নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ বিভিন্ন সংগঠনের দাবির মুখে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা এবং হত্যা-নির্যাতনে জড়িত থাকার দায়ে নিষিদ্ধ হয় আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ। তবে কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নেয়নি অন্তর্বর্তী সরকার।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) সমসাময়িক ইস্যুতে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপপ্রেস সচিব আজাদ মজুমদার।
এ সময় এক প্রশ্নের জবাবে উপপ্রেস সচিব বলেন, সরকার ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নেই।
গণঅভ্যুত্থানে বাধা দেয়া এবং আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগে ৫ আগস্টের পর থেকেই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে আসছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। পরে বুধবার রাতে (২৩ অক্টোবর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপনে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করার এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
এদিকে ১৫ বছরের অপশাসন, বিরোধীমত দমনে হত্যা-গুম ও নির্যাতন চালানোর পাশাপাশি ছাত্র-জনতা হত্যার দায়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে আসছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। এ নিয়ে উচ্চ আদালতে রিটও করা হয়।
ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে আজাদ মজুমদার আরও বলেন, মানবাধিকার লঙ্ঘনে যেসব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য দায়ী ছিল তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। একটি কমিশন কাজ করছে। এসব অপরাধে কোনো বিশেষ বাহিনীকে দায়ী করা হচ্ছে না। বরং তদন্তে যারা দোষী সে তথ্য উঠে এলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে প্রেস সচিব শফিকুল আলম আরও বলেন, আমাদের বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থার তথ্যের বাইরেও গুম-খুন ও নির্যাতনের বিষয়ে অনেক তথ্য রয়ে গেছে। এসব তথ্য আমাদের কাছে আসছে। এসব ঘটনার তথ্যানুসন্ধানে সঠিক তথ্য উঠে আসবে।
তিনি জানান, বিভিন্ন সংগঠন নিখোঁজদের বিষয়ে যেসব তথ্য দিয়েছিল, তার বাইরেও অনেক নিখোঁজের তথ্য জানাচ্ছেন স্বজনরা।