স্টাফ রিপোর্টারঃ মানিকগঞ্জের মিতরা এলাকায় এস আর ওয়াই নামে ইটভাটার মালিক সারোয়ার হোসেনের বিরোদ্ধে অগ্রীম ইট বিক্রি করে ৮ কোটি টাকা নিয়ে পালিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার বেতিলা মিতরা ইউনিয়নের মিতরা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ২৩ বছর আগে ইটভাটা তৈরী করে ব্যবসা চালিয়ে আসছিলো সারোয়ার হোসেন।
প্রতি বছর ইটভাটার মৌসুম শুরু হওয়ার আগেই স্থানীয় লোকজন ব্যাবসায়ীদের কাছ থেকে অগ্রিম ইট ক্রয় করে। গত মৌসুমেও স্থানীয় লোজনের কাছে আনুমানিক ৮ কোটি টাকার অগ্রীম ইট বিক্রি করে সারোয়ার।
ইটের মৌসুমে পাওনাদাররা ইট চাইতে গেলে আজ দিচ্ছি কাল দিচ্ছি বলে ঘুরাতে থাকে । এ বিষয় নিয়ে বিভিন্ন সময় গ্রাম্য সালিশ করেও কোন ফল পায়নি ভূক্তভোগীরা।
বেতিলা-মিতরা ইউনিয়নের ভুক্তভোগী শহিদুল ইসলাম জানান, আমি দুই বছর আগে ৮ লাখ ৫০ হাজার টাকার অগ্রিম ইট ক্রয় করি। ইটের মোওসুম শুরু হওয়ার পর আমার পাওনা ইট চাই। কিন্তু সে আজ কাল করে ঘুরাতে থাকে। মৌসুম শেষ হলেও কোন ইট দেয়নি।এখন শুনি সে পালিয়ে বিদেশে চলে গেছে। এখন আমি কিকরবো কিছুই বুঝে উঠতে পারছি না।
অপর এক ভুক্তভোগী মিতরা গ্রামের মোঃ আজিজুল হক জানান, ২০২২ সালে অগ্ৰীম ইট বিক্রির কথা বলে আমার কাছ থেকে ৫ লক্ষ টাকা নিয়েছে। ঐ বছর ইট না দিয়ে লাভসহ ছয় লাখ টাকা আসল ধরে পরবর্তী বছর ইট দেওয়ার কথা বলে। কিন্তু নতুন বছর শুরু হলেও তার ইটভাটা চালু করেনি। শুনেছি তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রেখে পালিয়ে সৌদি আরব চলে গেছে । পাওনা টাকার জন্য তার পরিবারের কাছে গেলেও তারা কোন কিছুই বলছে না। আমরা জানতে পেরেছি এলাকার দুই শতাধিক লোকের কাছে থেকে আনুমানিক ৮ কোটি টাকার অগ্রীম ইট বিক্রি করে টাকা নিয়ে পালিয়েছে।
একই গ্রামের আওলাদ হোসেন জানান,তার কাছ থেকে ব্যবসার লোভ দেখিয়ে ৮ লক্ষ টাকা নিয়েছে। এখন পর্যন্ত লাভও দেয়নি এবং আসল টাকাও দেয়নি।
পালড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকার ব্যবসায়ী মোহাম্মদ বিল্টু মিয়া জানান,তার পরিবারের কাছ থেকে ৩৫ লক্ষ টাকা ব্যবসার কথা বলে নিয়েছে। বর্তমানে সে ইটভাটা বন্ধ করে বিদেশে পালিয়েগেছে।
ইতিমধ্যে সকল ভুক্তভোগীরা পাওনা টাকার দাবিতে মানববন্ধন করেছে। এব্যপারে জেলা প্রশাসকের কাছে একটি স্মারকলিপি প্রদান করবে বলে ভুক্তভোগীরা জানান।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ ওমর ফারুক। প্রকাশক কর্তৃক বি,এস প্রিন্টিং প্রেস, ৫২/২ টয়েনবী সার্কুলার রোড , ঢাকা- ১২০৩ থেকে মুদ্রিত ও ২ আর কে মিশন রোড (৫ম তলা) থেকে প্রকাশিত।
© All rights reserved © 2017 Alokito Kantho