০৯:৫০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫, ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মায়ানমার সীমান্তে রাতভর গোলাগুলি, আতংকে বাংলাদেশীরা

  • Reporter Name
  • প্রকাশের সময়ঃ ১১:০৫:৩৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪
  • ৭৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডু টাউনশিপের আশপাশে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির চলা লড়াইয়ে বিস্ফোরণের শব্দ ভেসে আসছে সীমান্তের এপারে। আবারও মর্টার শেল, শক্তিশালী বোমা, গ্রেনেড ও গুলির শব্দ শুনছেন কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্ত এলাকার বাসিন্দারা।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) রাতভর টেকনাফ সীমান্তবর্তী মংডু শহরের আশপাশ থেকে ভারী গোলাগুলির শব্দ পাওয়া গেছে।  বিস্ফোরণের বিকট শব্দে কেঁপে উঠছে সীমান্ত এলাকা।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাত ১১টার পর থেকে বিস্ফোরণ হতে থাকে। বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত এমন বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।

সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নূর হোসেন বলেন, রাখাইন রাজ্যের মংডু শহরের আশপাশে সংঘাত অনেক বেড়ে গেছে। এ কারণে মংডু শহরের পশ্চিম সীমান্তের টেকনাফ পৌরসভা, সাবরাং ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোতে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে।

সাবরাং ইউপির ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মোহাম্মদ শরিফ বলেন, কখনো শান্ত, আবার কখনো বিস্ফোরণ, এভাবে চলছে।  রাত থেকে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে। রাতভর বিস্ফোরণ এর আগে এমন তীব্র ছিল না। সীমান্ত এলাকার মানুষ সারা রাত জেগে কাটিয়েছে।

সীমান্ত এলাকার লোকজন ও জনপ্রতিনিধিদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, কিছুদিন বন্ধ থাকার পর সীমান্তের ওপারে আবার সংঘাত শুরু হয়। এরপর থেকে টেকনাফে ক্রমাগত বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। সবশেষ গতকাল রাত থেকে আজ সকাল পর্যন্ত আবারও বিস্ফোরণের বিকট শব্দ হয়েছে।

সাবরাং ইউপির চেয়ারম্যান নূর হোসেন বলেন, কয়েক দিন বন্ধ থাকার পর আবারও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে। বিকট শব্দের কারণে বাড়িঘরে বসবাস করা যাচ্ছে না। এখানকার মানুষের রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। এভাবে আর কত দিন?

এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরিফ উল্লাহ নেজামী বলেন, মিয়ানমারের বোমা বিস্ফোরণের শব্দে টেকনাফের বাড়িঘর কেঁপে উঠছে। স্বাভাবিকভাবেই এলাকার বাসিন্দারা আতঙ্কিত। এটি মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সমস্যা হলেও এই সুযোগে যাতে কোনো রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করতে না পারে, সে জন্য সীমান্তে বিজিবি–কোস্টগার্ডের টহল ও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয়

মায়ানমার সীমান্তে রাতভর গোলাগুলি, আতংকে বাংলাদেশীরা

প্রকাশের সময়ঃ ১১:০৫:৩৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডু টাউনশিপের আশপাশে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির চলা লড়াইয়ে বিস্ফোরণের শব্দ ভেসে আসছে সীমান্তের এপারে। আবারও মর্টার শেল, শক্তিশালী বোমা, গ্রেনেড ও গুলির শব্দ শুনছেন কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্ত এলাকার বাসিন্দারা।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) রাতভর টেকনাফ সীমান্তবর্তী মংডু শহরের আশপাশ থেকে ভারী গোলাগুলির শব্দ পাওয়া গেছে।  বিস্ফোরণের বিকট শব্দে কেঁপে উঠছে সীমান্ত এলাকা।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাত ১১টার পর থেকে বিস্ফোরণ হতে থাকে। বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত এমন বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।

সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নূর হোসেন বলেন, রাখাইন রাজ্যের মংডু শহরের আশপাশে সংঘাত অনেক বেড়ে গেছে। এ কারণে মংডু শহরের পশ্চিম সীমান্তের টেকনাফ পৌরসভা, সাবরাং ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোতে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে।

সাবরাং ইউপির ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মোহাম্মদ শরিফ বলেন, কখনো শান্ত, আবার কখনো বিস্ফোরণ, এভাবে চলছে।  রাত থেকে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে। রাতভর বিস্ফোরণ এর আগে এমন তীব্র ছিল না। সীমান্ত এলাকার মানুষ সারা রাত জেগে কাটিয়েছে।

সীমান্ত এলাকার লোকজন ও জনপ্রতিনিধিদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, কিছুদিন বন্ধ থাকার পর সীমান্তের ওপারে আবার সংঘাত শুরু হয়। এরপর থেকে টেকনাফে ক্রমাগত বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। সবশেষ গতকাল রাত থেকে আজ সকাল পর্যন্ত আবারও বিস্ফোরণের বিকট শব্দ হয়েছে।

সাবরাং ইউপির চেয়ারম্যান নূর হোসেন বলেন, কয়েক দিন বন্ধ থাকার পর আবারও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে। বিকট শব্দের কারণে বাড়িঘরে বসবাস করা যাচ্ছে না। এখানকার মানুষের রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। এভাবে আর কত দিন?

এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরিফ উল্লাহ নেজামী বলেন, মিয়ানমারের বোমা বিস্ফোরণের শব্দে টেকনাফের বাড়িঘর কেঁপে উঠছে। স্বাভাবিকভাবেই এলাকার বাসিন্দারা আতঙ্কিত। এটি মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সমস্যা হলেও এই সুযোগে যাতে কোনো রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করতে না পারে, সে জন্য সীমান্তে বিজিবি–কোস্টগার্ডের টহল ও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।