রাউফুর রহমান পরাগঃ শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায় ঝুট ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুধু ঝুট ব্যবসা নয় পাশাপাশি বাসস্ট্যান্ড দখল, ফুটপাতে দোকান বসিয়ে চাঁদাবাজি সহ নানা অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। বিএনপি ও এর অংগসংগঠনের একাধিক নেতাকর্মীদের কারণে এ দ্বন্দ্ব চরমে উঠেছে।
নাম প্রকাশে একাধিক বিএনপি নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের পতন হয়। এরপরেও আওয়ামী লীগ ও বিভিন্ন এলাকায় ঘাপটি মেরে থাকা তাদের দোসররা বিএনপি’র নেতাকর্মীদের সাথে যোগসাজশ করে বিভিন্ন এলাকায় খুট ব্যবসা সহ নানা কর্মকান্ড করে যাচ্ছে। যা নিয়ে বিএনপি ও এর অংগসংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে।
এছাড়া ওই সব নেতাকর্মীরা নিজেদের আশুলিয়ার স্থানীয় বিএনপি এবং এর অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন পদের নেতা বলে নিজেদের প্রচার করলেও তাদের আদৌ কোন পদ রয়েছে কিনা সে ব্যাপারে নিশ্চিত কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। যার ফলে শিল্পাঞ্চলের বিভিন্ন গার্মেন্টস ব্যবসায়ীরা চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন গার্মেন্টস কর্মকর্তা জানান, ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের সময়ে যারা ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করেছে তারাই আবার ভোল পাল্টিয়ে স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মী পরিচয়দানকারী কিছু লোকের সাথে আতাত করে ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ করছে।
শিল্পাঞ্চল আশুলিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার বিএনপি নেতা পরিচয়দানকারী ইলিম মাদবর, তাজুল দেওয়ান, ইকবাল বেপারি এবং বাবুলের নেতৃত্বে একটি সংঘবদ্ধ দল এসব কর্মকান্ড করে যাচ্ছে বলে জানান বেশ কয়েকজন বিএনপি নেতা। তারা নিজেদেরকে যুবদলের বিভিন্ন পদের নেতৃবৃন্দ বলে দাবী করেন। আশুলিয়ার র্যাডিয়েন্স, পলমল, সিআইপিএল, মেহনাজ গার্মেন্টসসহ বিভিন্ন গার্মেন্টস-এর ঝুট ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ, ফুটপাতের দোকান নিয়ন্ত্রণ, বাসস্ট্যান্ডে চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকান্ডে এসব ব্যক্তিরা জড়িত বলে তারা জানান।
এব্যাপারে বিএনপি নেতা পরিচয়দানকারী ইলিম মাদবর জানান, হাসিনা সরকারের পতনের পর প্রথম দিকে আমরা কয়েকটা কারখানায় গিয়েছিলাম। কিন্তু আমরা কাউকে বের করে দিয়ে ব্যবসা নিতে যাইনি। এসব মিথ্যা বানোয়াট কথা।
বিষয়টি সম্পর্কে আশুলিয়া থানা বিএনপির সাধারন সম্পাদক হাজী আব্দুল গফুর মিয়ার কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি জানান, এব্যাপারে টেলিফোনে আমি কোন বক্তব্য দিব না। বক্তব্য নিতে হলে সামনে এসে নিতে হবে বলেই ফোনটি কেটে দেন তিনি।