আজ ৫ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৯শে জানুয়ারি, ২০২৫ ইং

যে কোন সময় ইয়াঙ্গুন দখল নিয়ে নেবে আরাকান আর্মি

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সীমান্ত দখলের পরে এবার মিয়ানমারের বিদ্রোহীদের ‘নজর’ দেশের প্রশাসনিক এবং বাণিজ্যিক কেন্দ্রে! সংবাদমাধ্যম ইরাবতি বুধবার জানিয়েছে, বাণিজ্য রাজধানী ইয়াঙ্গুনের অদূরে থান্ডওয়ে নৌঘাঁটির দখল নিয়েছে বিদ্রোহী জোটের বৃহত্তম শরিক আরাকান আর্মির যোদ্ধারা। পাশের গাওয়া শহরও তাদের দখলে।

ইরাবতি নদী সংলগ্ন ওই অঞ্চল সামরিক অবস্থানগত দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ। গাওয়া থেকেই পথ গিয়েছে ইয়াঙ্গুন এবং রাজধানী নেইপিদোর দিকে।

কয়েক মাস আগে কায়কতাও নৌঘাঁটি দখল করেছিল আরাকান আর্মি। কিন্তু এ বার কার্যত মিয়ানমারের মূল প্রশাসনিক কেন্দ্রের কাছে চলে এল তারা। ‘দ্য ইরাবতির ইঙ্গিত, জান্তা সরকারকে উৎখাত করতে এর পরে বিদ্রোহীদের যৌথবাহিনী সে দিকেই এগোতে পারে। প্রসঙ্গত, গত ১৩ মাসের গৃহযুদ্ধে এই প্রথম ইরাবতি অববাহিকায় অনুপ্রবেশ করল আরাকান আর্মি।

বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী রাখাইনের পরে রবিবার রাতে মণিপুর লাগোয়া চিন প্রদেশের দখল নিয়েছে মায়ানমারের বিদ্রোহীরা! এই অংশেই মিয়ানমারের কুকি চিন জনগোষ্ঠীর বসবাস। ফলে নতুন করে সীমান্ত পেরিয়ে মণিপুরে অনুপ্রবেশের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সামরিক জান্তা সরকারের বাহিনীকে হটিয়ে থাইল্যান্ড এবং চিনের সীমান্তবর্তী এলাকার বড় অংশ কয়েক মাস আগেই নিয়ন্ত্রণে নিয়েছিল বিদ্রোহী জোট। চলতি মাসের গোড়ায় বৃহত্তম বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির নেতৃত্বে বিদ্রোহী জোট দখল করে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী রোহিঙ্গা অধ্যুষিত রাখাইন প্রদেশ।

এবার মণিপুর লাগোয়া অঞ্চলও তাদের দখলে গেল। গাওয়ার অদূরেরই সৈকত শহর এনগাপালিতে জান্তা সেনার ‘ওয়েস্টার্ন কমান্ডে’র সদর দফতর। ইতোমধ্যেই সেখানে আরাকান আর্মি এবং তাদের সহযোগী কারেন ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি হামলার প্রস্তুতি শুরু করেছে।

Comments are closed.

     এই বিভাগের আরও সংবাদ