নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বাংলা বর্ষপঞ্জির অগ্রহায়ণে শেষ সপ্তাহে উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা কুড়িগ্রামে জেঁকে বসেছে শীত। হিমালয়ের নিকটবর্তী হওয়ায় এ জেলায় শীতের তীব্রতা অনেক বেশি। হাড় কাঁপানো এই শীতের সঙ্গে বেড়েছে ঘন কুয়াশা। রাত থেকে সকাল পর্যন্ত বৃষ্টির মতো করে পড়ছে শিশির।
আজ সোমবার দুপুর ২টার পরেও দেখা মেলেনি সূর্যের। স্থবির হয়ে পড়েছে জেলার চরাঞ্চলের খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষজনের জীবনযাত্রা। শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন শিশু ও বয়স্করাও। চিলমারী নৌ-বন্দর ও যাত্রাপুর নৌ-ঘাট থেকে সকাল ৮টার নৌ-যানগুলো ২ ঘণ্টা বিলম্বে ছেড়েছে।
ঘন কুয়াশার কারণে হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীর গতিতে চলছে যানবাহন। বেলা গড়িয়ে সূর্যের দেখা না পাওয়ায় ও হিমেল বাতাসের কারণে ঠান্ডার অনুভূতি থাকছে। ফলে শৈত্যপ্রবাহ না থাকলেও প্রচণ্ড শীতে জেলাবাসীর জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। বিশেষ করে নদীর চর-দ্বীপ চরের মানুষজন বেশি কষ্ট পাচ্ছে।
সোমবার জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
কুড়িগ্রাম কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র জানান, আকাশে মেঘ ও ঘন কুয়াশার বলয় থাকায় সূর্যের দেখা মিলছে না, যা আরও দুই-একদিন থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে তাপমাত্রা আরও নিম্নগামী হবে। চলতি মাসে ২-৩টি শৈত্যপ্রবাহ জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যেতে পারে।
জেলা সদরের যাত্রাপুরের পোড়ার চরের বাসিন্দা ফাতেমা বেগম বলেন, ‘দুপুর ২টা পর হইল এল্যাও সূর্যের দেখা নাই। মানষের বাড়িত কাম করি, আজ ঠান্ডার জন্য নদী পারে হবার পাই নাই।’
যাত্রাপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘ঠান্ডা তো আজ কয়েকদিন থাকি খুব পড়তেছে। আমার এলাকার মানুষজনক সব থেকে হতদরিদ্র। এনা দিনমজুরী করে চলে, পরিষদ থেকে কোনো কম্বল পাই নাই।’
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুল হাই সরকার বলেন, ‘শীতের জন্য এ বছর নতুন করে কম্বল বা অর্থ এখনও পর্যন্ত বরাদ্দ দেয়নি। আমাদের কাছে ৯ উপজেলার জন্য ১৮০০ কম্বল মজুত রয়েছে।’