মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি: রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে ৩১ দফার লিফলেট বিতরণের কর্মসূচি হিসেবে মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার উথলী ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। দলীয় নেতাকর্মী ও স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে উথলী ইউনিয়নের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের মাঝে এই লিফলেট বিতরণ করেন, মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপি’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সত্যেন কান্ত পন্ডিত ভজন, শিবালয় উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সধারণ সম্পাদক মোঃ হাকিম মাষ্টার, শিবালয় উপজেলা শ্রমিক দল নেতা মোঃ ফারুক হোসেন, মানিকগঞ্জ জেলা কৃষকদলের সহ-সভাপতি মোঃ মতিয়ার রহমান।
আরো উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি নেতা ও শিবালয় সদর ব্যবসায়ী সমিতি মোঃ ইকবাল হোসেন, সদস্য আহব্বায়ক জেলা যুবদল মোঃ কামাল আহমেদ সুমন, শিবালয় উপজেলা যুবদল মোঃ জায়েদুর রহমান জাহিদ, শিবালয় উপজেলা বিএনপি ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক মোঃ বাবুল হোসেন বাবু, শিবালয় উপজেলা শ্রমিক দল নেতা এস এম রাজু আহমেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মানিকগঞ্জ জেলা তাতিদল মোঃ তোফাজ্জল হোসেন তোফা, সাধারণ সম্পাদক উথলী ইউনিয়ন শ্রমিক দল মোঃ ফরহাদ হোসেন,সবেক সভাপতি উথলী ইউনিয়ন যুবদল মোঃ আব্দুল মান্নান মল্লিক, সাবেক সহ-সভাপতি মানিকগঞ্জ সেচ্ছাসেবক দল মোঃ শামীম হোসেন ফারুক।
গত ১৩ জুলাই ২০২৪ সালে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এই ৩১ দফা প্রস্তাব জাতির সামনে উপস্থাপন করেন। এতে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক কাঠামো সংস্কার, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, মানবাধিকার নিশ্চিতকরণ এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠার কথা উল্লেখ করা হয়।
রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা হল
১. জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সংবিধান সংস্কার কমিশন গঠন।
২. সম্প্রীতিমূলক সমন্বিত রাষ্ট্রসত্তা (Rainbow Nation)প্রতিষ্ঠা ও (‘National Reconciliation Commission’) “জাতীয় সমন্বয় কমিশন” গঠন।
৩. অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নির্বাচনকালীন দল নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার পুনঃপ্রবর্তন।
৮.আইনসভা, মন্ত্রীসভা, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও বিচার বিভাগের মাঝে ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা।
৫. প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনের সময়সীমা অনুর্ধ্ব পরপর দুই মেয়াদ নির্ধারন।
৬. বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা সম্পন্ন বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সমন্বয়ে আইন সভায় উচ্চকক্ষের প্রবর্তন।
৭. সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধন।
৮. নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার এবং সংশ্লিষ্ট আইন ও বিধি সংশোধন।
৯. স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরনে সকল রাষ্ট্রীয়, সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের পুনর্গঠন ও শক্তিশালীকরন।
১০. বর্তমান বিচার ব্যবস্থার সংস্কারের জন্য জুডিশিয়াল কমিশন গঠন, সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল পুনঃপ্রবর্তন ও সংবিধানের আলোকে বিচারপতি নিয়োগ আইন প্রণয়ন।
১১. গণমুখী ও জনকল্যাণমূলক প্রশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রশাসনিক সংস্কার কমিশন গঠন।
১২. মিডিয়া কমিশন গঠন করে তথ্য ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণ।
১৩. দূর্নীতি প্রতিরোধে দৃশ্যমান কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ ও ন্যায়পাল নিয়োগ।
১৪. সর্বস্তরে আইনের শাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা।
১৫. আত্মনির্ভরশীল জাতীয় অর্থনীতি গড়ে তোলার লক্ষ্যে অর্থনৈতিক সংস্কার কমিশন গঠন।
১৬. ধর্মীয় স্বাধীনতার সর্বোচ্চ ও কার্যকর নিশ্চয়তা প্রদান।
১৭. মুদ্রাস্ফীতি ও দ্রব্যমূল্যের হ্রাস-বৃদ্ধির আলোকে শ্রমজীবী মানুষের ন্যায্য মজুরী নিশ্চিত করা।
১৮. প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণ এবং নবায়নযোগ্য ও মিশ্র জ্বালানী ব্যবহারে অগ্রাধিকার দিয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ খাত আধুনিকায়ন।
১৯. জাতীয় স্বার্থের অগ্রাধিকার নিশ্চিত করে বৈদেশিক সম্পর্ক উন্নয়ন।
২০. প্রতিরক্ষা বাহিনীর অধিকতর আধুনিকায়ন ও সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং সকল বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখা।
২১. প্রশাসন ও সেবা বিকেন্দ্রীকরণের লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলি স্বশাসিত ও ক্ষমতাবান করা।
২২. শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা ও স্বীকৃতি প্রদান।
২৩. কর্মসংস্থানকে অগ্রাধিকার দিয়ে আধুনিক ও যুগোপযোগী যুব উন্নয়ন নীতিমালা প্রণয়ন ও বেকার ভাতা প্রবর্তন।
২৪. নারীর মর্যাদা সুরক্ষা ও ক্ষমতায়নে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ।
২৫. চাহিদা ও জ্ঞানভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থা বাস্তবায়নের মাধ্যমে ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্ষম শিক্ষিত জনগোষ্ঠী গড়ে তোলা।
২৬. “সবার জন্য স্বাস্থ্য” এবং “সর্বজনীন চিকিৎসা” ব্যবস্থা কার্যকর করা। প্রাথমিক ও প্রতিরোধমূলক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে পর্যাপ্ত সংখ্যক প্রশিক্ষিত নারী ও পুরুষ পল্লী স্বাস্থ্যকর্মীর ব্যবস্থা করা এবং সংক্রামক ও অসংক্রামক রোগের চিকিৎসা, শিক্ষা ও গবেষণা সুবিধা নিশ্চিত করা।
২৭. কৃষকের উৎপাদন ও বিপণন সুরক্ষা দিয়ে কৃষি পণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা।
২৮.সড়ক, রেল, নৌ পথের আধুনিকায়ন ও বহুমাত্রিক যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা।
২৯. জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সংকট ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় কার্যকর পদক্ষেপ এবং নদূ শাসন ও খাল খননের উদ্যোগ গ্রহণ করা।
৩০. তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, মহাকাশ গবেষণা এবং আণভিক শক্তির উন্নয়ন ও সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করা ।
৩১. যুগোপযোগি, পরিকল্পিত, পরিবেশবান্ধব আবাসন এবং নগরায়ণ নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন।