আব্বাসী, স্টাফ রিপোর্টারঃ মানিকগঞ্জে ২০২২ সালে অনুষ্ঠিত জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রকৃত নির্বাচিত সুপ্রিম কোর্টের বিজ্ঞ আইনজীবী এ কে এম বজলুল হক খান (রিপন) বলেছেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মহিউদ্দিন জেলা পরিষদ নির্বাচনে আমার প্রধান প্রতিপক্ষ ছিল। আমাকে নির্বাচন থেকে সরাতে এহেতু কোন কাজ নেই যা তার দল এবং তিনি আমার বিরুদ্ধে করেনি। আমার বাড়ি-ঘর ভাঙচুর করে লুটপাট করেছে তার দলের দুর্বৃত্তরা। লাঞ্ছিত করেছে আমাকে এবং আমার পরিবারকে। নির্বাচনে কারচুপির মাধ্যমেও যখন দেখলো তিনি বিজয়ী হতে পারছে না, তখন প্রশাসন এবং রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহার করে তার দল তাকে ( গোলাম মহিউদ্দীনকে) নির্বাচিত ঘোষণা করেন।
এমন অবৈধ ফলাফল বাতিল করে প্রকৃত বিজয়ীকে ঘোষণার দাবিতে শনিবার বেলা দেড়টায় মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে সুপ্রিম কোর্টের বিজ্ঞ আইনজীবী এ কে এম বজলুল হক খান (রিপন) এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি বলেন ১৭ অক্টোবর সাতটি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। সকাল ৯ টা থেকে শুরু হয়ে দুপুর দুইটা পর্যন্ত এ ভোট গ্রহণ চলার কথা থাকলেও হরিরামপুর উপজেলা ভোটকেন্দ্রে কৌশলগতভাবে ভোটগ্রহণ চলে বিকাল চারটা পর্যন্ত। বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করা হয় বিকেল পাঁচ ঘটিকার সময়। প্রতিপক্ষ আমার বিজয় নিশ্চিত জেনে নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারি প্রিজাইটিং কর্মকর্তা, জেলা বিদ্যুৎ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বৃন্দ গোলাম মহিউদ্দিনকে বিজয়ী করার জন্য পূর্বপরিকল্পনা মাফিক শিবালয় উপজেলা ভোট কেন্দ্রের বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয়। এ সময় নারী ভোটারদের আঙ্গুলের ছাপ মিল না হওয়া সত্বেও তার ভূত অপকৌশল অবলম্বনে তার ভোট গ্রহণ করা হয়। এতে সুস্পষ্ট ভাবে প্রমাণিত হয় যে শিবালয় উপজেলা ভোট কেন্দ্রে নিখুদ ভাবে ভোট কারচুপি করা হয়েছে। ভোট গণনার পূর্বেই প্রিজাইডিং অফিসার তার অধীনস্থদের গোলাম মহিউদ্দিনের পক্ষে ফলাফল ঘোষণা করার নির্দেশ দিয়ে কেন্দ্র ত্যাগ করেন। যাতে তার ওপর দায়ভার না বর্তায়।
বজলুল হক খান (রিপন) আরো বলেন,
অন্য সব জেলাতে বিকেল চারটার ভিতরে ফল ঘোষণা হতে থাকলেও মানিকগঞ্জে রাত আটটা পর্যন্ত চলেছে মনোনীত প্রার্থীকে বিজয়ী করতে দফায় দফায় বৈঠক। আমার এজেন্ট এবং কর্মীদের করা হয়েছে লাঞ্ছিত। এই ঘটনার পর আমি আদালতে মামলা করেছি, মামলাটি চলমান। আমি এবং আমার ভোটাররা আদালতের রায় মেনে নিতে প্রস্তুত।
এসময়, সাবেক জেল সুপার ও স্টেডিয়াম রোড জামে মসজিদের সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ, মৌহালী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম হেনা, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা ও স্টেডিয়াম রোড জামে মসজিদের সহ-সাধারণ সম্পাদক মো. শফিউর রহমান, মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাবের অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির প্রধান উপদেষ্টা গোলাম সারোয়ার ছানু, মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম বিশ্বাস, সদস্য সচিব শাহানুর ইসলামসহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।