১১:১৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫, ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আজ ঐতিহাসিক জেল হত্যা দিবস

  • Reporter Name
  • প্রকাশের সময়ঃ ১২:১৬:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ নভেম্বর ২০২৪
  • ৭৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ আজ ঐতিহাসিক জেল হত্যা দিবস। ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে হত্যার শিকার হন চার জাতীয় নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এএইচএম কামারুজ্জামান ও ক্যাপ্টেন মনসুর আলী।

জাতীয় চার নেতাই ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য ১৯৭১ সালে গঠিত মুজিবনগর সরকারের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। এর মধ্যে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম। তাজউদ্দীন আহমদ ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে। এএইচএম কামারুজ্জামান ও মনসুর আলী ছিলেন মন্ত্রিসভার সদস্য।

প্রখ্যাত সাংবাদিক অ্যান্থনি মাসকারেনহাস তার ‘বাংলাদেশ এ লিগ্যাসি অব ব্লাড’ গ্রন্থে চার নেতার হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন। তিনি জানান, বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পরই চার নেতাকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়।

জাতীয় চার নেতাকে হত্যার পরদিন লালবাগ থানায় একটি মামলা হয়। এতে বাদী হন তৎকালীন উপকারা মহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজন) কাজী আবদুল আউয়াল। মামলার অভিযোগপত্র দেয়া হয় ২৩ বছর পর ১৯৯৮ সালের ১৫ অক্টোবর। রায় হয় ২০০৪ সালের ২০ অক্টোবর। রায়ে রিসালদার মোসলেম উদ্দিন, দফাদার মারফত আলী শাহ ও এলডি (দফাদার) আবুল হাসেম মৃধাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। এছাড়া বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামি সৈয়দ ফারুক রহমান, সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান, বজলুল হুদা, একেএম মহিউদ্দিন আহমেদসহ ১২ জনকে দেয়া হয় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। খালাস পান সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপি নেতা কেএম ওবায়দুর রহমান, শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, নুরুল ইসলাম মঞ্জুর ও তাহেরউদ্দিন ঠাকুর।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয়

আজ ঐতিহাসিক জেল হত্যা দিবস

প্রকাশের সময়ঃ ১২:১৬:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ নভেম্বর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ আজ ঐতিহাসিক জেল হত্যা দিবস। ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে হত্যার শিকার হন চার জাতীয় নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এএইচএম কামারুজ্জামান ও ক্যাপ্টেন মনসুর আলী।

জাতীয় চার নেতাই ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য ১৯৭১ সালে গঠিত মুজিবনগর সরকারের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। এর মধ্যে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম। তাজউদ্দীন আহমদ ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে। এএইচএম কামারুজ্জামান ও মনসুর আলী ছিলেন মন্ত্রিসভার সদস্য।

প্রখ্যাত সাংবাদিক অ্যান্থনি মাসকারেনহাস তার ‘বাংলাদেশ এ লিগ্যাসি অব ব্লাড’ গ্রন্থে চার নেতার হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন। তিনি জানান, বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পরই চার নেতাকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়।

জাতীয় চার নেতাকে হত্যার পরদিন লালবাগ থানায় একটি মামলা হয়। এতে বাদী হন তৎকালীন উপকারা মহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজন) কাজী আবদুল আউয়াল। মামলার অভিযোগপত্র দেয়া হয় ২৩ বছর পর ১৯৯৮ সালের ১৫ অক্টোবর। রায় হয় ২০০৪ সালের ২০ অক্টোবর। রায়ে রিসালদার মোসলেম উদ্দিন, দফাদার মারফত আলী শাহ ও এলডি (দফাদার) আবুল হাসেম মৃধাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। এছাড়া বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামি সৈয়দ ফারুক রহমান, সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান, বজলুল হুদা, একেএম মহিউদ্দিন আহমেদসহ ১২ জনকে দেয়া হয় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। খালাস পান সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপি নেতা কেএম ওবায়দুর রহমান, শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, নুরুল ইসলাম মঞ্জুর ও তাহেরউদ্দিন ঠাকুর।