
আলোকিত কন্ঠ ডেস্কঃ চীনের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে বেইজিংয়ে রাষ্ট্রীয় সফর শেষে সম্প্রতি দেশে ফিরেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। তার এই সফরের আগে থেকেই প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সম্ভাব্য চীন সফর নিয়ে আলোচনা চলছে। মূলত বেইজিংয়ে আগামী ২৫-২৮ মার্চ অনুষ্ঠেয় বাও ফোরাম ফর এশিয়া (বিএফএ) সম্মেলনে ড. ইউনূসের উপস্থিতি আশা করছে চীন। এরই মধ্যে এই সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য চীনের পক্ষ থেকে অধ্যাপক ইউনূসকে আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণও জানানো হয়েছে। তবে যে সময়ে চীনে বিএফএ সম্মেলন হবে, সেই সময়ে বাংলাদেশে রয়েছে স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের রাষ্ট্রীয় আয়োজন। ফলে দেশে জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠান রেখে বেইজিংয়ের সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার যোগদান ঘিরে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা।
চীনের সফর শেষে দেশে ফিরে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা নানান বিষয়ে আলোচনা হওয়ার কথা জানালেও প্রধান উপদেষ্টার সম্ভাব্য চীন সফর নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি বলে জানান। তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্ভরযোগ্য সূত্র বলছে, প্রধান উপদেষ্টার চীন সফর নিয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সফরে আলোচনা হয়েছে এবং সম্ভাব্য এই সফর ঘিরে অনিশ্চয়তার কথাও চীনকে জানানো হয়েছে।
ওই সূত্র কালবেলাকে জানায়, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে আগামী মার্চে বেইজিংয়ে অনুষ্ঠেয় বিএফএ সম্মেলনে অংশ নিতে আমন্ত্রণ জানিয়েছে চীন। ড. ইউনূসকে নিতে চীন উড়োজাহাজ পাঠানোর আগ্রহও প্রকাশ করেছে। তবে ২৬ মার্চের জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানের কারণে প্রধান উপদেষ্টা চীন সফরে নাও যেতে পারেন বলে বেইজিংকে এরই মধ্যে জানিয়ে দিয়েছে ঢাকা।
সূত্র আরও জানায়, পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সফরে প্রধান উপদেষ্টার চীন সফরের বিষয়টি আলোচনায় আসে। সে সময়ে প্রধান উপদেষ্টাকে বিএফএ সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানানোয় ঢাকার পক্ষ থেকে বেইজিংয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানো হয়। একই সঙ্গে জানানো হয়, ২৬ মার্চের কর্মসূচি তার চীন সফরের সময়সূচিতে চ্যালেঞ্জ আনতে পারে। তবে প্রধান উপদেষ্টার বিএফএ সম্মেলনে অংশগ্রহণের সম্ভাবনা পরীক্ষা করা হচ্ছে জানিয়ে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানানো হয়, প্রফেসর ইউনূস বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের দৃঢ় অংশীদারিত্বকে গভীর করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি এই সময়ে আমন্ত্রণ গ্রহণ করতে না পারলে ভবিষ্যতে সুবিধাজনক সময়ে চীন সফর করতে আগ্রহী রয়েছেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা গত ২০-২৪ জানুয়ারি চীন সফর করেন। সেই সফরে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। তাদের বৈঠকের পর চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, চীনের প্রতিবেশী কূটনীতির ‘গুরুত্বপূর্ণ স্থানে’ রাখা হয়েছে বাংলাদেশকে। বাংলাদেশের জনগণের জন্য সুপ্রতিবেশীসুলভ ও বন্ধুত্বের নীতি অনুসরণ করে চীন।