০৩:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫, ১১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঘিওরে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ 

  • Reporter Name
  • প্রকাশের সময়ঃ ১০:৪৬:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ৯৬ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টারঃ মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার ফুলহারা আঞ্চলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শিল্পী আক্তারের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ তুলেছেন শিক্ষক, ছাত্রছাত্রী ও এলাকাবাসী । এর প্রতিবাদে তারা বিক্ষোভ করেছেন। এতে বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।

গণমাধ্যম এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক শিল্পী আক্তারকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি  জানান, আমাকে নিয়োগ দিয়েছে ম্যানেজিং কমিটি। এতে আমার অপরাধ কি। এছাড়া তার বিরুদ্ধে যে অনিয়ম ও দুর্নীতির কথা উঠেছে তা সত্য নয় বলেও দাবি তার।

প্রধান শিক্ষক শিল্পী আক্তারের অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সরকারি বিধি মোতাবেক সহকারী শিক্ষকদের প্রধান শিক্ষক পদে আবেদন করতে হলে এমপিওভুক্তির তারিখ থেকে ন্যূনতম ১২ বছরের যোগ্যতা লাগে। শিল্পী আক্তার এমপিওভুক্ত হয় ১ নভেম্বর ২০১০ সালে। তার স্বামী সায়েদুর রহমান স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা হওয়ায় দলীয় প্রভাব খাঁটিয়ে অবৈধভাবে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে তিনি এমপিওভুক্তির তারিখ হতে মাত্র তিন বছরের মধ্যে ১৬ জুন ২০১৩ সালে তিনি প্রধান শিক্ষক পদে যোগদান করেন। যোগদানের পরই কাশেম আলী নামের এক সহকারী শিক্ষকের নামে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে এমপিওভুক্ত করে তার বেতনের টাকা নিজেই আত্মসাৎ করেছে এই অভিযোগ রয়েছে। তাছাড়াও স্বামীর প্রভাব খাঁটিয়ে নানা রকম মামলা মোকদ্দমার মাধ্যমে জাল-জালিয়াতি করে প্রতি বছর ম্যানেজিং কমিটি বাতিল ও স্থগিত করেন। তারপর তার স্বামীকে অ্যাডহক কমিটির সভাপতি বানিয়ে বিদ্যালয়ের যাবতীয় আয়-ব্যয় গোপন করে লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করে। তিনি বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের সেশন ফি, ভর্তি ফি, সরকারি বরাদ্দকৃত বিজ্ঞানাগারের মালামাল ক্রয়ে এবং সকল অনুদানের লক্ষ টাকা তিনি ও তার স্বামী আত্মসাৎ করেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন,  এ ব্যাপারে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ পেয়েছি, সঠিক তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয়

চিরনিদ্রায় কালিগঞ্জের শ্রদ্ধেয় শিক্ষক আজিজুর রহমান

ঘিওরে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ 

প্রকাশের সময়ঃ ১০:৪৬:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ ডিসেম্বর ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টারঃ মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার ফুলহারা আঞ্চলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শিল্পী আক্তারের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ তুলেছেন শিক্ষক, ছাত্রছাত্রী ও এলাকাবাসী । এর প্রতিবাদে তারা বিক্ষোভ করেছেন। এতে বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।

গণমাধ্যম এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক শিল্পী আক্তারকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি  জানান, আমাকে নিয়োগ দিয়েছে ম্যানেজিং কমিটি। এতে আমার অপরাধ কি। এছাড়া তার বিরুদ্ধে যে অনিয়ম ও দুর্নীতির কথা উঠেছে তা সত্য নয় বলেও দাবি তার।

প্রধান শিক্ষক শিল্পী আক্তারের অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সরকারি বিধি মোতাবেক সহকারী শিক্ষকদের প্রধান শিক্ষক পদে আবেদন করতে হলে এমপিওভুক্তির তারিখ থেকে ন্যূনতম ১২ বছরের যোগ্যতা লাগে। শিল্পী আক্তার এমপিওভুক্ত হয় ১ নভেম্বর ২০১০ সালে। তার স্বামী সায়েদুর রহমান স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা হওয়ায় দলীয় প্রভাব খাঁটিয়ে অবৈধভাবে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে তিনি এমপিওভুক্তির তারিখ হতে মাত্র তিন বছরের মধ্যে ১৬ জুন ২০১৩ সালে তিনি প্রধান শিক্ষক পদে যোগদান করেন। যোগদানের পরই কাশেম আলী নামের এক সহকারী শিক্ষকের নামে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে এমপিওভুক্ত করে তার বেতনের টাকা নিজেই আত্মসাৎ করেছে এই অভিযোগ রয়েছে। তাছাড়াও স্বামীর প্রভাব খাঁটিয়ে নানা রকম মামলা মোকদ্দমার মাধ্যমে জাল-জালিয়াতি করে প্রতি বছর ম্যানেজিং কমিটি বাতিল ও স্থগিত করেন। তারপর তার স্বামীকে অ্যাডহক কমিটির সভাপতি বানিয়ে বিদ্যালয়ের যাবতীয় আয়-ব্যয় গোপন করে লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করে। তিনি বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের সেশন ফি, ভর্তি ফি, সরকারি বরাদ্দকৃত বিজ্ঞানাগারের মালামাল ক্রয়ে এবং সকল অনুদানের লক্ষ টাকা তিনি ও তার স্বামী আত্মসাৎ করেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন,  এ ব্যাপারে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ পেয়েছি, সঠিক তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।