০৪:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শেরপুর সদর হাসপাতালে গৃহবধূর মরদেহ ফেলে পালালো স্বামী

  • Reporter Name
  • প্রকাশের সময়ঃ ০৫:১০:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪
  • ১৬২ বার পড়া হয়েছে

 

শেরপুর প্রতিনিধিঃ শেরপুর সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে শান্তা (২৫) এক গৃহবধূর মরদেহ ফেলে পালিয়েছে তার স্বামী। ১৫ নভেম্বর শুক্রবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, নিহত ওই গৃহবধূর স্বামীর  নওশাদ আলম ওরফে মুরাদ। সে শেরপুরে একটি বেসরকারি কোম্পানির মেডিক্যাল প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করে। শেরপুর শহরের গরুহাটি এলাকার একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন তারা। নিহত শান্তার বাড়ি নেত্রকোণা জেলার কেন্দুয়া উপজেলায়। তার বাবার নাম জুয়েল মিয়া।

পুলিশ ও নিহতের পরিবার জানায়, বিকেলে গৃহবধূ শান্তাকে তার স্বামী সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনেন। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক রোগীকে পরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করেন। এ সময় ওই গৃহবধূর স্বামী মুরাদ কৌশলে পালিয়ে যায়। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পুলিশকে বিষয়টি জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। নিহত শান্তার সাথে গত পাঁচ মাস আগে পারিবারিক ভাবে নওশাদের বিয়ে হয়।

এ বিষয়ে সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল কর্মকর্তা (আর এম ও) হুমায়ুন আহমেদ নুর জানান, নিহত গৃহবধূর গলায় ফাঁসি দিয়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

এ বিষয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার এস আই, তারেক হাসান জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। এটা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড কিনা তা তদন্ত শেষে বলা যাবে বলেও জানান তিনি।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয়

আশুলিয়া স্কুল এন্ড কলেজের অফিস সহকারী হামিদুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড়

শেরপুর সদর হাসপাতালে গৃহবধূর মরদেহ ফেলে পালালো স্বামী

প্রকাশের সময়ঃ ০৫:১০:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪

 

শেরপুর প্রতিনিধিঃ শেরপুর সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে শান্তা (২৫) এক গৃহবধূর মরদেহ ফেলে পালিয়েছে তার স্বামী। ১৫ নভেম্বর শুক্রবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, নিহত ওই গৃহবধূর স্বামীর  নওশাদ আলম ওরফে মুরাদ। সে শেরপুরে একটি বেসরকারি কোম্পানির মেডিক্যাল প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করে। শেরপুর শহরের গরুহাটি এলাকার একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন তারা। নিহত শান্তার বাড়ি নেত্রকোণা জেলার কেন্দুয়া উপজেলায়। তার বাবার নাম জুয়েল মিয়া।

পুলিশ ও নিহতের পরিবার জানায়, বিকেলে গৃহবধূ শান্তাকে তার স্বামী সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনেন। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক রোগীকে পরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করেন। এ সময় ওই গৃহবধূর স্বামী মুরাদ কৌশলে পালিয়ে যায়। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পুলিশকে বিষয়টি জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। নিহত শান্তার সাথে গত পাঁচ মাস আগে পারিবারিক ভাবে নওশাদের বিয়ে হয়।

এ বিষয়ে সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল কর্মকর্তা (আর এম ও) হুমায়ুন আহমেদ নুর জানান, নিহত গৃহবধূর গলায় ফাঁসি দিয়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

এ বিষয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার এস আই, তারেক হাসান জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। এটা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড কিনা তা তদন্ত শেষে বলা যাবে বলেও জানান তিনি।