স্টাফ রিপোর্টারঃ মানিকগঞ্জে আওয়ামীলীগের শাসন আমলে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা রুবেল মিয়া ক্ষমতার দাপটে অবৈধভাবে মানুষের জমি দখল, মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল খাটানোসহ চাকুরী দেওয়ার নামে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। আওয়ামী লীগ পতনের পরও তার ক্ষমতার দাপট কমেনি। তিনি আগে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে অপকর্ম করতেন। এখন তিনি বিএনপির লোকজনের সাথে আতাৎ করে এসব অপকর্ম করে আসছেন।
মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো.ইস্রাফিল হোসেনের বাড়ির কেয়ারটেকার রুবেল মিয়া ওরফে বদুর শাস্তির দাবীতে মানববন্ধনে ভুক্তভোগী এলাকাবাসী এসব কথা বলেন।
রোববার দুপুরে সদর উপজেলার দিঘী ইউনিয়নের চান্দরা ও স্বল্পতা হাতকোড়া গ্রামে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা রুবেল মিয়া (বদু) দলীয় ক্ষমতা ব্যবহার করে সাধারণ মানুষকে হয়রানির প্রতিবাদে এবং তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থার দাবিতে ভুক্তভোগী এলাকাবাসী এমানববন্ধনের আয়োজন করে।ঘন্টাব্যপি মানববন্ধনে দাবিতে ভুক্তভোগী আমজাদ হোসেন বলেন,আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালীন সময় রুবেল মিয়ার ক্ষমতার জোরে আমাদের পরিবারের ৫২ শতাংশ জমির ওপর দিয়ে যাতায়াতের রাস্তা নির্মাণের জন্য মাটি ফেলেছে।সেসময় তাদেরকে বাঁধা দিলে,তারা আমাদের উপর হামলা চালায়।সম্প্রতি আমাদের জমির উপর রাস্তা তৈরির জন্য ভেকু দিয়ে মাটি কেটেছে। পরে এলাকার সমন্বয়ে বাঁধা দেই এবং থানায় লিখিত অভিযোগ করি। কিন্তু তিনি এখন বিএনপির লোকজনের সাথে মিলেমিলে এধরণের অপরাধ করে আসছে। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থার জন্য থানা পুলিশসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
এবিষয়ে অভিযুক্ত রুবেল মিয়া জানান,আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকতে তাদের সাথে মিলেমিলে কাজ করেছি। কারন আমি পেটের জন্য কাজ করে থাকি। আমার বিরুদ্ধে সব মিথ্যা কথা,আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত চলছে। তবে আমার বাড়িতে যাতায়াতের জন্য খাস জমিতে রাস্তার নির্মাণের জন্য ঢেকু নামিয়েছিলাম। কিন্তু মানুষের চাপের মুখে ভেকু উঠিয়ে নিয়ে যাই।
মানিকগঞ্জ সদর থানার ওসি এস.এম আমান উল্লাহ জানান, অভিযোগের তদন্ত চলছে। তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে,তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।