নিজস্ব প্রতিবেদকঃ চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিন দক্ষিণ আফ্রিকার আধিপত্য চেয়ে চেয়ে দেখল বাংলাদেশি বলাররা । তাইজুল ইসলাম ছাড়া বল হাতে সফল হাতে পারেননি আর কোনো বোলার। এক তরফা আধিপত্য করে গেছে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটাররা।
সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। টনি ডি জর্জির ও ট্রিস্তান স্টাবসের সেঞ্চুরিতে প্রথম দিন শেষে ২ উইকেট হারিয়ে ৩০৭ রান সংগ্রহ করে সফরকারীরা। স্টাবস আউট হলেও ডি জর্জি অপরাজিত ছিলেন ১৪১ রানে। টাইগারদের পক্ষে ২টি উইকেট-ই নেন তাইজুল।
আলো স্বল্পতার কারণে প্রথম দিনের খেলা শেষ হয়েছে নির্ধারিত সময়ের আগেই। যে ৮১ ওভার খেলা হয়েছে সেখানে একক আধিপত্য ছিল প্রোটিয়াদেরই। প্রথম সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ১টি উইকেট তুলে নিয়েছিল বাংলাদেশ। দলীয় ৬৯ রানে তাইজুলের ঘূর্ণিতে পরাস্ত হয়ে মুমিনুল হকের হাতে ক্যাচ দিয়েছিলেন প্রোটিয়া অধিনায়ক এইডেন মার্করাম। মাঠ ছাড়ার আগে ৫৫ বলে ৩৩ রান করেন তিনি। এরপর টনি ডি জর্জির সঙ্গে ক্রিজ আঁকড়ে ধরেন ট্রিস্তান স্টাবস।
লাঞ্চ বিরতি শেষে চা বিরতি, এরপরও চলছিল তাদের আধিপত্য। দুজনের ব্যাটে জুটি বড় হতে হতে পার করে ২০০ রান। ডি জর্জির পর সেঞ্চুরি তুলে নেন স্টাবসও। অথচ শুরুতে হাসান মাহমুদের বলে উইকেটের পেছনে ডি জর্জির ক্যাচটি মাহিদুল ইসলাম না ছাড়লে ৬ রানেই আউট হতে পারতেন তিনি। জীবন পেয়ে তিনি মাশুল গুনাচ্ছেন টাইগারদের। তাকে আউট করা না গেলেও সেঞ্চুরি করে বিদায় নিয়েছেন স্টাবস।
তাইজুলের মিডল স্টাম্প বরাবর করা বলে পেছনে গিয়ে কাট খেলতে চেয়েছিলেন, তবে বল নিচু হওয়ায় বোল্ড হন স্টাবস। তাতে ভাঙে ২০১ রানের জুটি। ১০৬ রান করেছেন স্টাবস। ক্যারিয়ারের পঞ্চম টেস্ট খেলতে নেমে প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন ২৪ বছর বয়সি এ ব্যাটার।
এদিকে স্টাবসের পর ডি জর্জিকে সঙ্গ দিতে ক্রিজে আছেন ডেভিড বেডিংহ্যাম। ২৫ বল মোকাবিলায় ১৮ রান করেছেন তিনি। দ্বিতীয় দিনের শুরুতে এ দুইজনকে দ্রুত ফেরানো না গেলে চট্টগ্রাম টেস্টে ঘুরে দাঁড়ানো বেশ কঠিনই হবে টাইগারদের জন্য।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ ওমর ফারুক। প্রকাশক কর্তৃক বি,এস প্রিন্টিং প্রেস, ৫২/২ টয়েনবী সার্কুলার রোড , ঢাকা- ১২০৩ থেকে মুদ্রিত ও ২ আর কে মিশন রোড (৫ম তলা) থেকে প্রকাশিত।
© All rights reserved © 2017 Alokito Kantho