স্টাফ রিপোর্টার মানিকগঞ্জঃ মানিকগঞ্জ শিবালয়ে তেওতার বাবুর পয়লা নামক একটি গ্রামে দ্বিতীয় শ্রেণি পড়ুয়া এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে মৃত লালচাঁন মৃধার পুত্র আব্দুল কুদ্দুস (৫৬) কে গত মঙ্গলবার সকালে গ্রেফতার করেছে শিবালয় থানা পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে ,
শিশুটি এবং আরো দুজন বান্ধবী মিলে আব্দুল কুদ্দুসের বাড়ির উপরে থাকা দোকানে যায়। দোকান বন্ধ থাকায় শিশুগুলো বাড়ি ফেরার পথে কুদ্দুস তাদের ডাক দেয়। তার ডাকে সাড়া না দিয়ে দুজন পালিয়ে গেলেও ভুক্তভোগী শিশুটি পালাতে পারে না। ফলে তাকে জোরপূর্বক হাত ধরে টেনে ঘরে নিয়ে গিয়ে স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে যৌন নিপীরণ করা হয়। শিশুটির চিৎকারে লোকটি তাকে ছেড়ে দেয়। শিশুটি পরবর্তীতে তার মায়ের কাছে গিয়ে সব ঘটনা বলে দেয়। ভুক্তভোগীর পরিবার শিবালয় থানায় মামলা দায়ের করে এবং পুলিশ তাৎক্ষণিক আসামিকে গ্রেফতার করে তাকে কোর্টে প্রেরণ করেন।
এদিকে শিবালয় সদর উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের এক শিক্ষকের নামে ‘কলেজের’ মানবিক শাখার দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি করায় ছাত্রীটি শিবালয় থানায় একটি মামলা দায়ের করে। ছাত্রীটির অভিযোগে জানা যায়, গত (২৮ অক্টোবর) শিবালয়ের ডাক্তার-খানা এলাকায় শিক্ষকের নিজ কোচিং সেন্টারে প্রাইভেট পড়ানোর সময় সকল ছাত্র-ছাত্রীদের বের হয়ে যেতে বলে এবং ভুক্তভোগী ছাত্রীকে সাজেশন দেবার কথা বলে কোচিং সেন্টারে থাকতে বলা হয়। একা পেয়ে শিক্ষক তাকে শ্লীলতাহানি করতে চায়। এতে ছাত্রীটি রাজি না হওয়ায় জোরপূর্বক তার মুখের হিজাব খুলে দিয়ে হাত ধরে টানাটানি করে শিক্ষক। কৌশলে ছাত্রীটি কোচিং সেন্টার থেকে বের হয়ে থানায় গিয়ে পুলিশের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। সেই লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে গ্রেফতার করে শিবালয় থানা পুলিশ।
শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন শুধু ওই ছাত্রীকেই নয় বিভিন্ন ছাত্রীদের কু-প্রস্তাব দিতেন। জেলা প্রশাসক বরাবর পূর্ববর্তী তিনটি অভিযোগ রয়েছে শিবালয় সদর উদ্দিন ডিগ্রী কলেজের শিক্ষক দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে।
শিবালয় থানার ওসি এমআরএম আল মামুন গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, ধর্ষণ চেষ্টা ও শ্লীলতাহানি উভয় ব্যক্তিদের গ্রেফতার করে কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে। সঠিক বিচার পেতে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।