ধামরাইয়ের কালামপুর সাব রেজিস্ট্রার অফিসের সামনে সৌন্দর্য বর্ধনে ফুলের বাগান।
ধামরাই প্রতিনিধি:
ঢাকার ধামরাইয়ের কালামপুর সাব রেজিস্ট্রার অফিসে এক সময় ছিল দূর্নীতির আতর ঘর। নতুন সাব রেজিস্ট্রার মন্জুরুল ইসলাম আসার পরে দূর্নীতির বেড়াজাল ভেঙে প্রাণবন্ত করে তুলেছে কালামপুর সাব রেজিস্ট্রার অফিস। সরকারি ফিসের বাইরে অতিরিক্ত টাকা গুনতে হয় না সেবা গ্রহীতাদের। আগের যে কোন সময়ের চেয়ে উন্নত সেবা পাচ্ছে জমি ক্রেতা বিক্রেতারা। সাব রেজিস্ট্রারের সহজ সরল আচরণে অত্যান্ত খুশি দলিল লেখকেরা। নতুন রুপে সাজিয়েছে অফিস প্রঙ্গন। ব্যাক্তিগত অর্থায়নে অফিস প্রাঙ্গণে করেছেন ফল ও ফুলের বাগান।
ধামরাইয়ের কালামপুর সাব রেজিস্ট্রার অফিসে দূর্নীতি মুক্ত করতে সাব রেজিস্ট্রার মঞ্জরুল ইসলামের চেষ্টার কোন ত্রুটি নেই। দলিল লেখক ও সেবা গ্রহীতারা যাতে কোন প্রকার হয়রানীর শিকার না হয় সে দিকে খেয়াল রেখেই কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। সৌন্দর্য বর্ধনেও পিছনে নেই কালামপুর সাব রেজিস্ট্রার অফিসের সামনে খালি জায়গায় গড়ে তুলেছেন ফুলের বাগান।
জমির দলিল করতে আসা আব্দুল হামিদ বলেন, আমি এর আগেও একটি জমি ক্রয় করেছি। তখন আসছিলাম দলিল করতে কিন্তু তখনকার অফিসের পরিবেশ কেমন যেনো ছিলো। অতিরিক্ত টাকা দিয়ে দলিল করতে হয়েছে। এসেছিলাম সকাল ১০ টার সময় কিন্তু যেতে হয়েছে রাত আটটার সময়। এখন এসব কোন সমস্যাই নাই। অফিসের সামনেও দেখি সুন্দর ফল ফুলের বাগান করা হয়েছে। দেখতে অনেক সুন্দর লাগছে। এখন মনে হচ্ছে এটা একটা অফিস।
দলিল লেখক মো: আমিনুর রহমান বলেন, আগের স্যার থাকতে আমাদের অনেক সমস্যা করতেন। অতিরিক্ত টাকা নিতেন। দলিল নিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা দাড়িয়ে থাকতে হতো। কিন্তু এখন এমন কোন সমস্যা হয় না। এখনকার স্যার অনেক আন্তরিক, অতিরিক্ত কোন টাকা দিতে হয় না কোন ঝামেলা নাই। কাগজপত্র ঠিক থাকলে অল্প সময়েই দলিল সম্পূর্ণ করা যায়।
সেবা নিতে আশা জমির ক্রেতা ও দলিল লেখকরা জানান বিগত দিন গুলোর চেয়ে বর্তমান সাব রেজিস্ট্রার অনেক ভাল। ইতিপুর্বে জমি রেজিষ্ট্রেশন করতে ঘন্টার পর ঘন্টা দাডিয়ে থাকতে হতো এখন আর দাড়িয়ে থাকতে হয় না কোন প্রকার অতিরিক্ত অর্থও গুনতে হয় না। বর্তমান সময়ে আমারা কাজ করতে পেরে স্বাচ্ছন্দ বোধ করছি। এই সাব রেজিস্ট্রার থাকলে আশা করি কেউ ভোগান্তির শিকার হবে না। তবে নাম জারি করার সার্ভার ঠিক না হওয়াতে দলিল কম হচ্ছে এবং সরকার হাতড়াচ্ছ রাজস্ব।
কালামপুর সাব রেজিস্ট্রার অফিসার মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, আমি সবসময়ই চেষ্টা করি অফিস সুন্দর রাখতে। সামনে কিছু ফুল ও ফল গাছ লাগিয়েছি। এখন দেখতে অনেক সুন্দর লাগে। লোকজনদের বসার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। কারো যেনো কোন কষ্ট না হয়। আর আমি প্রতিদিন ৯টার সময় অফিসে আসি। টাইম মত অফিসে আসার কারণে দলিলও সব আগে আগেই হয়ে যায় কোন সমস্যা হয় না।
তিনি আরো বলেন, কিছুদিন আগে অডিটর সাহেবরা আসছিলেন তারা একটি আপত্তি করে গেছেন। সেটা হচ্ছে আমরা সাধারণ রেটেই ৫০ লাখ টাকার একটি দলিল করলাম। ব্যাংক সেটার উপর এক কোটি টাকা লোন দিয়ে দিছে। এটা তো ব্যাংকের বিষয়। আমরা তো সাধারণ যে রেট আছে সেই রেটেই দলিল করেছি। এখন ব্যাংক যদি এক কোটি টাকা লোন দেয় সেটা তো তাদের বিষয়। এবিষয়ে আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি তারা যদি এটা ব্যাংকে পাঠিয়ে দেয় তাহলে ব্যাংকের নীতিনির্ধারকেরা এটা নিয়ে কথা বলবে। আমি থাকাকালীন দূর্নীতির কোন সুযোগ এখানে হবে না ইনশাআল্লাহ।