নিজস্ব প্রতিবেদকঃ নারী ফুটবলে চলছে বিদ্রোহ। কোচ পিটার বাটলারের বিরুদ্ধে রয়েছেন ১৭ ফুটবলার।
এই কোচের অধীনে খেলবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন তারা। আজ বাটলার অনুশীলন করালেও বিদ্রোহী ১৭ নারী ফুটবলার অনুশীলন অংশ নেয়নি।
সাফের আগে থেকেই কোচের সঙ্গে নারী ফুটবলারদের দূরত্ব। পরে সাফের মাঝেই সেটি প্রকাশ্যে আসে।
সাফ চ্যাম্পিয়ন হলেও সাবিনা খাতুনরা নাখোশ ছিলেন কোচ বাটলারকে নিয়ে। বাফুফে খেলোয়াড়দের সমস্যার বিষয়টি গুরুত্ব না দিয়ে দুই বছরের জন্য কোচের সঙ্গে চুক্তি করে।
বাংলাদেশ জাতীয় নারী দলের অনুশীলন হয়েছে আজ সকালে। বিদ্রোহ করা ১৮ ফুটবলার ছাড়া বাকি ১৩ জনকে অনুশীলন করিয়েছেন কোচ পিটার বাটলার।
বাফুফে ৩১ জন ফুটবলারকে ক্যাম্পে ডেকেছিল। এর মধ্যে আনাই মগিনি এখনও যোগ দেননি। বাকি ৩০ জনের মধ্যে ১২ জন বাটলারের প্রথম অনুশীলন করেছেন। তারা হলেন- রিপা, আইরিন, কোহাতি কিসকু, প্রান্তি, স্বপ্না, ইয়ারজান, অর্পিতা, হালিমা, আকলিমা, মুনকি, সুরমা ও প্রীতি।
জাতীয় দলের বাকি ১৮ জন অনুশীলন বয়কট করেছেন। সাবিনা, কৃষ্ণা, মারিয়া, সানজিদা, মাসুরা, মারিয়া, মনিকা, ঋতুপর্ণা, রুপ্না চাকমার মতো সিনিয়র খেলোয়াড়ের পাশাপাশি আফিদা-নীলার মতো উঠতি কয়েকজনও আছেন এই বয়কটে।
তারা গত পরশু (বৃহস্পতিবার) আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দিয়েছেন বাটলারের অধীনে কোনও অনুশীলন করবেন না। তাকে বাফুফে কোচ পদে বহাল রাখলে তারা ফুটবল থেকেই সরে যাবেন। সেই অবস্থানে অনড় থাকায় আজ তারা অনুশীলনে উপস্থিত হননি।
কোচ-খেলোয়াড়দের মধ্যে এমন দ্বন্দ্ব নিয়ে বাফুফে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। তদন্ত কমিটির প্রধান ইমরুল হাসান শুক্রবার সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘মেয়েদের অবশ্যই বাংলাদেশের ফুটবলে একটা ভালো অবদান রয়েছে। কিন্তু ভালো অবদান থাকার পরেও কারও কাছে বাংলাদেশের ফুটবল জিম্মি হয়ে থাকবে সেটাও কিন্তু ঠিক না। সে কোচ, খেলোয়াড় ও কর্মকর্তা যিনিই হোন না কেন। আমরা আশা করছি, একটা সুন্দর সমাধানে পৌঁছাতে পারবো। ’
আজ বিকাল থেকে তদন্ত কমিটি সরাসরি সবার সঙ্গে কথা বলবে।