মোঃ চঞ্চল মাহমুদ খান স্টাফ রিপোর্টারঃ মানিকগঞ্জের শিবালয়ে গৃহবধূর গলা কাঁটা লাশ উদ্ধারের ৪ দিনপর বের হয়ে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। পরকীয়ার জেরে হত্যা হতে হয়েছে নুরজাহান বেগমকে (৩৫)। হত্যাকারী আলিফসহ হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাকু উদ্ধার করেছে পুলিশ।
পুলিশ গণমাধ্যমকে জানায়, শনিবার সকালে আসামী আলিফের জবানবন্দী অনুযায়ী ঘটনাস্থলের পাশে একটি পুকুর থেকে হত্যাকান্ডের ঘটনায় ব্যবহৃত চাকু উদ্ধার করা হয়েছে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে র্যাবের সহযোগীতায় টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুরের সলিমাবাদ এলাকা থেকে শুক্রবার সন্ধ্যায় আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
হত্যাকারী আলিফ শিবালয় উপজেলার ছোট বোয়ালি বসবাস করেন। তার বাবার নাম মো. আতোয়ার (আকালী)। নিহত নুরজাহান বেগমের স্বামীর সাথে কাঠ কাটার কাজ করত আলিফ। কাজের সুবাদেই সম্পর্ক গড়ে ওঠে নিহত নুরজাহান এবং আলিফের। পরকীয়া প্রেম প্রায় ৮ বছর চলামান ছিল। পরকীয়ার সম্পর্ক জানাজানি হওয়াতে স্বামী এখলাস নুরজাহানকে আলিফের সাথে সম্পর্ক বিছিন্ন করতে বলে এতে নিহত নুরজাহান বেগম আলিফের সাথে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করতে চাইলেই তাদের মধ্যে সৃষ্টি হয় মান-অভিমানের। ১৮ নভেম্বর সন্ধ্যায় নুরজাহানের স্বামী বাজারে গেলে সেই সুযোগ নিয়ে দুজন ফোনে যোগাযোগের মাধ্যমে বাড়ির পাশে এক ঘাস ক্ষেতে গিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করে দুজন। সেই সুযোগেই আলিফ ধারালো চাকু দিয়ে গলা কেঁটে জবাই করে হত্যা করে নুরজাহান বেগমকে।
শিবালয় থানার ওসি এ,আর, এম আল মামুন গণমাধ্যমকে বলেন, অত্যাধুনিক প্রযুুক্তি ব্যবহার করে র্যাবের সহযোগিতা নিয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় টাঙ্গাইলের নাগরপুর থানার সলিমাবাদ এলাকা থেকে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকা আসামি আলিফকে গ্রেপ্তার করা হয়। শনিবার সকালে হত্যাকারী আলিফের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ঘটনাস্থলের পাশ্ববর্তী একটি পুকুর থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত একটি চাকু উদ্ধার করা হয় এবং জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আসামিকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ ওমর ফারুক। প্রকাশক কর্তৃক বি,এস প্রিন্টিং প্রেস, ৫২/২ টয়েনবী সার্কুলার রোড , ঢাকা- ১২০৩ থেকে মুদ্রিত ও ২ আর কে মিশন রোড (৫ম তলা) থেকে প্রকাশিত।
© All rights reserved © 2017 Alokito Kantho