০৫:৩৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তাজরীন ট্র্যাজেডি: নিহত শ্রমিকদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্বলন

  • Reporter Name
  • প্রকাশের সময়ঃ ০৮:১৪:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪
  • ২১৯ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ তাজরীন ট্র্যাজেডির একযুগ পূর্তিতে সাভারের আশুলিয়ায় তাজরীন ফ্যাশনে অগ্নিকাণ্ডে নিহত শ্রমিকদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্বলন করেছেন নিহতদের স্বজন, আহত শ্রমিক ও শ্রমিক সংগঠনের নেতা কর্মীরা।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় একতা গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন আয়োজনে আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুর এলাকায় তাজরীন ফ্যাশন কারখানার সামনে এই মোমবাতি প্রজ্জলন করেন তারা।

এসময় আহত শ্রমিকরা  জানান, তাজরীন ফ্যাশনের আগুনে যারা নিহত হয়েছেন তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করি। আহত ও নিহদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয় নি। যারা বেঁচে আছেন তারা মরার মতো বেঁচে আছেন। তাদের সন্তানরা পুষ্টিহীনতায় ভুগছেন। আহত শ্রমিকরা ঠিক মতো দু বেলা খেতে পারছেন না। সন্তানের লেখাপড়ার খরচ অভাবে তাদের সন্তানরা কিশোর বয়সেই সংসারের হাল ধরতে বাধ্য হয়েছে। আমরা আহতদের পর্যাপ্ত চিকিৎসা, পুনর্বাসনহ নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানাই।

শ্রমিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা বলেন, পোশাক খাতে শ্রমিকদের জীবন এভাবে যেন ঝড়ে না যায় সেদিকে যত্নবান হতে হবে। দোষীদের আইনের আওতায় আনলে পোশাক খাতে এমন দুর্ঘটনা ঘটতো না। আমরা   জানি, ২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর তাজরীনের আগুনে পুড়ে অঙ্গার হয়েছেন ১১৭ জন ও আহত হয়েছেন অন্তত দুই শতাধিক শ্রমিক। তাদের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে কোন ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয় নি। আমরা চাই প্রতিটা আহত শ্রমিক ও নিহতের পরিবার যেন তাদের ন্যায্য ক্ষতিপূরণ পায়। তারা যেন আন্তর্জাতিক মানের ক্ষতিপূরণ পান এই দাবি জানাই। এছাড়া তাজরীনের পরিত্যক্ত ভবনটি সংস্কার করে দ্রুত শ্রমিকদের জন্য একটি হাসপাতাল নির্মানের দাবি জানাই। যেখানে সকল শ্রমিকের বিনা খরচে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হবে। সেই সাথে অগ্নিকান্ডে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন নেতাকর্মীরা।

সব শেষে নিহতদের মাগফেরাত ও আহতদের সুস্থ্যতা কামনায় দোয়া মাহফিল ও নিহতদের স্মরণে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।

এসময় বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতি, বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক ঔক্য ফেডারেশন, বিপ্লবী গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন, বাংলাদেশ টেক্সটাইল গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন, বাংলাদেশ গার্মেন্ট ও সোয়েটার্স শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রসহ বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয়

সাতক্ষীরা প্রেস ক্লাবে হামলা, ডিবিসি ও বেতারের সাংবাদিকসহ আহত ১০

তাজরীন ট্র্যাজেডি: নিহত শ্রমিকদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্বলন

প্রকাশের সময়ঃ ০৮:১৪:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ তাজরীন ট্র্যাজেডির একযুগ পূর্তিতে সাভারের আশুলিয়ায় তাজরীন ফ্যাশনে অগ্নিকাণ্ডে নিহত শ্রমিকদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্বলন করেছেন নিহতদের স্বজন, আহত শ্রমিক ও শ্রমিক সংগঠনের নেতা কর্মীরা।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় একতা গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন আয়োজনে আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুর এলাকায় তাজরীন ফ্যাশন কারখানার সামনে এই মোমবাতি প্রজ্জলন করেন তারা।

এসময় আহত শ্রমিকরা  জানান, তাজরীন ফ্যাশনের আগুনে যারা নিহত হয়েছেন তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করি। আহত ও নিহদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয় নি। যারা বেঁচে আছেন তারা মরার মতো বেঁচে আছেন। তাদের সন্তানরা পুষ্টিহীনতায় ভুগছেন। আহত শ্রমিকরা ঠিক মতো দু বেলা খেতে পারছেন না। সন্তানের লেখাপড়ার খরচ অভাবে তাদের সন্তানরা কিশোর বয়সেই সংসারের হাল ধরতে বাধ্য হয়েছে। আমরা আহতদের পর্যাপ্ত চিকিৎসা, পুনর্বাসনহ নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানাই।

শ্রমিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা বলেন, পোশাক খাতে শ্রমিকদের জীবন এভাবে যেন ঝড়ে না যায় সেদিকে যত্নবান হতে হবে। দোষীদের আইনের আওতায় আনলে পোশাক খাতে এমন দুর্ঘটনা ঘটতো না। আমরা   জানি, ২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর তাজরীনের আগুনে পুড়ে অঙ্গার হয়েছেন ১১৭ জন ও আহত হয়েছেন অন্তত দুই শতাধিক শ্রমিক। তাদের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে কোন ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয় নি। আমরা চাই প্রতিটা আহত শ্রমিক ও নিহতের পরিবার যেন তাদের ন্যায্য ক্ষতিপূরণ পায়। তারা যেন আন্তর্জাতিক মানের ক্ষতিপূরণ পান এই দাবি জানাই। এছাড়া তাজরীনের পরিত্যক্ত ভবনটি সংস্কার করে দ্রুত শ্রমিকদের জন্য একটি হাসপাতাল নির্মানের দাবি জানাই। যেখানে সকল শ্রমিকের বিনা খরচে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হবে। সেই সাথে অগ্নিকান্ডে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন নেতাকর্মীরা।

সব শেষে নিহতদের মাগফেরাত ও আহতদের সুস্থ্যতা কামনায় দোয়া মাহফিল ও নিহতদের স্মরণে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।

এসময় বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতি, বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক ঔক্য ফেডারেশন, বিপ্লবী গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন, বাংলাদেশ টেক্সটাইল গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন, বাংলাদেশ গার্মেন্ট ও সোয়েটার্স শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রসহ বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।