প্রতিবন্ধী সুমনের বাবা হাসেন আলী বলেন,আমি আর আগের মতো পরিশ্রম করতে পারি না। বড় ছেলেটি ঢাকায় কাজ করে । তার সংসার আছে। এরপরও মাসের মাস আমাকে কিছু খরচাপাতি দেয়। আর আমার এই প্রতিবন্ধী ছেলেটিকে নিয়ে খুব কষ্টে আছি। তার চাহিদা এখন পূরণ করতে পারি না। বাজারে এসে এটা সেটা খেয়ে অভ্যাস হয়ে গেছে।এখন পানি টানাটানি করে নিজেও চলে বাড়িতেও শ’দেড়’শ টাকা নিয়ে এসে আমাকে দেয়। তার একটি প্রতিবন্ধী কার্ডও আছে। কিছুদিন আগে তাকে বিয়ে করিয়ে ছিলাম। মেয়েটা একটু সোজারাস্ত ছিল। মেয়ের মা বাড়িতে নেয়ার কথা বলে মেয়েটিকে সিলেট নিয়ে গেছে। এখন আমার প্রতিবন্ধী ছেলেটা রাতে বাড়িতে গিয়ে খুঁজাখুঁজি করে চিল্লাচিল্লি করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় সুমন সারাদিন কাজ করে দুই তিন শত টাকা ইনকাম করতে পারে। তাকে কেউ ঠকায় না। তিন বছর আগে উপজেলার মুনসুরপুর গ্রামে সে বিয়ে করে। তখন থেকে সে আমোদ ফুর্তিতেই চলছিলো। শুনলাম তার বৌ চলে গেছে। তখন থেকে সুমনের মন খুব খারাপ থাকে ।