১১:১০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫, ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইজতেমার প্রস্তুতি সমন্ধে যা জানালো ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার

  • Reporter Name
  • প্রকাশের সময়ঃ ০৯:০৯:৩৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫
  • ৯৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ আগামী ৩১ জানুয়ারি থেকে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। বিশ্ব ইজতেমার সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার ও গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক সরফুদ্দিন আহমেদ শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে বিশ্ব ইজতেমা ময়দানের সার্বিক প্রস্তুতি পরিদর্শন করেন।

এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন, আসন্ন বিশ্ব ইজতেমার ৭০ ভাগ প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। বাকি প্রস্তুতি অল্প কিছুদিনের মধ্যেই শেষ হবে।

তিনি বলেন, ইজতেমার সার্বিক প্রস্তুতি তাবলীগ জামাতের শীর্ষ মুরব্বি যারা আছেন তারাই করে থাকেন। তবে তাদের চাহিদা অনুযায়ী আমরা তাদেরকে সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করে থাকি। এক সময় তারা নিজেরাই সবকিছু করতেন। ইজতেমার পরিধি বাড়ার কারণে বর্তমানে অনেক ক্ষেত্রে তাদের সহযোগিতার প্রয়োজন হয়। এটা সাধারণত ইজতেমার মুরুব্বী যারা আছেন তাদের সাথে পরামর্শ করে আমরা তাদের ডিমান্ড অনুযায়ী সহযোগিতা করে থাকি।

তিনি বলেন, আপনারা জানেন ইজতেমাকে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তর মুসলিম জামাত বলা হয়ে থাকে। দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অনেক মুসল্লী এখানে উপস্থিত হয়। এ জন্য তাদের কিছু মৌলিক চাহিদা রয়েছে। টয়লেট, স্বাস্থ্য, খাবার পানি এইসব বিষয়গুলোতে আমরা তাদের সাপোর্ট দেই।

তিনি আরও বলেন, সরকারের বিভিন্ন দপ্তর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের একটা বড় দায়িত্ব রয়েছে। এছাড়া পাবলিক হেলথ ডিপার্টমেন্ট, জেলা প্রশাসন এবং পুলিশ প্রশাসন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

সার্বিক প্রস্তুতি বিষয়ে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত ইজতেমার প্রস্তুতিমূলক কর্মকাণ্ড ঠিক মতো এগোচ্ছে। আমরা আশা করছি ইজতেমা শুরুর আগে আমরা সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে পারব। ইজতেমা কর্তৃপক্ষের ডিমান্ড ছিল চটের পরিবর্তে টিনের। তাদের চাহিদা অনুযায়ী সে বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া ইজতেমায় যাতে মুসল্লিরা নির্বিঘ্নে আসতে ও ইজতেমার শেষে যেতে পারে সে বিষয়ে সরকার সচেষ্ট রয়েছে।

পরিদর্শনকালে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম  শফিউল আজম, গাজীপুর জেলা প্রশাসক নাফিসা আরেফিনসহ জেলা প্রশাসন, সিটি কর্পোরেশন এবং পুলিশ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ও তাবলীগের শীর্ষ মুরুব্বীরা উপস্থিত ছিলেন।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয়

ইজতেমার প্রস্তুতি সমন্ধে যা জানালো ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার

প্রকাশের সময়ঃ ০৯:০৯:৩৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ আগামী ৩১ জানুয়ারি থেকে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। বিশ্ব ইজতেমার সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার ও গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক সরফুদ্দিন আহমেদ শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে বিশ্ব ইজতেমা ময়দানের সার্বিক প্রস্তুতি পরিদর্শন করেন।

এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন, আসন্ন বিশ্ব ইজতেমার ৭০ ভাগ প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। বাকি প্রস্তুতি অল্প কিছুদিনের মধ্যেই শেষ হবে।

তিনি বলেন, ইজতেমার সার্বিক প্রস্তুতি তাবলীগ জামাতের শীর্ষ মুরব্বি যারা আছেন তারাই করে থাকেন। তবে তাদের চাহিদা অনুযায়ী আমরা তাদেরকে সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করে থাকি। এক সময় তারা নিজেরাই সবকিছু করতেন। ইজতেমার পরিধি বাড়ার কারণে বর্তমানে অনেক ক্ষেত্রে তাদের সহযোগিতার প্রয়োজন হয়। এটা সাধারণত ইজতেমার মুরুব্বী যারা আছেন তাদের সাথে পরামর্শ করে আমরা তাদের ডিমান্ড অনুযায়ী সহযোগিতা করে থাকি।

তিনি বলেন, আপনারা জানেন ইজতেমাকে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তর মুসলিম জামাত বলা হয়ে থাকে। দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অনেক মুসল্লী এখানে উপস্থিত হয়। এ জন্য তাদের কিছু মৌলিক চাহিদা রয়েছে। টয়লেট, স্বাস্থ্য, খাবার পানি এইসব বিষয়গুলোতে আমরা তাদের সাপোর্ট দেই।

তিনি আরও বলেন, সরকারের বিভিন্ন দপ্তর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের একটা বড় দায়িত্ব রয়েছে। এছাড়া পাবলিক হেলথ ডিপার্টমেন্ট, জেলা প্রশাসন এবং পুলিশ প্রশাসন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

সার্বিক প্রস্তুতি বিষয়ে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত ইজতেমার প্রস্তুতিমূলক কর্মকাণ্ড ঠিক মতো এগোচ্ছে। আমরা আশা করছি ইজতেমা শুরুর আগে আমরা সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে পারব। ইজতেমা কর্তৃপক্ষের ডিমান্ড ছিল চটের পরিবর্তে টিনের। তাদের চাহিদা অনুযায়ী সে বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া ইজতেমায় যাতে মুসল্লিরা নির্বিঘ্নে আসতে ও ইজতেমার শেষে যেতে পারে সে বিষয়ে সরকার সচেষ্ট রয়েছে।

পরিদর্শনকালে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম  শফিউল আজম, গাজীপুর জেলা প্রশাসক নাফিসা আরেফিনসহ জেলা প্রশাসন, সিটি কর্পোরেশন এবং পুলিশ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ও তাবলীগের শীর্ষ মুরুব্বীরা উপস্থিত ছিলেন।