নিজস্ব প্রতিবেদকঃ মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট জোসে রামোস হোর্তা, অন্য কয়েকজন উপদেষ্টা ও তিন বাহিনীর প্রধান। সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ৭টা ১২ মিনিটের দিকে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানান তারা।
ওই সময় ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহিদদের স্মৃতির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাতে সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন তারা। একই সময় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত একটি চৌকস দল রাষ্ট্রীয় অভিবাদন জানায়। পরে বিউগলে বেজে উঠে করুণ সুর। পরবর্তীতে স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে রাখা দর্শনার্থী বইয়ে স্বাক্ষর করেন প্রধান উপদেষ্টা।
এর আগে সকাল সাড়ে ৬টার দিকে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। এ সময় পুষ্পস্তবক অর্পণের পর মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহিদদের স্মৃতির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন তিনি।
এ সময় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত একটি চৌকস দল রাষ্ট্রীয় অভিবাদন জানায়। বিউগলে করুণ সুর বেজে উঠে। পরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে রাখা দর্শনার্থী বইয়ে স্বাক্ষর করেন।
১৯৭১ সালের এই দিনে পৃথিবীর মানচিত্রে স্বীকৃতি পায় স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ। বীরত্বপূর্ণ সংগ্রামে রচিত হয় বিজয়ের ইতিহাস। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে নিরস্ত্র বাঙালির ওপর হামলা চালায় পাক হানাদার বাহিনী। গণহত্যার পৈশাচিকতায় মেতে ওঠে তারা। শুরু হয় প্রতিরোধ সংগ্রাম। চলে ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ। ৩০ লাখ শহীদ ও ২ লাখ মা-বোনের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয় স্বাধীনতা। ১৬ ডিসেম্বর রেসকোর্স ময়দানে আত্মসমর্পণ করে পাক হানাদার বাহিনী।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ ওমর ফারুক। প্রকাশক কর্তৃক বি,এস প্রিন্টিং প্রেস, ৫২/২ টয়েনবী সার্কুলার রোড , ঢাকা- ১২০৩ থেকে মুদ্রিত ও ২ আর কে মিশন রোড (৫ম তলা) থেকে প্রকাশিত।
© All rights reserved © 2017 Alokito Kantho