শেরপুর প্রতিনিধি: শেরপুরে ছাত্রদল নেতা নিয়ামুল হাসান আনন্দের জনপ্রিয়তাকে ইশ্বানিত হয়ে একটি স্বার্থান্বেষী মহল বেশ কিছু দিন থেকেই বিভিন্ন অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। সামাজিক ভাবে হ্যায় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যেই এমন কান্ড ঘটাচ্ছেন বলে জেলা পর্যায়ের একাধিক ছাত্রনেতা এ দাবি করেন। বিগত আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে সরাসরি নেতৃত্ব দানকারী অসংখ্য মিথ্যা মামলার বুঝা নিয়ে যিনি শেরপুরের রাজপথ দখল করে রেখেছিলেন ছিলেন ক্রসফায়ারের তালিকায় এমন ছাত্রনেতার বিরুদ্ধে অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা জানিয়ে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিও দিয়েছেন জেলা ছাত্রদল।
শেরপুর জেলাজুড়ে ছাত্রদলকে সুসংগঠিত করতে মাঠ পর্যায় এবং আন্দোলন সংগ্রামে অংশ নেয়া মিথ্যা মামলা ও কারাবরণ কারী নেতাদের নিয়ে
ছাত্রদলের ইউনিটকে শক্তিশালি করতে নিরলস ভাবে কাজ করছেন। বেশ কিছু দিন থেকে শেরপুরে বিভিন্ন ফেসবুকে ভূয়া আইডি খুলে নেতাদের নামে অপপ্রচার চালাচ্ছেন যা পিছন থেকে একটি স্বার্থান্বেষী মহলের ইন্ধন রয়েছে বলে দাবি ছাত্রদলের। এরই ধারাবাহিকতায় গত বৃহস্পতিবার রাতে নন্নী ইউনিয়নে বিএনপির একদল নামধারী যুবক একটি খালি পিক-আপ আটকিয়ে হাবিবুর রহমান ও সাদ্দাম হোসেন নামে দুজন ব্যক্তিকে বেধড়ক মারপিট করেন। তাদের অপরাধ হিসেবে বলা হয় ভারতীয় কসমেটিকস চোরাকারবারির সাথে জড়িত এমনতাই জোর পূর্বক স্বীকারোক্তি নেন আর ছাত্রদলের সভাপতি নিয়ামুল হাসান আনন্দের নাম বলতে বলেন। তারা জীবন বাঁচানোর ভয়ে তাদের কথা মতো আনন্দের নাম বলেন। এ বিষয়টি কেন্দ্র করে স্যোসাল মিডিয়ায় ব্যাপক আলোচনা সমালোচনার সৃষ্টি হয়। মূলত এ বিষয়ে ছাত্রনেতা আনন্দ কিছুই জানেননা বলে স্বেচ্ছায় সাংবাদিকদের স্বীকারোক্তি দেন ভুক্তভোগী ওই দুই যুবক।
সে সময় নালিতাবাড়ী থানার উপ পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান খবর পেয়ে তাদের উদ্ধার করে নিয়ে যায় থানায়। কোন রকম অবৈধ কিছু না পেয়ে তাদের থানা থেকে ছেড়ে দেন। ভুক্তভোগী ওই দুই যুবক মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে এমনটাই জানান।