নিজস্ব প্রতিবেদকঃ শান্তিতে ২০২৩ সালের নোবেল পুরস্কার বিজয়ী এবং ইরানের খ্যাতিমান মানবাধিকারকর্মী নার্গিস মোহাম্মদী চিকিৎসার প্রয়োজনে কারাগার থেকে সাময়িক মুক্তি পেয়েছেন। নার্গিসের স্বামী ত্বাকি রাহমানি বুধবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তেহরানের কুখ্যাত এভিন কারাগারে বন্দী নার্গিসকে ইরান সরকার প্রোপাগান্ডা ছড়ানোসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগে কারাদণ্ড দিয়েছে। তবে তার আইনজীবী মোস্তাফা নিলি জানান, তেহরানের ফরেনসিক চিকিৎসকের সুপারিশের ভিত্তিতে কৌঁসুলি তার তিন সপ্তাহের কারাদণ্ড স্থগিত করেছেন।
নার্গিস মোহাম্মদীর দেহ থেকে তিন সপ্তাহ আগে একটি টিউমার অপসারণ এবং হাড়ে অস্ত্রোপচার করা হয়। এসব কারণে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। আইনজীবী মোস্তাফা নিলি এক্সে এক পোস্টে বলেন, ‘টিউমারটি ক্ষতিকারক ছিল না, কিন্তু তার শারীরিক অবস্থার উন্নতিতে নিয়মিত চিকিৎসা প্রয়োজন। তিন মাস পর পর তাকে মেডিকেল পরীক্ষার আওতায় রাখা হবে।
নার্গিস মোহাম্মদীর প্রতি ইরান সরকারের নির্যাতনের নিন্দা জানিয়ে নরওয়ের নোবেল কমিটির প্রধান ইউর্গেন ওয়াতনে ফ্রিদনেস এক বিবৃতিতে বলেন, আমরা ইরান সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই, তার কারাদণ্ড বাতিল করে তাকে উপযুক্ত চিকিৎসা দিতে ব্যবস্থা নিন।
নার্গিসের প্রতি ইরান সরকারের আচরণ দীর্ঘদিন ধরে সমালোচনার মুখে। নোবেল কমিটি উল্লেখ করেছে, নার্গিসকে ১৩ বার গ্রেপ্তার, পাঁচবার দোষী সাব্যস্ত এবং ৩১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও তাকে ১৫৪ বার বেত্রাঘাতের দণ্ড দেওয়া হয়েছে।
নার্গিস মোহাম্মদীর সাহসিকতা ও নির্যাতন সহ্য করার ক্ষমতা তাকে বিশ্বজুড়ে মানবাধিকার রক্ষার প্রতীকে পরিণত করেছে। নোবেল পুরস্কার ঘোষণার সময় কমিটি বলেছিল, তার নিরন্তর সংগ্রামের জন্য তাকে অভাবনীয় মূল্য দিতে হয়েছে।
তবে সাময়িক মুক্তি পেলেও নার্গিসের ভবিষ্যৎ এবং চিকিৎসার সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিয়ে এখনো উদ্বেগ রয়ে গেছে।