কবিতার ক,ও বুঝিনা, লিখতে চাই কবিতা
পড়ন্ত বিকেলে নির্জনে বসে থাকি একা একা।
রাত গভীরে হেঁটে হেঁটে বহুদূর বহু পথ ঘুড়ি
অবিরাম খুঁজে বেড়াই কবিতার পংক্তি ।
মনের দড়জায় কড়া নাড়ে বাবার মুমূর্ষু ইচ্ছে সবি
ক্লান্ত হয়ে খোলা আকাশের নীচে বিছানা পাতি
রক্ত মাংসের জীবন্ত কবিতার বুকে মাথা রেখে
রাতের পর রাত শুয়ে থাকি মেলে দুটি আঁখি !
আমার দুঃখে ভাসিয়েছো বুক নয়নের জলে
শত ঝড়-ঝঞ্ঝায় রেখেছো আগলে বুকে।
মোর খেলাঘর বাঁধতে সূদুর অসীম আকাশ পানে,
কতো সুখ, কতো সাচ্ছন্দ্য দিয়েছো বিসর্জন –
তুমি হাসিমুখে ।
চিন্তা চেতনা ছিলো তোমার সদা সৃজনশীল
বুদ্ধিমত্তা আর প্রজ্ঞা ছিল তীক্ষ্ণ সাবলীল।
স্পষ্ট -সুন্দর বাচনভঙ্গি ছিল সদা দীপ্তিমান
আদর্শ ব্যক্তিত্বে সততা প্রস্ফুটিত ছিল প্রতিয়মান
সদা হাস্যোজ্জল মুখে প্রতিনিয়ত করেছো শিক্ষাদান।
অশিক্ষার আকাশে আলোর পথে
আলোকবর্তিকাবাহি নির্ভীক যাত্রী ছিলে তুমি।
তোমার বিকশিত আলোকবর্তিকায়,
অন্ধকার অলি গলির কতো নির্ভীক প্রাণ –
অমাবস্যার সেতু দিয়ে পাড়ি,
দুর্দিনের ধুলি মুছে চলছে বয়ে,
সোনালী সময় স্রোতের নিঃস্কণ্টক শোভা যাত্রা তরী।
নিজেকে সামিল করতে পারিনি আমি
উশৃংখলতার উচ্ছ্বাসে তোমার স্বাদের শস্য ক্ষেত
দু’পায়ে দিয়েছি দলি।
রাত গভীরে অবাধ্য যন্ত্রণায় দু’চোখে বেয়ে
অশ্রু বন্যা বয়ে চলে
কবিতার ভেতর আত্মার স্পন্দন খেলা করে ।
বহিঃপ্রকাশ করতে পাইনা খুঁজে ভাষা,
রূপ রং রসের মোহনীয় ছন্দ মালা।
হৃদয়ে ক্ষরণ স্রোতে বয়ে যায় নদী
হেলায় ফেলায় করেছি নষ্ট-
যে সময়টা ছিল সবচেয়ে দামি।
বুঝতে পারিনা দিন শেষে কেন নেমে আসে রাত্রি
সমুদ্র সংগমে কেন থেমে যায় নদী।
তোমার আদর্শ জলন্ত অগ্নিকুন্ডে নিক্ষেপকারী আমি
পাঠশালায় শিখতে পাঠ খেলেছি কতো লুকোচুরি,
চর্চা করিনি কখনো যে জ্ঞান দিয়েছেন অন্তর্যামী।
কবিতার ক,ও বুঝিনা লিখতে চাই কবিতা
মুর্খ আমি হতে চাই কবি।
ক,ও লিখতে কলম ভাঙি
সাধ্য কি আমার লিখি কবিতার পান্ডুলিপি।