০৪:৫৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঝিকরগাছার শংকরপুরে কৃষি জমির মাটি বাণিজ্যের মহোৎসব

  • Reporter Name
  • প্রকাশের সময়ঃ ০৫:৪৩:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ২১৬ বার পড়া হয়েছে

 

মো. সোহাগ হোসেন, যশোরঃ যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার প্রত্যান্ত অঞ্চলে কৃষি জমি থেকে মাটি বাণিজ্যে তুঙ্গে উঠেছে। এসব জমির মাটি অবৈধ ট্রাক্টর ও ড্রাম ট্রাক দিয়ে বহন করে ইটভাটাসহ বিক্রি হচ্ছে অন্যত্র। অভিযোগ রয়েছে কতিপয় দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের সঙ্গে গোপন চুক্তিতে অবৈধ এই ব্যবসায় হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। আর দিনদিন ফসলের জমি হারাচ্ছে কৃষকরা।

সম্প্রতি সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শংকরপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গায় কৃষি জমির মাটি কাটার মহোৎসব মেতে ওঠেছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা।

এরমধ্যে কুলবাড়িয়া গ্রামের আব্দুস সামাদসহ বেশকয়েক ব্যক্তি এই ব্যবসায় আঙ্গুল ফলে কলাগাছ বনেছেন। এতে করে যেমন ক্ষতি হচ্ছে কৃষকের, তেমনি নষ্ট হচ্ছে কাঁচা-পাকা রাস্তা ও ধুলাবালিতে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ।

স্থানীয়রা বলছেন, অবৈধ মাটি ব্যবসায়ীরা দীঘদিন ধরে কৃষি জমি থেকে মাটি তুলে অন্যত্র বিক্রি করছে। প্রশাসনের তদারকির অভাবে দিন রাত সমান তালে চলছে কৃষি জমির মাটি কাটার মহোৎসব। এ সংক্রান্ত আইনি বিধিনিষেধ থাকলেও কেউই তা মানছে না। ফলে প্রতিদিন একরের পর একর কৃষি জমি হারিয়ে যাচ্ছে। কেও আবার তিন ফসলি জমি অবৈধভাবে মাটি খনন করে পুকুর বানাচ্ছে। এতে যেমন জমি উর্বরশক্তি হারাচ্ছে তেমনি ফসল উৎপাদন হ্রাস পাচ্ছে। জমি ৮ থেকে ১০ ফুট গভীর করে ফসলি জমির মাটি কাটা হচ্ছে। তারা এমন কাণ্ড লিপ্ত থাকলেও প্রশাসন নিরবতা পালন করছে বলে ভূক্তভোগিরা জানিয়েছে।

আনিছুর রহমান নামের এক উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা বলেন, কৃষি জমির মাটির উপরিভাগের ২ থেকে ৪ ইঞ্চি অংশকে টপ সয়েল বলা হয়। এই অংশে মাটির মূল উর্বরাশক্তি থাকে। এগুলো কেটে নিলে জমির ফসল উৎপাদন শক্তি হারাবে।

ঝিকরগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ভুপালি সরকার জানান, কৃষি জমি থেকে মাটি কেটে বিক্রি দণ্ডনীয় অপরাধ। এ বিষয়ে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয়

সাতক্ষীরা প্রেস ক্লাবে হামলা, ডিবিসি ও বেতারের সাংবাদিকসহ আহত ১০

ঝিকরগাছার শংকরপুরে কৃষি জমির মাটি বাণিজ্যের মহোৎসব

প্রকাশের সময়ঃ ০৫:৪৩:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

মো. সোহাগ হোসেন, যশোরঃ যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার প্রত্যান্ত অঞ্চলে কৃষি জমি থেকে মাটি বাণিজ্যে তুঙ্গে উঠেছে। এসব জমির মাটি অবৈধ ট্রাক্টর ও ড্রাম ট্রাক দিয়ে বহন করে ইটভাটাসহ বিক্রি হচ্ছে অন্যত্র। অভিযোগ রয়েছে কতিপয় দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের সঙ্গে গোপন চুক্তিতে অবৈধ এই ব্যবসায় হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। আর দিনদিন ফসলের জমি হারাচ্ছে কৃষকরা।

সম্প্রতি সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শংকরপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গায় কৃষি জমির মাটি কাটার মহোৎসব মেতে ওঠেছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা।

এরমধ্যে কুলবাড়িয়া গ্রামের আব্দুস সামাদসহ বেশকয়েক ব্যক্তি এই ব্যবসায় আঙ্গুল ফলে কলাগাছ বনেছেন। এতে করে যেমন ক্ষতি হচ্ছে কৃষকের, তেমনি নষ্ট হচ্ছে কাঁচা-পাকা রাস্তা ও ধুলাবালিতে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ।

স্থানীয়রা বলছেন, অবৈধ মাটি ব্যবসায়ীরা দীঘদিন ধরে কৃষি জমি থেকে মাটি তুলে অন্যত্র বিক্রি করছে। প্রশাসনের তদারকির অভাবে দিন রাত সমান তালে চলছে কৃষি জমির মাটি কাটার মহোৎসব। এ সংক্রান্ত আইনি বিধিনিষেধ থাকলেও কেউই তা মানছে না। ফলে প্রতিদিন একরের পর একর কৃষি জমি হারিয়ে যাচ্ছে। কেও আবার তিন ফসলি জমি অবৈধভাবে মাটি খনন করে পুকুর বানাচ্ছে। এতে যেমন জমি উর্বরশক্তি হারাচ্ছে তেমনি ফসল উৎপাদন হ্রাস পাচ্ছে। জমি ৮ থেকে ১০ ফুট গভীর করে ফসলি জমির মাটি কাটা হচ্ছে। তারা এমন কাণ্ড লিপ্ত থাকলেও প্রশাসন নিরবতা পালন করছে বলে ভূক্তভোগিরা জানিয়েছে।

আনিছুর রহমান নামের এক উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা বলেন, কৃষি জমির মাটির উপরিভাগের ২ থেকে ৪ ইঞ্চি অংশকে টপ সয়েল বলা হয়। এই অংশে মাটির মূল উর্বরাশক্তি থাকে। এগুলো কেটে নিলে জমির ফসল উৎপাদন শক্তি হারাবে।

ঝিকরগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ভুপালি সরকার জানান, কৃষি জমি থেকে মাটি কেটে বিক্রি দণ্ডনীয় অপরাধ। এ বিষয়ে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।