০৯:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫, ১২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যে কারণে “অখণ্ড ভারত’ সেমিনারে ঢাকাকে আমন্ত্রণ জানালো নয়াদিল্লি

  • Reporter Name
  • প্রকাশের সময়ঃ ০৮:৩৯:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫
  • ১৮৮ বার পড়া হয়েছে

আলোকিত কন্ঠ ডেস্কঃ আবহাওয়া বিভাগের ১৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত ‘অখণ্ড ভারত’ সেমিনারে অংশ নিতে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে দেশটি। পার্থক্য দূরে রেখে ঐক্যবদ্ধভাবে উপমহাদেশের ইতিহাসকে উদযাপনের জন্য এ আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন এনডিটিভি। এতে বলা হয়,  ঢাকা ও ইসলামাবাদের সঙ্গে এশিয়ার আরও বেশ কয়েকটি দেশকেও ওই সেমিনারে আমন্ত্রণ জানিয়েছে নয়াদিল্লি। এর মধ্যে রয়েছে ভুটান, আফগানিস্তান, মিয়ানমার, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা এবং নেপাল।

 উপমহাদেশের বাইরেও মধ্যপ্রাচ্যসহ মধ্য ও দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশের কর্মকর্তাদেরও আমন্ত্রণপত্র পাঠিয়েছে ভারত। পাকিস্তান ইতোমধ্যেই সেমিনারে অংশগ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তবে বাংলাদেশ এখনো নিশ্চিত করেনি। বাংলাদেশের জবাবের অপেক্ষায় রয়েছে ভারতীয় কর্মকর্তারা। দেশটির সংবাদ সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া (পিটিআই) এমনটাই জানিয়েছে। ঢাকা যদি এই অনুষ্ঠানে যোগদানের বিষয়টি নিশ্চিত করে তাহেল এটি একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত হবে।

আবহাওয়া বিভাগের শীর্ষ এক কর্মকর্তা বলেছেন, আমরা চাচ্ছি আইএমডি প্রতিষ্ঠার সময় অবিভক্ত ভারতের অংশ ছিল এমন সকল দেশের কর্মকর্তারা এই উদযাপনের অংশ হোন। ভারত সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এই অনুষ্ঠানকে স্মরণীয় করে তুলতে অবদান রেখেছে। এই বিশেষ আয়োজন উপলক্ষে ১৫০ রুপির একটি বিশেষ এবং সীমিত সংস্করণের স্মারক মুদ্রা প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়।

অন্যদিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আবহাওয়া বিভাগের ১৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রজাতন্ত্র দিবসে একটি বিশেষ ট্যাবলো প্রকাশের অনুমোদন দিয়েছে। তবে মোদি সরকার এমন কথা বললেও অখণ্ড ভারত ইস্যুটি বেশ বিতর্কিত একটি বিষয়। এই অখণ্ড ভারত ধারণা রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ বা আরএসএসের মূল মতাদর্শের অন্যতম। সেই ধারণায় একসময় ভারতবর্ষের ব্যাপ্তি ছিল পশ্চিমে আফগানিস্তান (গান্ধারী কান্দাহারেরই কন্যা) থেকে পূর্বের মিয়ানমার ও উত্তরে তিব্বত থেকে দক্ষিণের শ্রীলঙ্কা পর্যন্ত। অর্থাৎ অখণ্ড ভারতের ধারণা বাস্তবায়িত হলে আফগানিস্তান, পাকিস্তান, তিব্বত, নেপাল, ভুটান, বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও শ্রীলঙ্কা অস্তিত্বহীন হয়ে পড়বে।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয়

সাতক্ষীরায় মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা 

যে কারণে “অখণ্ড ভারত’ সেমিনারে ঢাকাকে আমন্ত্রণ জানালো নয়াদিল্লি

প্রকাশের সময়ঃ ০৮:৩৯:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫

আলোকিত কন্ঠ ডেস্কঃ আবহাওয়া বিভাগের ১৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত ‘অখণ্ড ভারত’ সেমিনারে অংশ নিতে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে দেশটি। পার্থক্য দূরে রেখে ঐক্যবদ্ধভাবে উপমহাদেশের ইতিহাসকে উদযাপনের জন্য এ আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন এনডিটিভি। এতে বলা হয়,  ঢাকা ও ইসলামাবাদের সঙ্গে এশিয়ার আরও বেশ কয়েকটি দেশকেও ওই সেমিনারে আমন্ত্রণ জানিয়েছে নয়াদিল্লি। এর মধ্যে রয়েছে ভুটান, আফগানিস্তান, মিয়ানমার, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা এবং নেপাল।

 উপমহাদেশের বাইরেও মধ্যপ্রাচ্যসহ মধ্য ও দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশের কর্মকর্তাদেরও আমন্ত্রণপত্র পাঠিয়েছে ভারত। পাকিস্তান ইতোমধ্যেই সেমিনারে অংশগ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তবে বাংলাদেশ এখনো নিশ্চিত করেনি। বাংলাদেশের জবাবের অপেক্ষায় রয়েছে ভারতীয় কর্মকর্তারা। দেশটির সংবাদ সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া (পিটিআই) এমনটাই জানিয়েছে। ঢাকা যদি এই অনুষ্ঠানে যোগদানের বিষয়টি নিশ্চিত করে তাহেল এটি একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত হবে।

আবহাওয়া বিভাগের শীর্ষ এক কর্মকর্তা বলেছেন, আমরা চাচ্ছি আইএমডি প্রতিষ্ঠার সময় অবিভক্ত ভারতের অংশ ছিল এমন সকল দেশের কর্মকর্তারা এই উদযাপনের অংশ হোন। ভারত সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এই অনুষ্ঠানকে স্মরণীয় করে তুলতে অবদান রেখেছে। এই বিশেষ আয়োজন উপলক্ষে ১৫০ রুপির একটি বিশেষ এবং সীমিত সংস্করণের স্মারক মুদ্রা প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়।

অন্যদিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আবহাওয়া বিভাগের ১৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রজাতন্ত্র দিবসে একটি বিশেষ ট্যাবলো প্রকাশের অনুমোদন দিয়েছে। তবে মোদি সরকার এমন কথা বললেও অখণ্ড ভারত ইস্যুটি বেশ বিতর্কিত একটি বিষয়। এই অখণ্ড ভারত ধারণা রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ বা আরএসএসের মূল মতাদর্শের অন্যতম। সেই ধারণায় একসময় ভারতবর্ষের ব্যাপ্তি ছিল পশ্চিমে আফগানিস্তান (গান্ধারী কান্দাহারেরই কন্যা) থেকে পূর্বের মিয়ানমার ও উত্তরে তিব্বত থেকে দক্ষিণের শ্রীলঙ্কা পর্যন্ত। অর্থাৎ অখণ্ড ভারতের ধারণা বাস্তবায়িত হলে আফগানিস্তান, পাকিস্তান, তিব্বত, নেপাল, ভুটান, বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও শ্রীলঙ্কা অস্তিত্বহীন হয়ে পড়বে।