১১:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫, ১৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জান্তা প্রধানের চীন সফর, সরকার শক্ত করার কৌশল কি?

  • Reporter Name
  • প্রকাশের সময়ঃ ০৬:২২:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ নভেম্বর ২০২৪
  • ৯৭ বার পড়া হয়েছে

 

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দুইটি আঞ্চলিক সম্মেলনে যোগ দিতে চলতি সপ্তাহে চীনে যাচ্ছেন মিয়ানমারের জান্তা প্রধান মিং অং হ্লাইং। ২০২১ সালে ক্ষমতা দখলের পর এবারই প্রথম প্রভাবশালী প্রতিবেশী দেশটিতে যাচ্ছেন তিনি।

সোমবার (৪ নভেম্বর) দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম জানিয়েছে, ৬ থেকে ৭ নভেম্বর মিং অং হ্লাইং চীনের কুনমিংয়ে `গ্রেট মেকং সাবরিজিয়ন’ এবং ‘ইরাবতী-চাও ফ্রায়া-মেকং ইকোনমিক কোঅপারেশন স্ট্র্যাটেজি’ (এসিএমইসিএস) সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন। এর পাশাপাশি তিনি কম্বোডিয়া, লাওস ও ভিয়েতনামের সঙ্গে একটি বৈঠকে যোগ দেবেন।

সফরে তিনি চীনের কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও বৈঠক এবং আলোচনা করবেন বলেও গণমাধ্যমটি জানিয়েছে।

দেশটির শীর্ষ এই জেনারেলকে উল্লেখ করে মিয়ানমার টিভি চ্যানেল (এমআরটিভি) বলেছে, ‘তিনি চীনের সঙ্গে বৈঠক ও আলোচনা করবেন এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, অর্থনৈতিক ও উন্নয়ন বৃদ্ধিতে কাজ করবেন। ’

মিয়ানমার জান্তা এমন এক সময় এই সফরটি করছেন; যখন দেশটির সামরিক সরকারের কাছ থেকে বৃহৎ অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছে প্রতিষ্ঠিত জাতিগত সংখ্যালঘু মিলিশিয়ানরা। একটি সশস্ত্র প্রতিরোধ আন্দোলন হিসাবে চীনের সঙ্গে মিয়ানমারের সীমান্ত এলাকাগুলি অভ্যুত্থানের পর থেকে বিশৃঙ্খলার মধ্যে রয়েছে।

এছাড়াও গত অক্টোবরে জান্তা বিরোধী যোদ্ধাদের আক্রমণের মুখে সেনাবাহিনীর অবস্থান অবনতি হয়েছে। যা নিয়ে শঙ্কিত চীন। এই পরিস্থিতিতে সীমান্তের কিছু অংশ বন্ধ করে দিয়েছে দেশটি।

যদিও মিয়ামারের সঙ্গে চীনের কৌশলগত অর্থনৈতিক স্বার্থ জড়িত।

যার মধ্যে চীনের প্রধান তেল ও গ্যাস পাইপলাইন এবং বঙ্গোপসাগরে একটি পরিকল্পিত গভীর সমুদ্র বন্দর রয়েছে। এছাড়াও বেইজিং বায়ু শক্তি খাতে ব্যবহারের জন্য মিয়ানমার থেকে বিরল কিছু জিনিসও আমদানি করে।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয়

জান্তা প্রধানের চীন সফর, সরকার শক্ত করার কৌশল কি?

প্রকাশের সময়ঃ ০৬:২২:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ নভেম্বর ২০২৪

 

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দুইটি আঞ্চলিক সম্মেলনে যোগ দিতে চলতি সপ্তাহে চীনে যাচ্ছেন মিয়ানমারের জান্তা প্রধান মিং অং হ্লাইং। ২০২১ সালে ক্ষমতা দখলের পর এবারই প্রথম প্রভাবশালী প্রতিবেশী দেশটিতে যাচ্ছেন তিনি।

সোমবার (৪ নভেম্বর) দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম জানিয়েছে, ৬ থেকে ৭ নভেম্বর মিং অং হ্লাইং চীনের কুনমিংয়ে `গ্রেট মেকং সাবরিজিয়ন’ এবং ‘ইরাবতী-চাও ফ্রায়া-মেকং ইকোনমিক কোঅপারেশন স্ট্র্যাটেজি’ (এসিএমইসিএস) সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন। এর পাশাপাশি তিনি কম্বোডিয়া, লাওস ও ভিয়েতনামের সঙ্গে একটি বৈঠকে যোগ দেবেন।

সফরে তিনি চীনের কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও বৈঠক এবং আলোচনা করবেন বলেও গণমাধ্যমটি জানিয়েছে।

দেশটির শীর্ষ এই জেনারেলকে উল্লেখ করে মিয়ানমার টিভি চ্যানেল (এমআরটিভি) বলেছে, ‘তিনি চীনের সঙ্গে বৈঠক ও আলোচনা করবেন এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, অর্থনৈতিক ও উন্নয়ন বৃদ্ধিতে কাজ করবেন। ’

মিয়ানমার জান্তা এমন এক সময় এই সফরটি করছেন; যখন দেশটির সামরিক সরকারের কাছ থেকে বৃহৎ অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছে প্রতিষ্ঠিত জাতিগত সংখ্যালঘু মিলিশিয়ানরা। একটি সশস্ত্র প্রতিরোধ আন্দোলন হিসাবে চীনের সঙ্গে মিয়ানমারের সীমান্ত এলাকাগুলি অভ্যুত্থানের পর থেকে বিশৃঙ্খলার মধ্যে রয়েছে।

এছাড়াও গত অক্টোবরে জান্তা বিরোধী যোদ্ধাদের আক্রমণের মুখে সেনাবাহিনীর অবস্থান অবনতি হয়েছে। যা নিয়ে শঙ্কিত চীন। এই পরিস্থিতিতে সীমান্তের কিছু অংশ বন্ধ করে দিয়েছে দেশটি।

যদিও মিয়ামারের সঙ্গে চীনের কৌশলগত অর্থনৈতিক স্বার্থ জড়িত।

যার মধ্যে চীনের প্রধান তেল ও গ্যাস পাইপলাইন এবং বঙ্গোপসাগরে একটি পরিকল্পিত গভীর সমুদ্র বন্দর রয়েছে। এছাড়াও বেইজিং বায়ু শক্তি খাতে ব্যবহারের জন্য মিয়ানমার থেকে বিরল কিছু জিনিসও আমদানি করে।