মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি : মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার উথলী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষকেরা। উপজেলার প্রাচীনতম ছাত্রীদের জন্য বিশেষায়িত এই বিদ্যালয়ে মানসম্মত শিক্ষার সকল পরিবেশ রয়েছে। বিদ্যালয়টি জাতীয়করণসহ ক্লাচমেন্টের মধ্যে ছাত্রী ভর্তি কোটা নির্ধারণের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষকেরা।
উথলী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: রফিকুল ইসলাম জানান, বিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত শিক্ষক ও অবকাঠামো রয়েছে। কিন্তু, পার্শ্ববর্তী বিদ্যালয়গুলোতে বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করায় এই বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী রয়েছে তুলনামুলক কম। এমনিতেই শিক্ষার্থী কম, তারপর আবার ৭০/৮০ জন ছাত্রী গোপনে বাল্যবিবাহের শিকার হচ্ছে। যে কারণে বিদ্যালয়ে দিন দিন ছাত্রী সংখ্যা আরও কমে গেছে। বিদ্যালয়ে ছাত্রীদের জন্য নিরাপত্তা বেষ্টনি ছাড়াও সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। ছাত্রী ও অভিভাবকেরা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিদ্যালয়ে ভর্তি হলে লেখাপড়ার মান বৃদ্ধি ও তাদের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হবে। উপজেলার মধ্যে প্রাচীনতম বিদ্যালয় এটি। প্রত্যেক উপজেলায় একটি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় সরকারি করার কথা থাকলেও কার্যকর হয়নি। এই বিদ্যালয়টি সরকারিকরণ করা এখন সময়ের দাবি।
সিনিয়র শিক্ষক মোকসেদুর রহমান জানান, এই বিদ্যালয়ের আশেপাশে অনেকগুলো বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। যে কারণে এই বিদ্যালয়ে ছাত্রী ভর্তির সংখ্যা কমে গেছে। আশেপাশের বিদ্যালয়গুলো অনুমোদিত শিক্ষার্থী সংখ্যার বেশি ভর্তি করে থাকে। যার প্রভাব পড়েছে এই বিদ্যালয়ে। তাই অনুমোদিত শাখায় ৫৫ জনের বেশি শিক্ষার্থী তারা যেন ভর্তি না করেন এ জন্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
আরেক শিক্ষক রাবেয়া আক্তার জানান, আশেপাশের বিদ্যালয়গুলোতে ছাত্রী অনেক। তারা সরকারি বিধি মোতাবেকের বেশি ছাত্রী ভর্তি করে থাকেন। তাই এই বিদ্যালয় ছাত্রী ভর্তি কমে গেছে। বিষয়টি উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে বার বার জানানো হয়েছে। কিন্তু কোন কার্যকর পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না।
শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ের লেখাপড়ায় সন্তোস প্রকাশ করে জানান, বিদ্যালয়ের পরিবেশ ভালো। তারা বিদ্যালয়ে নিরাপদে লেখাপড়া করতে পারছেন। কেউ ইভটিজিংসহ অন্যান্যভাবে হেনস্তার শিকার হয়নি। তবে, বেশি ছাত্রী ভর্তি হলে বিদ্যালয়ে লেখাপড়ার মান আরও বৃদ্ধি পাবে।
এ ব্যাপারে শিবালয় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো: আবুল খায়ের বলেন,‘মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক প্রতিটি শাখায় ৫৫ জনের বেশি ভর্তির নিয়ম নেই। তাছাড়া বিদ্যালয় পছন্দ অনুযায়ী অভিভাবকেরা সন্তানদের ভর্তি করে থাকেন। কোন বিদ্যালয়ে নির্দেশনার বেশি ভর্তি করে থাকলেও খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।