নিজস্ব প্রতিবেদকঃ যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব গ্রহণ করেছে লেবানন সরকার এবং ইরান সমর্থিত দেশটির সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহ। সোমবার (১৮ নভেম্বর) এ বিষয় সম্পর্কে জানে এমন এক শীর্ষ লেবানিজ কর্মকর্তা এ কথা জানিয়েছেন। তিনি এই প্রচেষ্টাকে যুদ্ধ শেষ করার সবচেয়ে গুরুতর উদ্যোগ বলে উল্লেখ করেন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
তবে আলোচনার সঙ্গে যুক্ত এক কূটনীতিক সতর্ক করে বলেছেন, কিছু বিষয় এখনও চূড়ান্ত করা বাকি আছে, যা চুক্তি সম্পন্ন হতে বিলম্ব ঘটাতে পারে। রয়টার্সকে একজন মার্কিন সূত্র জানায়, মার্কিন দূত আমোস জে হোচস্টাইন শিগগিরই বৈরুত সফরে যাবেন।
গত বছর একাধিক ব্যর্থ যুদ্ধবিরতির আলোচনার পর হোচস্টাইন গত সপ্তাহে আশা প্রকাশ করেন যে একটি সমঝোতা হতে পারে।
লেবাননের সংসদের স্পিকার নবীহ বেরির সহকারী আলী হাসান খলিল বলেন, লেবানন সোমবার মার্কিন রাষ্ট্রদূতের কাছে তাদের লিখিত প্রতিক্রিয়া হস্তান্তর করেছে।
ইরান সমর্থিত একটি শক্তিশালী সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহ তাদের দীর্ঘদিনের মিত্র বেরিকে যুদ্ধবিরতি আলোচনার দায়িত্ব দিয়েছে।
খলিল বলেন, ‘আমরা যে সব মন্তব্য দিয়েছি তা জাতিসংঘের রেজুলেশন ১৭০১-এর সব শর্ত মেনে চলার বিষয়টি নিশ্চিত করে।’
তিনি জানান, 'এখন এই উদ্যোগের সাফল্য ইসরায়েলের ওপর নির্ভর করছে। ইসরায়েল সমাধান না চাইলে এটি ১০০টি সমস্যা তৈরি করতে পারে।’
লেবাননের সর্বশেষ কূটনৈতিক মূল্যায়ন নিয়ে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
সোমবার লেবাননের সংসদ স্পিকার নবীহ বেরি বলেন, কূটনৈতিক ক্ষেত্রে একটি ইতিবাচক পরিবেশ দেখা যাচ্ছে, তবে সময়ের আগেই আশাবাদী হয়ে উঠতে সতর্ক করেছেন তিনি। শ্রমমন্ত্রী মুস্তাফা বাইরামের সঙ্গে এক বৈঠকের পর এ কথা জানান বেরি।
যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার মধ্যেই ইসরায়েলি বিমান হামলায় সোমবার লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ৫ জন নিহত ও ৩১ জন আহত হয়েছে। হামলার পর মধ্য-বৈরুতের জুক্বাক আল-ব্লাত এলাকা থেকে ধোঁয়া উঠতে দেখা গেছে।
গত এক সপ্তাহ ধরে লেবাননের রাজধানী ও এর আশপাশের এলাকায় হামলা জোরদার করেছে ইসরায়েল। হিজবুল্লাহও ইসরায়েলের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া অব্যাহত রেখেছে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ ওমর ফারুক। প্রকাশক কর্তৃক বি,এস প্রিন্টিং প্রেস, ৫২/২ টয়েনবী সার্কুলার রোড , ঢাকা- ১২০৩ থেকে মুদ্রিত ও ২ আর কে মিশন রোড (৫ম তলা) থেকে প্রকাশিত।
© All rights reserved © 2017 Alokito Kantho