০৮:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫, ১২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আশুলিয়ায় ঝুট ব্যবসা নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ , আটক ৬

  • Reporter Name
  • প্রকাশের সময়ঃ ১২:১৪:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ৩২৪ বার পড়া হয়েছে

 

রাউফুর রহমান পরাগঃ আশুলিয়ায় পোশাক কারখানার ঝুট ব্যবসা দখলকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ‍্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় দুই রাউন্ড গুলি ও চারটি হাতবোমা বিস্ফোরণ ঘটানো হয় । এতে উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।
পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৬ জনকে আটক ও বেশ কিছু লোহার পাইপ, লাঠিশোঠাসহ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে। মঙ্গলবার আশুলিয়ার ডিইপিজেড এলাকার পাশে অবস্থিত প্রডেন্ট ফ্যাশন লিমিটেড কারখানার সামনে এঘটনা ঘটে।

আটককৃতরা হলেন, ইকরামুল ইসলাম (২৮), নূর আলম (২৪), আলম খন্দকার (৩৯), মো: পলাশ (৩৩), আবু বক্কর সিদ্দিক (৪৭) ও মোক্তার হোসেন (৩৩)।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দুপুরের দিকে হারুন মন্ডল নামের এক ব্যক্তি বিএনপি নেতা পরিচয় দিয়ে লোকজন নিয়ে প্রডেন্ট ফ্যাশন লিমিটেড কারখানার সামনে ঝুট স্থানান্তরের কাজ করতে আসে। এসময় আলমগীর হোসেন নামে বিএনপির অপর একটি গ্রুপদেশী-বিদেশী অস্ত্র নিয়ে তাদের উপর
হামলা চালায়। এসময় দুই রাউন্ড গুলি ছুড়ে আতংক সৃষ্টি করে। এতে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা শুরু হয়। পর পর চারটি হাতবোমা বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক বিএনপি নেতা বলেন, সকাল থেকে ঝুট স্থানান্তরের কাজ করছিলেন বিএনপি নেতা হারুন মন্ডল। দুপুরের পরে বিএনপির সাবেক সাংসদ ডা. দেওয়ান মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বাবুর অনুসারী পরিচয়ে স্থানীয় ক্যাডার আলমগীর হোসেন, রিয়াদ মোল্লা, দেওয়ানসহ প্রায় ৩০ থেকে ৩৫জন লোক নিয়ে হামলা চালায়। তখন তারা দুই রাউন্ড গুলি ও চারটি হাতবোমা বিস্ফোরন ঘটায়। এতে আমাদের বেশ কয়েকজন আহত হয়। পরে ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যায়।

তবে বিএনপির সাবেক সংসদ সদস‍্যের অনুসারী আলমগীর হোসেন বলেন, আমাদের নামে কারখানার সাথে চুক্তি হয়। সেই চুক্তি অনুসারে মালামাল বের করার কাজ করতে যাই। কিন্ত এর আগে থেকে দেশী-বিদেশী অস্ত্র নিয়ে আমাদের ধাওয়া দিলে আমরা পালিয়ে যাই। পরে শুনতে পারি আমরাই নাকি গুলি ছুড়েছি।

সংঘর্ষের বিষয়টি নিশ্চিত করে আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূরে আলম সিদ্দিক বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি । পরে ঘটনাস্থলের পাশের একটি বাড়ি থেকে ৬ জনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। এসময় তাদের হেফাজত থেকে বেশ কিছু লোহার পাইপ, লাঠিশোঠাসহ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে । এব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয়

সাতক্ষীরায় মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা 

আশুলিয়ায় ঝুট ব্যবসা নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ , আটক ৬

প্রকাশের সময়ঃ ১২:১৪:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

রাউফুর রহমান পরাগঃ আশুলিয়ায় পোশাক কারখানার ঝুট ব্যবসা দখলকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ‍্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় দুই রাউন্ড গুলি ও চারটি হাতবোমা বিস্ফোরণ ঘটানো হয় । এতে উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।
পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৬ জনকে আটক ও বেশ কিছু লোহার পাইপ, লাঠিশোঠাসহ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে। মঙ্গলবার আশুলিয়ার ডিইপিজেড এলাকার পাশে অবস্থিত প্রডেন্ট ফ্যাশন লিমিটেড কারখানার সামনে এঘটনা ঘটে।

আটককৃতরা হলেন, ইকরামুল ইসলাম (২৮), নূর আলম (২৪), আলম খন্দকার (৩৯), মো: পলাশ (৩৩), আবু বক্কর সিদ্দিক (৪৭) ও মোক্তার হোসেন (৩৩)।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দুপুরের দিকে হারুন মন্ডল নামের এক ব্যক্তি বিএনপি নেতা পরিচয় দিয়ে লোকজন নিয়ে প্রডেন্ট ফ্যাশন লিমিটেড কারখানার সামনে ঝুট স্থানান্তরের কাজ করতে আসে। এসময় আলমগীর হোসেন নামে বিএনপির অপর একটি গ্রুপদেশী-বিদেশী অস্ত্র নিয়ে তাদের উপর
হামলা চালায়। এসময় দুই রাউন্ড গুলি ছুড়ে আতংক সৃষ্টি করে। এতে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা শুরু হয়। পর পর চারটি হাতবোমা বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক বিএনপি নেতা বলেন, সকাল থেকে ঝুট স্থানান্তরের কাজ করছিলেন বিএনপি নেতা হারুন মন্ডল। দুপুরের পরে বিএনপির সাবেক সাংসদ ডা. দেওয়ান মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বাবুর অনুসারী পরিচয়ে স্থানীয় ক্যাডার আলমগীর হোসেন, রিয়াদ মোল্লা, দেওয়ানসহ প্রায় ৩০ থেকে ৩৫জন লোক নিয়ে হামলা চালায়। তখন তারা দুই রাউন্ড গুলি ও চারটি হাতবোমা বিস্ফোরন ঘটায়। এতে আমাদের বেশ কয়েকজন আহত হয়। পরে ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যায়।

তবে বিএনপির সাবেক সংসদ সদস‍্যের অনুসারী আলমগীর হোসেন বলেন, আমাদের নামে কারখানার সাথে চুক্তি হয়। সেই চুক্তি অনুসারে মালামাল বের করার কাজ করতে যাই। কিন্ত এর আগে থেকে দেশী-বিদেশী অস্ত্র নিয়ে আমাদের ধাওয়া দিলে আমরা পালিয়ে যাই। পরে শুনতে পারি আমরাই নাকি গুলি ছুড়েছি।

সংঘর্ষের বিষয়টি নিশ্চিত করে আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূরে আলম সিদ্দিক বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি । পরে ঘটনাস্থলের পাশের একটি বাড়ি থেকে ৬ জনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। এসময় তাদের হেফাজত থেকে বেশ কিছু লোহার পাইপ, লাঠিশোঠাসহ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে । এব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।