আবুল বাসার আব্বাসী, স্টাফ রিপোর্টাারঃ মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরে বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট ঈশ্বরদী -পাবনার মহাপরিচালক ডক্টর কবির উদ্দিন আহমেদ বলেছেন,একজন মানুষের জন্য প্রতিবছর কমপক্ষে ১৩ কেজি চিনি, গুড় বা মিষ্ট জাতিয় পদার্থ খেতে হবে। এর জন্য আমাদের প্রতি বছর প্রয়াজন হচ্ছে ২১ থেকে ২২ লক্ষ মেট্রিক টন চিনি বা মিস্টিজাতীয় পদার্থর। আমাদের উৎপাদন হচ্ছে ৬ থেকে ৭ লক্ষ মেট্রিক টন। বছরে ঘাটতি থাকছে প্রায় ১৫ লক্ষ মেট্রিক টন।
গতকাল বিকেলে মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার বায়রা ইউনিয়নের জামালপুর কড়ইতলা মশজিদ মাঠে গুণগত মান সম্পূর্ণ বীজ আখ উৎপাদন কৌশল ও এর ব্যবহার” শীর্ষক মাঠ দিবস অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট ঈশ্বরদী -পাবনার মহাপরিচালক ডক্টর কবির উদ্দিন আহমেদ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথি আরো বলেন,আমাদের সুস্থভাবে বাচঁতে হলে এবং মস্তিস্কের বিকাশ বাড়াতে হলে অবশ্যই মিস্টি খেতে হবে। এটা যদি আমরা না খাই তাহলে আমাদের যে মস্তিষ্ক আছে তার উন্নতি হবেনা। যার কারনে আমরা বুদ্ধিবিত্ব হবোনা।আর এই চিনি বা গুড় খেতে হলে আমাদেরকে আখের উৎপাদন বাড়াতে হবে। গুনগত মানসম্মত আখের বীজ ব্যবহার করতে হবে।
সিংগাইর উপজেলা কৃষিকর্মকর্তার বরাদ দিয়ে তিনি বলেন,সিংগাইরে অনেক আগে থেকেই আখচাষ হয়ে আসছে। এবছরও সিংগাইরে ২৮০ হেক্টর জমিতে আখের আবাদ হয়েছে। আখ এমন একটি ফসল কৃষকের খতি হওয়ার কোন সম্ভাবনা নাই। একটা ফসলে কৃষক লাভবান হবে এমন কোন নিশ্চয়তা নাই। কিন্ত আখতার নিশ্চয়ত দেয়। আখ চাষ করলে কৃষকের কোনদিন খতির সম্ভাবনা হবেনা।অন্যান্য ফসলের দাম কমে গেলে কৃষকের খতি দেখা দেয়। কিন্ত আখ একমাত্র ফসল যার কোন খতির সম্ভাবনা নাই । আখ এক সময় বিক্রী করতে পারবেন এবং আপনি লাভবান হবেন।
বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট ঈশ্বরদী পাবনার উর্ধ্বতন বৈঞ্জানিক কর্মকর্তা ও প্রকল্প পরিচালক ডঃ মোহাম্মদ ইমাম হোসেন এর সভাপতিত্বে রোগ তত্ত্ববিভাগের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও প্রধান বি এস আর আই ঈশ্বরদী ডঃ মোঃ আনিসুর রহমান বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আখের গুণগত মান সম্পূর্ণ বীজ উৎপাদন পদ্ধতি সম্পর্কে বলেন,উচুঁ ও মাঝারী উচুঁ জমি যেখানে বন্যা বা বৃষ্টির পানি নাজমে সেই সব জমি বীজ উৎপাদনের জন্য উপযোগী। দো- আঁশ, বেলে দো- আঁশ এবং এটেল দো- আঁশ মাটি বীজ আখের জন্য ভাল। আখের শিকড় মাটির ১ থেকে ৪ মি. পযর্ন্ত গভীরে প্রবেশ করে। মাটি থেকে যাতে সহজে প্রচুর রস খাদ্য উৎপাদন করতে পারে সেজন্য আখের জমি ৬ ইঞ্চি থেকে ৯ ইঞ্চি গভীর করে আড়া আড়ি ভাবে ৪-৫ টি চাষ ও মই দিয়ে উত্তম রুপে তৈরী করতে হবে। রোগ, পোকামাকড় মুক্ত ৮-১০ মাস বয়সের বীজ আখ উৎপাদনের জন্য উত্তম।
আরো বক্তব্য রাখেন মোহাম্মদ মনির হোসেন প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও প্রধান সরে জমিন গবেষণা বিভাগ বি এস আর হাই ঈশ্বরদী পাবনা, মোহাম্মদ মতিয়ার রহমান জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর মানিকগঞ্জ, মোঃ হাবিবুল বাশার চৌধুরী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সিংগাইর মানিকগঞ্জ প্রমুখ।
কৃষক পর্যায়ে আখের রোগমুক্ত পরিচ্ছন্ন বীজ উপাদন ও বিস্তার (১ম সংশোধিত) প্রকল্পের অর্থায়নে বাংলাদেশ সুগার গবেষণা ইনস্টিটিউট এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
এতে এলাকার আখ চাষিসহ শতাধিক কুষক উপস্থিত ছিলেন।
বক্তব্য শেষে বায়রা ইউনিয়নের জামালপুর গ্রামের আখচাষী মো: শাহিনুর ইসলামের আখের প্রত্যয়িত বীজ প্লট পরিদর্শন করাহয়।