আজ ২৭শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ ইং

বিএনপি নেতার নির্দেশে ভাঙচুর, লুটপাট, হত্যা চেষ্টা ও নারীদের শ্লীলতাহানির অভিযোগ

অস্ত্রের নাটক সাজিয়ে আশুলিয়া থানা সেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়কের নির্দেশে তার ভাই জহিরুল ইসলাম এর নেতৃত্বে অসহায় মানুষের ঘর বাড়ি ভাঙচুর সহ মহিলাদের শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটেছে।


নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকার সাভারের আশুলিয়া থানা সেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক জিল্লুর রহমানের নেতৃত্বে তার ছোটভাই জহিরুল ইসলাম সহ ৪০/৪৫ জন কিশোর গ্যাং সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে সাইদুর রহমানের বাড়িতে ভাংচুর লুটপাট সহ মহিলাদের শ্লীনতাহানী করেছে বলে ভুক্তভোগী সাইদুর রহমানের পরিবারের দাবি।এই ঘটনার ধামাচাপা দিতে অস্ত্রের নাটক সাজিয়ে ভুক্তভোগী সাইদুরের পরিবার সহ আশিক নামে এক এনজিও মালিকের উপর দোষ চাপিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে বলে অভিযুক্ত আশিকের মা সহ আশিকের পুরো পরিবারের দাবি।

আশুলিয়ার গোড়াট এলাকায় ভোরের শিশির ক্ষুদ্র সমবায় সমিতি নামে এনজিও চালায় আসিক, আশিকের এনজিওর কর্মচারী আকাশের বোন ওই এলাকায় ফুটপাতে সবজির ব্যবসা করতেন, আকাশের বোন ঝরনার কাছে ১০০০ টাকা পেত মুফতি তাইজুল ইসলাম মোল্লা, আকাশের বোনের দেখা না পেয়ে মুফতি তাইজুল ইসলাম আকাশের সাথে দেখা করে এবং তাকে জানায় তোমার বোনের কাছে এক হাজার টাকা পাই টাকাটা দিচ্ছে না কেন, আকাশ তখন মুফতি তাইজুল ইসলাম কে জানায় আমি বোনের সাথে কথা বলে বিষয়টা জানাচ্ছি, এরপর আকাশের সাথে আর মুফতি তাইজুল ইসলামের যোগাযোগ হয়নি, বৃহস্পতিবার সন্ধায় মুফতি তাইজুল ইসলাম এর নাম বলে জহিরুল ইসলাম সরাসরি আকাশের দোকানে এসে আকাশের উপরে রাগান্বিত হয়ে বলে টাকাটা দিলি না কেন, আকাশ জানায় এখনো বেতন পায়নি ভাই বেতন পেলেই দিয়ে দেব, এই কথা বলা মাত্রই তারা এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ঝর্ণার ভাই আকাশকে গোড়াট ডেবুনিয়ার ফ্যাক্টরির সামনে মুনস্টার স্কুল এন্ড কলেজের গলিতে অবস্থিত আশিকের বিকাশের দোকান থেকে ডেকে নিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়।

আকাশ আশিকের দোকানের কর্মচারী হিসেবে কর্মরত রয়েছে, আকাশকে মারধর করার সময় আকাশের বন্ধু সজীব আকাশকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে তাকেও বেদম মারধর করেন জিল্লুর মাস্টারের লোকজন। এই ঘটনা জানতে পেরে আশিক ঘটনাস্থলে আসে। এবং তার দোকানের কর্মচারীকে এইভাবে কেন মারধর করা হলো এটা জানতে জহিরুল এর দোকানে গিয়ে কথা বলতে চায়, আশিক এসেছে এটা জানতে পেরে জিল্লুর রহমানের ভাই ও তার লোকজন আশিক কে মারধর করে রক্তাক্ত অবস্থায় রেখে জিল্লুর রহমানের স্বেচ্ছাসেবক দলের কার্যালয়ে ফিরে যায়। এরপর রক্তাক্ত অবস্থায় আশিককে সাথে নিয়ে আকাশ ও সজীব চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে চলে যায়।

এদিকে হামলাকারীরা জিল্লুর রহমানের স্বেচ্ছাসেবক দলের সেই অফিসে ফিরে যায় সেখানে জিল্লুর রহমান ও তার ভাইয়ের সাথে পরামর্শ করে পরিকল্পনা অনুযায়ী আকাশ সজীব এবং আশিককে তুলে নিতে আসে, সেখানে তাদেরকে না পেয়ে আকাশ কে মারার সময় সজীব কেন বাধা দিয়েছিল এই কারণে সজীবের বাড়িঘরে ব্যাপক ভাংচুর চালায় এবং তার বাবাকে বেধম মারধর করে মারাত্মক ভাবে আহত করে, তাদের ঘর থেকে লক্ষাধিক টাকা লুটপাট করে তাদেরকে হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এরপর আকাশের উপর হামলার ঘটনায় আশিক চলে আসার কারণে তারা পুনরায় সেই ঘটনাস্থলে যায় এবং তালাবদ্ধ থাকা অবস্থায় শাটারে ঢাকা আশিকের এনজিওর অফিসের তালা ভেঙ্গে শাটার খুলে সম্পূর্ণ অফিস ভেঙে তছনছ করে ফেলে এবং ব্যাপক ভাংচুর ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে, জিল্লুর রহমানের স্বেচ্ছাসেবক দলের সেই অফিসে চলে যায়।

এরপর এই ঘটনা ধামাচাপা দিতে পরিকল্পনা অনুযায়ী আশিকের বিরুদ্ধে অস্ত্র নাটক সাজায়।জিল্লুর রহমান এবং তার সেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা অস্ত্রের নাটক সাজিয়ে পুলিশকে তথ্য দেয়।সঙ্গে সঙ্গে আশুলিয়া থানার উপ পরিদর্শক এস আই মাসুদ ঘটনা স্হলে এসে আশিকের বাড়ি তল্লাশি করে একটি লাঠি এবং দৈনন্দিন কাজে ব্যাবহৃত একটি দা জব্দ করে।বিএনপি নেতা জিল্লুর রহমান এবং তার সেচ্ছাসেবক দলের নেতা কর্মীসহ কিশোর গ্যাং সন্ত্রাসীরা দাঙ্গা হাঙ্গামা ভাংচুর চালায় সজিবের বাড়ি কিন্তু পুলিশকে ভুল তথ্য দিয়ে দেখানো হয় আশিকের বাড়ি।

সজিবের বাড়ি ভাংচুর দুইটি মোটরসাইকেল ভাংচুর সহ সজীবের বাবাকে বেধম পিটিয়ে আহত করে।ভুক্তভোগীদের বক্তব্য অনুযায়ী মহিলাদের গায়ে হাত দেওয়া সহ মহিলাদের শ্লীনতাহানি করা হয়।এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আশুলিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে সাহেদা খাতুন। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে আশুলিয়া থানার এস আই মদন ঘটনা স্হল পরিদর্শন করেন। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সাজিবের বাবাকে চিকিৎসার জন্যে পরামর্শ দিয়ে হাসপাতালে পাঠানোর পরামর্শ দেন।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে অস্ত্রের নাটক সাজিয়ে ভুল তথ্য দিয়ে এস আই মাসুদ কে আনা হলে পরবর্তীতে এস আই মাসুদ আল মামুন সঠিক বিষয়টি জানতে পেরে ভুক্তভোগীদের আইনের সহায়তা নিতে বলেন এবং পুলিশের এস আই মাসুদ আল মামুন কে সাংবাদিক প্রশ্ন করলে তিনি প্রশ্নের উত্তরে বলেন অপরাধী যে দলের হোক অপরাধ করলে অবশ্যই তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।

Comments are closed.

     এই বিভাগের আরও সংবাদ