১২:৫৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আশুলিয়ায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ শিউলি মারা গেলেন

  • Reporter Name
  • প্রকাশের সময়ঃ ১০:২৫:২৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ১২৬ বার পড়া হয়েছে

আলোকিত কন্ঠ ডেস্কঃ সাভারের আশুলিয়ায় গ্যাস সিলিন্ডার থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় শিউলি আক্তার নামে একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এ দুর্ঘটনায় এখনও আশঙ্কাজনক ৮ জনসহ ১০ জন জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি রয়েছেন।

চিকিৎসকরা জানান, শরীরের ৯৫ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে গতরাতে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন শিউলি আক্তার। ভর্তি রয়েছে তার দুই ছেলে ও স্বামীসহ ১০ জন।

এর আগে শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় শবে বরাত উপলক্ষে দুই ভাই সোহেল ও সুমনের পরিবার একত্রিত হয়েছিল একই ফ্ল্যাটে। স্বজনরা জানান, সেখানেই সিলিন্ডারের গ্যাস লিকেজ হয়ে ঘটে বিস্ফোরণ। মাটিতে লুটিয়ে পড়ে নারী ও শিশুসহ ১১ জন।

পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে নিয়ে যান আশুলিয়া নারী ও শিশু হাসপাতালে। সেখান থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাদের পাঠানো হয় জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে।

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে গিয়ে দেখা যায়, ৮ মাসের এক শিশু যন্ত্রণায় কাবু। স্বজনের কোলে শুয়ে করছে মায়ের অপেক্ষা। অবুঝ শিশুটি জানে না, মায়ের দেহও ঝলসে গেছে আগুনে। ইচ্ছা ছিল এক ছাদের নিচে ইবাদত-বন্দেগিতে মুক্তির মহিমান্বিত রাত কাটাবেন দুই ভাইয়ের পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু নিয়তির নির্মমতায় সবাই মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন হাসপাতালের বিছানায়। এরইমধ্যে মারা গেছেন একজন।

চিকিৎসকরা জানান, দগ্ধদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। বাকি ৮ জনের অবস্থাও গুরুতর। আশঙ্কাজনক ৩ জনের মধ্যে শিউলি আক্তার রাতে মারা গেছেন।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয়

চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুর দিন গুনছে ১২ বছরের সামিয়া, সাহায্য চেয়ে বাবা-মার আকুতি

আশুলিয়ায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ শিউলি মারা গেলেন

প্রকাশের সময়ঃ ১০:২৫:২৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

আলোকিত কন্ঠ ডেস্কঃ সাভারের আশুলিয়ায় গ্যাস সিলিন্ডার থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় শিউলি আক্তার নামে একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এ দুর্ঘটনায় এখনও আশঙ্কাজনক ৮ জনসহ ১০ জন জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি রয়েছেন।

চিকিৎসকরা জানান, শরীরের ৯৫ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে গতরাতে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন শিউলি আক্তার। ভর্তি রয়েছে তার দুই ছেলে ও স্বামীসহ ১০ জন।

এর আগে শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় শবে বরাত উপলক্ষে দুই ভাই সোহেল ও সুমনের পরিবার একত্রিত হয়েছিল একই ফ্ল্যাটে। স্বজনরা জানান, সেখানেই সিলিন্ডারের গ্যাস লিকেজ হয়ে ঘটে বিস্ফোরণ। মাটিতে লুটিয়ে পড়ে নারী ও শিশুসহ ১১ জন।

পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে নিয়ে যান আশুলিয়া নারী ও শিশু হাসপাতালে। সেখান থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাদের পাঠানো হয় জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে।

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে গিয়ে দেখা যায়, ৮ মাসের এক শিশু যন্ত্রণায় কাবু। স্বজনের কোলে শুয়ে করছে মায়ের অপেক্ষা। অবুঝ শিশুটি জানে না, মায়ের দেহও ঝলসে গেছে আগুনে। ইচ্ছা ছিল এক ছাদের নিচে ইবাদত-বন্দেগিতে মুক্তির মহিমান্বিত রাত কাটাবেন দুই ভাইয়ের পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু নিয়তির নির্মমতায় সবাই মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন হাসপাতালের বিছানায়। এরইমধ্যে মারা গেছেন একজন।

চিকিৎসকরা জানান, দগ্ধদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। বাকি ৮ জনের অবস্থাও গুরুতর। আশঙ্কাজনক ৩ জনের মধ্যে শিউলি আক্তার রাতে মারা গেছেন।