নিজস্ব প্রতিবেদকঃ আজ ২০২৫ সালের পথম দিন। এ বছরের পহেলা জানুয়ারিতে বিশ্বের জনসংখ্যা নিয়ে ইউএস সেনসাস ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী গেল এক বছরে বিশ্বের জনসংখ্যা ০.৮৯% বেড়ে ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারিতে তা হচ্ছে ৮০৯ কোটি ২০ লাখ ৩৪ হাজার ৫১১।
গত বছরের ১ জানুয়ারি থেকে নতুন বছরের ১ জানুয়ারি পর্যন্ত বেড়েছে ৭ কোটি ১১ লাখ ৭৮ হাজার ৮৭ জন।
ইউএস সেনসাস ব্যুরোর পরিসংখ্যান অনুযায়ী চলতি জানুয়ারির প্রতি সেকেন্ডে বিশ্বে জনসংখ্যা বাড়বে ৪.২% এবং মৃত্যু হতে পারে ২%।
সেনসাস ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, ১ জানুয়ারি সবচেয়ে বেশী জনসংখ্যাওয়ালা ১০টি রাষ্ট্র হচ্ছে : চীন-১৪৭৫ মিলিয়ন, ভারত-১২২৯ মিলিয়ন, রাশিয়া-৩৬৮ মিলিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র ৩৪১ মিলিয়ন, নাইজেরিয়া-৩৩৮ মিলিয়ন, ইন্দোনেশিয়া-২৭৩ মিলিয়ন, ব্রাজিল-২৪৬ মিলিয়ন, বাংলাদেশ-২১৯ মিলিয়ন, পাকিস্তান-২১০ মিলিয়ন, এবং মেক্সিকো-১৫৪ মিলিয়ন।
গেল বছর বিশ্বজুড়ে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল ০.৮৯ শতাংশ, যা ২০২৩ সালের চেয়ে সামান্য কম। চলতি বছরের জন্ম ও মৃত্যুর যে হিসাব উপস্থাপন করা হয়েছে তার তারতম্য হতে পারে। কারণ জনসংখ্যা বিষয়ক বিভিন্ন বৈশ্বিক জরিপ বলছে, বছরের ১২ মাসের প্রত্যেকটিতে বৈশ্বিক জন্মহার ও মৃত্যুহার ভিন্ন ভিন্ন হয়।
সেনসাস ব্যুরোর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের জনসংখ্যা বেড়েছে ২৬ লাখ।
এবার নতুন বছরের প্রথম দিনে দেশটির মোট জনসংখ্যা হয়েছে ৩৪ কোটি ১০ লাখ। চলতি জানুয়ারি মাসে যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি ৯ সেকেন্ডে একটি শিশু জন্ম নিবে। অন্যদিকে প্রতি ৯.৪ সেকেন্ডে একজনের মৃত্যু হবে বলে অনুমান ইউএস সেন্সাস ব্যুরোর।
আন্তর্জাতিক অভিবাসনের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের জনসংখ্যা প্রতি ২৩.২ সেকেন্ডে একজন করে বৃদ্ধি পেতে পারে।
আর জন্ম, মৃত্যু ও অভিবাসন মিলিয়ে প্রতি ২১.২ সেকেন্ডে যুক্তরাষ্ট্রের জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেতে পারে একজন।
২০২০ সালের পর ২.৯ শতাংশ হারে যুক্তরাষ্ট্রের জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছিল প্রায় ৯৭ লাখ। ২০১০ এর দিকে যুক্তরাষ্ট্রের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল ৭.৪ শতাংশ, যা ১৯৩০-এর দশকের পর সর্বনিম্ন।