০৫:৪৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ধামরাইয়ে ২ যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির অভিযোগ 

  • Reporter Name
  • প্রকাশের সময়ঃ ১১:১২:৩৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৪
  • ৩৪০ বার পড়া হয়েছে
ধামরাইয়ের সুতিপাড়া ইউনিয়নের ছোট কালামপুর এলাকায় ভাঙা দেয়াল।

ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধি: 

ঢাকার ধামরাইয়ে দাবি করা চাঁদার টাকা না দেয়ায় নির্মাণাধীন বাউন্ডারির ওয়াল ভেঙে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে কথিত যুবলীগ নেতা নাহিদ ও মোস্তফার বিরুদ্ধে।

শনিবার (২৬ অক্টোবর) রাতে উপজেলার সুতিপাড়া ইউনিয়নের ছোট কালামপুর চরপাড়া এলাকায় নির্মাণাধীন একটি বাউন্ডারির ওয়াল ভাঙার ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্তরা হলেন, সোমভাগ ইউনিয়নের গোয়ালদী এলাকার মো. শাজাহান এর ছেলে নাহিদ (৩৪) ও একই এলাকার রশিদ ডাক্তারের ছেলে মোস্তফা (৪০)। ভুক্তভোগী একই এলাকার মৃত আব্দুল করিমের ছেলে নূর মোহাম্মদ (৫৭)।

সোমবার (২৮ অক্টোবর) সকালে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ছোট কালামপুর চরপাড়া এলাকায় একটি জমিতে চার পাশেই বাউন্ডারি ওয়াল করা হচ্ছে। তবে এক পাশের ওয়াল অর্ধেক ভাঙা। ইট গুলো ওয়ালের দু পশে পড়ে আছে।

ভুক্তভোগী নূর মোহাম্মদ বলেন, প্রায় ৪০/৪২ বছর আগে আমরা এই জমিটি ক্রয় করেছি। এত দিন কাঠ গাছের বাগান ছিলো। কিন্তু এখন ঘর করবো বলে ১৫/২০ দিন আগে সব গাছ কেটে বিক্রি করেছি। ঘর করার আগে জমির চার পাশে বাউন্ডারি দেয়ার কাজ ধরি। তাই মিস্ত্রী এনে কয়েক দিন ধরে  বাউন্ডারির কাজ করাচ্ছি। এর মধ্যে নাহিদ ও মোস্তফা এসে আমার কাছে কিছু টাকা দাবি করে। তাদের দাবি আমি না মানাতে শনিবার রাতে তারা দুজনসহ আরো ১৫/২০ জন লোক নিয়ে এসে আমার বাউন্ডারির ওয়াল ভেঙে ফেলেছে। তারা যুবলীগ করে। তারা আগেও যেমন করতো এলাকার লোকজনের সাথে এখনো একই রকম করে।

নূর মোহাম্মদ এর ভাই হজরত আলী বলেন, এই জমিটা আমাদের ক্রয় করা জমি। আগে কাঠ গাছ ছিলো আমার ভাই বাসা বাড়ি করবে দেখে গাছ কেটে বাউন্ডারি করতেছে। আমার ভাইয়ের কাছে শুনলাম যে, নাহিদ আর মোস্তফা এই দিক দিয়ে ঘুরাঘুরি করছে কয়েক দিন। পরে এক সময় তারা কিছু দাবি করে, চাঁদা চাওয়ার মত। আমার ভাই তা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে ওই রাতেই নাহিদ ও মোস্তফার নেতৃত্বে ১৫/২০ জন অজ্ঞাত লোক জন এসে বাউন্ডারির ওয়াল ভেঙে দিয়ে যায়।

এবিষয়ে অভিযুক্ত মোস্তফার সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমরা ওই ওয়াল ভাঙি নাই। আমাদের বিরুদ্ধে যা বলছে সব মিথ্যা। আর তারা জমি মাপা ছাড়াই ওয়াল দিতেছে। তাদের জমি বাদেও ওখানে খাস জমি আছে। সেটা বাদ দিয়ে ওয়াল দেক সমস্যা নাই।

ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান জানান, এবিষয়ে  আমার কোন তথ্য জানা নেই। তবে অভিযোগ পেলে আমরা তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নিবো।

 

About Author Information

জনপ্রিয়

ধামরাইয়ে ২ যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির অভিযোগ 

প্রকাশের সময়ঃ ১১:১২:৩৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৪
ধামরাইয়ের সুতিপাড়া ইউনিয়নের ছোট কালামপুর এলাকায় ভাঙা দেয়াল।

ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধি: 

ঢাকার ধামরাইয়ে দাবি করা চাঁদার টাকা না দেয়ায় নির্মাণাধীন বাউন্ডারির ওয়াল ভেঙে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে কথিত যুবলীগ নেতা নাহিদ ও মোস্তফার বিরুদ্ধে।

শনিবার (২৬ অক্টোবর) রাতে উপজেলার সুতিপাড়া ইউনিয়নের ছোট কালামপুর চরপাড়া এলাকায় নির্মাণাধীন একটি বাউন্ডারির ওয়াল ভাঙার ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্তরা হলেন, সোমভাগ ইউনিয়নের গোয়ালদী এলাকার মো. শাজাহান এর ছেলে নাহিদ (৩৪) ও একই এলাকার রশিদ ডাক্তারের ছেলে মোস্তফা (৪০)। ভুক্তভোগী একই এলাকার মৃত আব্দুল করিমের ছেলে নূর মোহাম্মদ (৫৭)।

সোমবার (২৮ অক্টোবর) সকালে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ছোট কালামপুর চরপাড়া এলাকায় একটি জমিতে চার পাশেই বাউন্ডারি ওয়াল করা হচ্ছে। তবে এক পাশের ওয়াল অর্ধেক ভাঙা। ইট গুলো ওয়ালের দু পশে পড়ে আছে।

ভুক্তভোগী নূর মোহাম্মদ বলেন, প্রায় ৪০/৪২ বছর আগে আমরা এই জমিটি ক্রয় করেছি। এত দিন কাঠ গাছের বাগান ছিলো। কিন্তু এখন ঘর করবো বলে ১৫/২০ দিন আগে সব গাছ কেটে বিক্রি করেছি। ঘর করার আগে জমির চার পাশে বাউন্ডারি দেয়ার কাজ ধরি। তাই মিস্ত্রী এনে কয়েক দিন ধরে  বাউন্ডারির কাজ করাচ্ছি। এর মধ্যে নাহিদ ও মোস্তফা এসে আমার কাছে কিছু টাকা দাবি করে। তাদের দাবি আমি না মানাতে শনিবার রাতে তারা দুজনসহ আরো ১৫/২০ জন লোক নিয়ে এসে আমার বাউন্ডারির ওয়াল ভেঙে ফেলেছে। তারা যুবলীগ করে। তারা আগেও যেমন করতো এলাকার লোকজনের সাথে এখনো একই রকম করে।

নূর মোহাম্মদ এর ভাই হজরত আলী বলেন, এই জমিটা আমাদের ক্রয় করা জমি। আগে কাঠ গাছ ছিলো আমার ভাই বাসা বাড়ি করবে দেখে গাছ কেটে বাউন্ডারি করতেছে। আমার ভাইয়ের কাছে শুনলাম যে, নাহিদ আর মোস্তফা এই দিক দিয়ে ঘুরাঘুরি করছে কয়েক দিন। পরে এক সময় তারা কিছু দাবি করে, চাঁদা চাওয়ার মত। আমার ভাই তা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে ওই রাতেই নাহিদ ও মোস্তফার নেতৃত্বে ১৫/২০ জন অজ্ঞাত লোক জন এসে বাউন্ডারির ওয়াল ভেঙে দিয়ে যায়।

এবিষয়ে অভিযুক্ত মোস্তফার সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমরা ওই ওয়াল ভাঙি নাই। আমাদের বিরুদ্ধে যা বলছে সব মিথ্যা। আর তারা জমি মাপা ছাড়াই ওয়াল দিতেছে। তাদের জমি বাদেও ওখানে খাস জমি আছে। সেটা বাদ দিয়ে ওয়াল দেক সমস্যা নাই।

ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান জানান, এবিষয়ে  আমার কোন তথ্য জানা নেই। তবে অভিযোগ পেলে আমরা তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নিবো।