আজ ৪ঠা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ই জানুয়ারি, ২০২৫ ইং

সমকামী প্রেমিক অন্যজনের সাথে সমকামিতা করায় কুপিয়ে জখম

আশুলিয়ায় সমকামী প্রেমিক অন্যজনের সাথে সমকামিতা করায় কুপিয়ে জখম করেছে রানিং সমকামী প্রেমিক।


সাব্বির আহম্মেদ : আশুলিয়ার নরসিংহপুর হা-মীম এর ২ নং গেইট সংলগ্ন বিপুল ভিলার অপর পার্শ্বে মনসুরের বাসার ভাড়াটিয়া নুর ইসলাম, মুসা নামের এক যুবককে ধারালো বটি দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। মারাত্মক আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে আশুলিয়া নারী ও শিশু হাসপাতালে নিয়ে যায়। এরপর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে এনাম মেডিকেল হাসপাতালে পাঠান কর্তব্যরত চিকিৎসকরা। বর্তমানে মুসা এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউ তে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

সোমবার ৬জানুয়ারী সন্ধ্যা ৬:৩০ ঘটিকার সময় আশুলিয়া নরসিংহপুর এলাকায় মুনসুরের বাসায় এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার সাথে জড়িত নুর ইসলাম কে, হত্যা চেষ্টায় ব্যাবহৃত দেশীয় বটিসহ এলাকাবাসী হাতে নাতে আটক করে বেঁধে রাখেন,পরবর্তীতে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলে তাকে পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়। আহত ব্যাক্তি যশোর জেলার মাজেদের ছেলে মো. মুসা। সে দীর্ঘদিন যাবত আশুলিয়ার নরসিংহপুর মুনসুর আলীর বাসায় ব্যাচেলার হিসেবে ভাড়া থাকছেন । তিনি শারমিন গ্রুপ নামের একটি পোশাক কারখানায় অপারেটর হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।

আসামি নুর ইসলাম, টাংগাইল জেলার গোপালপুর এলাকার খালেকের। সে দীর্ঘ দিন যাবত আশুলিয়ার নরসিংহপুর মুনসুর আলীর বাসায় ব্যাচেলার ভাড়া থাকে। তিনি হামিম গ্রুপের ৬ তলায় অপারেটর হিসেবে চাকরি করেন। মুনসুর এর বাসায় এত বড় দুর্ঘটনা ঘটার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ এবং সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত হলেও বাড়িওয়ালা এবং ম্যানাজারের দেখা পাওয়া যায়নি।

বাড়িওয়ালা এর সাথে যোগাযোগ করার জন্য তাহার ফোন নাম্বারে একাধিক বার ফোন দিলেও সে ফোন কেটে দিয়েছে। এলাকাবাসী বলেন মুসা আর নুর ইসলাম দীর্ঘ দিন যাবত ব্যাচেলার বাসাভাড়া নিয়ে একই রুমে বসবাস করে আসছে।তাদের চলাচলে দুইজনের মধ্যে সমকামী (স্বামী স্ত্রীর) মত আচার আচরণ দেখতে পায়। তারা ইয়াবা সহ নানান মাদক সেবন করতো বলেও জানান তারা।

নুর ইসলাম সাথে কথা বলে জানা যায় দুইজন একসাথে থাকেন বহুবছর ধরে একজন আরেকজনের অনেক আপন এবং তাদের দুইজনের মধ্যে ভাইয়ের মতো সম্পর্ক ছিলো। বহু বছরের এই সম্পর্কে হঠাৎ আগমন ঘটে অতিথির।

পুরুষ যখন অতিথি পুরুষের সাথে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত ঠিক সেই মুহূর্তে অনাকাঙ্ক্ষিত এই দৃশ্য চোখে পড়ে নুর ইসলামের এগুলো দেখে রাগে দুঃখে জিদে অভিমানে সহ্যের সীমা বাঁধ ভেঙে যায়। হাতে বটি তুলে নিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন তার পুরুষ সঙ্গিকে।

আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক এস আই সোহেল রানা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ধারালো বটিসহ নুর ইসলাম কে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এই বিষয়ে অভিযোগ বা মামলা হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

Comments are closed.

     এই বিভাগের আরও সংবাদ