোববার (২০ অক্টোবর) তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে। এরপর মনি কিশোরের বড় ভাই অশোক কুমার মণ্ডল জানান, শিল্পীর মরদেহ আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের মাধ্যমে দাফন করা হবে। কারণ, শিল্পী মনি কিশোর বেঁচে থাকতেই তার মেয়ে নিন্তি চৌধুরীকে বাবার মরদেহ দাফনের কথাই নাকি বলে গিয়েছিলেন।
তিন দিন মরদেহটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পড়ে ছিল। দাফন নাকি সৎকার - এমন প্রশ্ন নিয়েও ছিল জটিলতা। জানানো হয়েছিল তার একমাত্র মেয়ে দেশে আসার পরই তাকে দাফন বা সৎকার করা হবে। সব মিলিয়ে শিল্পীর দাফন বিলম্ব হচ্ছিল। অবশেষে সকল জটিলতার অবসান হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) মনি কিশোরের লাশ দাফন করা হয়েছে।
রাজধানীর দক্ষিণ বনশ্রী কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়েছে মনি কিশোরের। বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) রাত ১০টার দিকে রাজধানীর দক্ষিণ বনশ্রীর বায়তুল জান্নাত জামে মসজিদে জানাজা শেষে দক্ষিণ বনশ্রীর সুলতান ভূঁইয়া কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। বিষয়টি জানিয়েছেন শিল্পীর বোন জামাই প্রদীপ কুমার মিস্ত্রী।
মনি কিশোরর জানাজা এবং দাফনের সময় সংগীত অঙ্গনের তেমন কাউকে চোখে পড়েনি। শুধু গীতিকার ও সংগীত পরিচালক মিল্টন খন্দকার উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, এমন একজন মানুষ নিরবেই চলে গেলেন পৃথিবী থেকে। সংগীত অঙ্গনে দীর্ঘদিনের পথচলায় এতো এতো সহকর্মীরা কই? দুনিয়া বড়ই স্বার্থপর!
পেশাদার সংগীত জীবনের শুরুতে বিয়ে করেন মনি কিশোর। শামীমা চৌধুরীর সঙ্গে সেই বিয়ে টেকেনি। দেড় যুগ আগে তাদের দাম্পত্য জীবনের ইতি ঘটে। বিয়ের সময় ধর্মান্তরিত হয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন মনি কিশোর।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ ওমর ফারুক। প্রকাশক কর্তৃক বি,এস প্রিন্টিং প্রেস, ৫২/২ টয়েনবী সার্কুলার রোড , ঢাকা- ১২০৩ থেকে মুদ্রিত ও ২ আর কে মিশন রোড (৫ম তলা) থেকে প্রকাশিত।
© All rights reserved © 2017 Alokito Kantho