০৯:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ০২ জুন ২০২৫, ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পুলিশের আস্কারায় থানা এলাকায় দালাল ও প্রতারকের হাট

  • Reporter Name
  • প্রকাশের সময়ঃ ১০:১৯:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫
  • ১১৪ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার, কাশিমপুরঃ গাজীপুর কাশিমপুর থানা এলাকায় দালাল ও প্রতারক চক্রের দৌরত্ম্যে ভুক্তভোগী মানুষগুলো জিম্মি হয়ে পড়েছে। এখানে দালাল ও প্রতারক চক্রের বিশাল হাট, যেখানে অসহায় ভুক্তভোগীদের নিয়ে চলে কেনা বেচা ।

ইন্ডাস্ট্রিয়াল এলাকা হওয়ার সুবাদে উল্লেখিত থানা এলাকায় বসবাসকারী অধিকাংশ লোকজনই বিভিন্ন জেলার শ্রমজীবী মানুষ ,ভুক্তভোগীরা আইনি সেবা পেতে থানা এলাকায় প্রবেশ করতে না করতেই সম্মিলিত প্রতারক ও দালালগণ মৌমাছির মতো গুনগুন শব্দতুলে আকর্ষণ করে, তাদের মাঝে অন্যতম মৌ রাজা বাবুকর্তা, ভাবসাব এমন যে তিনি-ই থানার একমাত্র হর্তাকর্তা কিংবা আদালতের মহাসর্বা।

এ ব্যাপারে এডভোকেট ইউনুছ মিয়ার বক্তব্য হল একজন উকিল সহকারী হতে হলে শিক্ষাগত যোগ্যতা ও আদালত সহকারীদের এসোসিয়েশনের অনুমোদন পত্র বাধ্যতামূলক। তবে এর কোন বিষয়ে বাবু কর্তার জানা না থাকলেও বাকপটু এই বাবু কখনো উকিল সহকারী কখনো থানার বড়বাবু পরিচয় দিতে ভালো বাসেন,তাই আগত ভুক্তভোগীরা তাকে স্যার সম্বোধন করে কথা বলেন, এর যুক্তিগত কারণ ও আছে কার্যকারণে উল্লেখিত থানায় দীর্ঘদিন যাবত কর্মরত ডাকসাইটে পুলিশ অফিসারদের সহচর বলে কথা। বিভিন্ন মামলার অপরাপর আসামি ধরতে ছাড়তে তার মধ্যস্থতা বড় প্রয়োজন এমন কল্যাণকর পন্থা দেখে অন্যান্য কিছুসংখ্যক পুলিশ অফিসার গোপনে কিংবা প্রকাশ্যে তার সহযোগিতা কামনা করেন,যেহেতু তার এখানেই চলে বিভিন্ন ঘটনার আপোস মীমাংসার নামে বিচারিক কার্যক্রম । তার অবস্থান একজন এডভোকেটের সাজানো গোছানো ল-চেম্বারে যেখানে বসে এডভোকেটের অবর্তমানে ভুক্তভোগীদের নিয়ে শুনানি করে মামলা গ্রহণ করেন কিংবা থানা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করে রাইটার দিয়ে অভিযোগ লিখিয়ে অভিযোগ কফি ডিউটি অফিসারের নিকট পৌঁছে দিয়ে সেবা গ্রহণ করীর নিকট হতে অফিসারের নাম বলে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়ার গুরু দক্ষিণা ।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিভিন্ন সময়ে বাবু থানার অফিসারদের কে সঙ্গে নিয়ে এলাকায় প্রবেশ করে নিরীহ লোকজনদের টার্গেট করে মাদক ব্যবসায়ীর নাটক সাজিয়ে ২ পিস ইয়াবা ২পুরিয়া গাজা পকেটে ঢুকিয়ে কিংবা বাড়ি সার্চ করার নাম করে রুমে ঢুকে তল্লাশির নামে আসবাব পত্র খুঁজে টাকা পয়সা হাতিয়ে নেওয়া নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে । বাবুর কারনে ভুগছে সাধারণ মানুষ, যে কারণে তারা তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে মহান পুলিশের ঊর্ধ্বতন মহলের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয়

ধামরাইয়ে নিজ ঘর থেকে মা ও দুই সন্তানের মরদেহ উদ্ধার

পুলিশের আস্কারায় থানা এলাকায় দালাল ও প্রতারকের হাট

প্রকাশের সময়ঃ ১০:১৯:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫

স্টাফ রিপোর্টার, কাশিমপুরঃ গাজীপুর কাশিমপুর থানা এলাকায় দালাল ও প্রতারক চক্রের দৌরত্ম্যে ভুক্তভোগী মানুষগুলো জিম্মি হয়ে পড়েছে। এখানে দালাল ও প্রতারক চক্রের বিশাল হাট, যেখানে অসহায় ভুক্তভোগীদের নিয়ে চলে কেনা বেচা ।

ইন্ডাস্ট্রিয়াল এলাকা হওয়ার সুবাদে উল্লেখিত থানা এলাকায় বসবাসকারী অধিকাংশ লোকজনই বিভিন্ন জেলার শ্রমজীবী মানুষ ,ভুক্তভোগীরা আইনি সেবা পেতে থানা এলাকায় প্রবেশ করতে না করতেই সম্মিলিত প্রতারক ও দালালগণ মৌমাছির মতো গুনগুন শব্দতুলে আকর্ষণ করে, তাদের মাঝে অন্যতম মৌ রাজা বাবুকর্তা, ভাবসাব এমন যে তিনি-ই থানার একমাত্র হর্তাকর্তা কিংবা আদালতের মহাসর্বা।

এ ব্যাপারে এডভোকেট ইউনুছ মিয়ার বক্তব্য হল একজন উকিল সহকারী হতে হলে শিক্ষাগত যোগ্যতা ও আদালত সহকারীদের এসোসিয়েশনের অনুমোদন পত্র বাধ্যতামূলক। তবে এর কোন বিষয়ে বাবু কর্তার জানা না থাকলেও বাকপটু এই বাবু কখনো উকিল সহকারী কখনো থানার বড়বাবু পরিচয় দিতে ভালো বাসেন,তাই আগত ভুক্তভোগীরা তাকে স্যার সম্বোধন করে কথা বলেন, এর যুক্তিগত কারণ ও আছে কার্যকারণে উল্লেখিত থানায় দীর্ঘদিন যাবত কর্মরত ডাকসাইটে পুলিশ অফিসারদের সহচর বলে কথা। বিভিন্ন মামলার অপরাপর আসামি ধরতে ছাড়তে তার মধ্যস্থতা বড় প্রয়োজন এমন কল্যাণকর পন্থা দেখে অন্যান্য কিছুসংখ্যক পুলিশ অফিসার গোপনে কিংবা প্রকাশ্যে তার সহযোগিতা কামনা করেন,যেহেতু তার এখানেই চলে বিভিন্ন ঘটনার আপোস মীমাংসার নামে বিচারিক কার্যক্রম । তার অবস্থান একজন এডভোকেটের সাজানো গোছানো ল-চেম্বারে যেখানে বসে এডভোকেটের অবর্তমানে ভুক্তভোগীদের নিয়ে শুনানি করে মামলা গ্রহণ করেন কিংবা থানা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করে রাইটার দিয়ে অভিযোগ লিখিয়ে অভিযোগ কফি ডিউটি অফিসারের নিকট পৌঁছে দিয়ে সেবা গ্রহণ করীর নিকট হতে অফিসারের নাম বলে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়ার গুরু দক্ষিণা ।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিভিন্ন সময়ে বাবু থানার অফিসারদের কে সঙ্গে নিয়ে এলাকায় প্রবেশ করে নিরীহ লোকজনদের টার্গেট করে মাদক ব্যবসায়ীর নাটক সাজিয়ে ২ পিস ইয়াবা ২পুরিয়া গাজা পকেটে ঢুকিয়ে কিংবা বাড়ি সার্চ করার নাম করে রুমে ঢুকে তল্লাশির নামে আসবাব পত্র খুঁজে টাকা পয়সা হাতিয়ে নেওয়া নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে । বাবুর কারনে ভুগছে সাধারণ মানুষ, যে কারণে তারা তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে মহান পুলিশের ঊর্ধ্বতন মহলের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন।