আলোকিত কন্ঠ ডেস্কঃ হামাস যদি বন্দি মুক্তি না করে উপত্যকাটি ইসরায়েলের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর রূপ দেখবে- বন্দি বিনিময় চুক্তি প্রসঙ্গে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর এমন হুমকির পর পাল্টা বিবৃতি দিয়েছে হামাস। ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সংগঠনটি বলছে, যুদ্ধবিরতি চুক্তির যেকোনো জটিলতা বা বিলম্বের জন্য ইসরায়েল দায়ী।
গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রতি হামাসের প্রতিশ্রুতি আগের মতোই আছে।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) কাতারের সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।
খবরে বলা হয়, সোমবার থেকে মঙ্গলবার একের পর এক এক্স পোস্টে হামাসকে হুমকি দিয়ে আসছেন নেতানিয়াহু। তার ভাষ্য, যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে গাজায় আটক থাকা ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি ‘অনির্দিষ্টকালের’ জন্য স্থগিত করেছে হামাস।
তিনি হুমকি দিয়ে বলেন, যদি শনিবার দুপুরে হামাস আমাদের বন্দিদের ফিরিয়ে না দেয় তাহলে যুদ্ধবিরতি শেষ হয়ে যাবে। এবং হামাস শেষ পর্যন্ত পরাজিত না হওয়া পর্যন্ত ইসরায়েলি সেনাবাহিনী তীব্র লড়াইয়ে ফিরে যাবে।
তিনি এও বলেন, হামাস যতক্ষণ না পর্যন্ত চূড়ান্তভাবে পরাজিত হচ্ছে, ততক্ষণ ইসরায়েলি বাহিনী যুদ্ধ করবে। যদি শনিবারের মধ্যে হামাস তাদের কাছে আটকে রাখা ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি না দেয় তাহলে গাজায় আবার যুদ্ধ শুরু হবে।
এর পরই হামাস বিবৃতি দেয়। সংগঠনটি বলছে, গাজা যুদ্ধবিরতির চুক্তির শর্তাবলী পালন করতে ব্যর্থ হয়েছে ইসরায়েলই। তারা তাদের প্রতিশ্রুতি পালন করেনি। যেকোনো জটিলতা বা বিলম্বের জন্য পূর্ণ দায়ভার বহন করে ইসরায়েলই।
এর আগে ইসরায়েল যুদ্ধ বিরতি চুক্তির মূল বিধান লঙ্ঘন করেছে বলে অভিযোগ তোলে হামাস। এতে প্রশ্নবিদ্ধ হয় চলমান যুদ্ধবিরতির ধারাবাহিকতা। আগামী শনিবার গাজায় আটক থাকা তিন বন্দির মুক্তির কথা রয়েছে। এদিন ফিলিস্তিনি বন্দিদেরও মুক্তির কথা রয়েছে।
চুক্তির মূল বিধান লঙ্ঘন প্রসঙ্গে হামাস বলেছে, এটি এমন পর্যায়ে গেছে যেখানে আর দর কষাকষির সুযোগ নেই। ইসরায়েলি বন্দিদের আসন্ন মুক্তি অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার হামাসের সশস্ত্র শাখা কাসাম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু ওবেইদা এ ব্যাপারে একটি বিবৃতি দেন। তিনি বলেন, শত্রুপক্ষের চুক্তি লঙ্ঘন ও শর্তাবলীর প্রতি তারা যে সম্মতি দেখাচ্ছে না, সেটি প্রতীয়মান। আমরা বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করেছি। কিন্তু হামাস তার বাধ্যবাধকতা পূরণ করে চলেছে।
হামাসের ভাষ্য, ইসরায়েল সব বাধ্যবাধকতা ঠিক মতো মেনে চললে বন্দি বিনিময়ের দরজা খোলা। যদি তা না হয়, এটা আপাতত এখানেই শেষ হচ্ছে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ ওমর ফারুক। প্রকাশক কর্তৃক বি,এস প্রিন্টিং প্রেস, ৫২/২ টয়েনবী সার্কুলার রোড , ঢাকা- ১২০৩ থেকে মুদ্রিত ও ২ আর কে মিশন রোড (৫ম তলা) থেকে প্রকাশিত।
© All rights reserved © 2017 Alokito Kantho