আজ ৫ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৯শে জানুয়ারি, ২০২৫ ইং

সাভার ও আশুলিয়ায় ফুটপাতে জমজমাট শীতের কাপড়ের বাজার 

রাউফুর রহমান পরাগ : শীতের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় সাভার ও  আশুলিয়ায় ফুটপাতে জমে উঠেছে শীতে গরম কাপড় বিক্রি। শপিংমলের থেকে দামে কম হওয়ায় সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ ভীর করছেন ফুটপাতে।  আর ফুটপাতের দোকানগুলো দরিদ্র মানুষের জন্য বাড়তি আয়ের সুযোগ সৃষ্টি করেছে।

সাভার ও আশুলিয়ার বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা যায় হেমায়েতপুর, উলাইল,সাভার বাজার বাস স্ট্যান্ড,  ডিইপিজেড, বলিভদ্র বাজার, শ্রীপুর, জিরানী বাজার, পল্লীবিদ্যুত এবং বাইপাইল-আবদুল্লাহপুর সড়কের জামগড়া সহ বিভিন্ন মহাসড়কের পাশের ফুটপাতে জমে উঠেছে শীতবস্রের বাজার। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ফুটপাতের দোকানগুলোতে নিম্ন আয়ের মানুষের পাশাপাশি উচ্চবিত্তরাও এসব দোকানে ভিড় জমাচ্ছেন। বিশেষ করে মৌসুম ভিত্তিক দোকানগুলোতে শীতবস্র বিক্রি চলছে পুরোদমে। শীত কম থাকায় ব্যবসা কম হচ্ছে। শীত পড়লে সামনে আরো ভালো ব্যবসা হবে এরকম প্রত্যাশা দোকানিদের।

ফুটপাতের এসব দোকানগুলোতে একটি স্যোয়েটারের দাম ১৫০ থেকে ৩০০ টাকা, বাচ্চাদের কাপড় ৫০ থেকে শুরু করে ২০০ টাকা পর্যন্ত, বাচ্চাদের ফুলাহাত গেঞ্জি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত। আবার ছেলেদের হুডিও পাওয়া যাচ্ছে ২৫০ টাকা থেকে ৪০০ টাকার মধ্যে।  সাধ্যের মধ্যে থেকেই পছন্দের শীতের পোশাকটি বেছে নিচ্ছেন অনেকে।

ডিইপিজেড এলাকার ফুটপাতে শীতের কাপড় এর একজন বিক্রেতা  জানান, শীত এখনো সেরকম পড়ছে না। তবে দুই/তিন্দিন আগে বেশ শীত পড়েছিল, তখন বিক্রিও ছিল বেশি। এখন একটু কম। তিনি ছোট-বড় সকলের শীতের পোশাক বিক্রি করছেন। বিশেষ করে স্যোয়েটার, চাদর, ফুলহাতা গেঞ্জি, বাচ্চাদের শীতের পোশাক সহ নানা ধরণের পোশাক। তবে বড়দের তুলনায় বাচ্চাদের পোশাক তুলনামূলকভাবে বেশি বিক্রি হচ্ছে। দুই/একদিন পরে বিক্রি আরো বাড়বে বলেও জানান তিনি।

শ্রীপুর ফুটপাতের খোলা আকাশের নীচে মেঝেতে জামা কাপড় রেখে বিক্রি করছেন আব্দুর রহমান। তিনি জানান, এবার শীতের মৌসুম আসতেই মানুষজন কাপড় কিনছেন। শিল্পাঞ্চল এলাকা হওয়াতে মাসের ০৭-১২ এর মধ্যে বেচা-বিক্রি বেশি হয়। কারণ এই সময়টাতেই পোশাক শ্রমিকরা বেতন পেয়ে থাকেন। পোশাক শ্রমিকরাই তাদের অধিকাংশ ক্রেতা। এছাড়াও এখানে দাম কম হওয়ায় প্রায় সব রকমের মানুষজন এখান থেকে শীতের পোশাক কিনে থাকেন।

জিরানী বাজার এলাকা থেকে মেয়ের জন্য শীতের পোশাক কিনতে এসেছেন জাহানারা বেগম নামের এক নারী শ্রমিক। তিনি বলেন, “বেশ কিছুদিন ধরে শীত শুরু হয়েছে। বাচ্চাদের এখনো শীতের জামা কিনে দেয়নি। লোকমূখে শুনে শ্রীপুরে ফুটপাতে এসেছি। এখানে নাকি কম দামে শীতের পোশাক পাওয়া যায়। মেয়ের জন্য একটা কিনেও ফেলেছি। তবে শপিং মল গুলোতে কাপড়ের দাম অনেকটা বেশি, তাই বাধ্য হয়ে ফুটপাত থেকেই কিনছি বলেও তিনি যোগ করেন।”

শীতের পোশাক কিনতে এসেছেন শাহাদাত হোসেন নামের একজন। তিনি জানান, শপিংমলগুলোতে কাপড়ের দাম বেশি হওয়ায় তিনি ফুটপাতে এসেছেন নিজের জন্য একটা স্যোয়েটার কিনতে। এখানে কম দামে শীতের কাপড়  পাওয়া যায়। একটা কিনেছি।

Comments are closed.

     এই বিভাগের আরও সংবাদ