০৬:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ০২ জুন ২০২৫, ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নতুন আঙ্গিকে ঋতাভরীর আগমন ঘটছে যে সিনেমার মাধ্যমে 

  • Reporter Name
  • প্রকাশের সময়ঃ ০৭:৪৪:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ৭৮ বার পড়া হয়েছে

আলোকিত কন্ঠ ডেস্কঃ সময়ের আলোচিত অভিনেত্রী ঋতাভরীকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ভাবে দেখা গেলেও এবার তার আগমন ঘটছে সম্পুর্ণ নতুন আঙ্গিকে।  সেটাই দেখা গেল প্রেম দিবসে প্রকাশ্যে আসা তার আগামী সিনেমা ‘গৃহস্থ’-এর টিজারে।

এক ঘটনা পর্দার ‘অপর্ণা’র সঙ্গেও ঘটেছে। যার জেরে মিশুকে মেয়েটি আচমকা বদলে গেছে। সারাক্ষণ একমাত্র সন্তানের জীবনহানির শঙ্কায় কাঁটা। ভয়ে ঘরের বাইরে পা রাখতে চায় না। লোকে তাকে ‘পাগলি’ বলে! সেই মেয়েটিই পড়শি হয়ে আসা এক এক মেয়ের জীবন রক্ষা করতে গিয়ে কত বড় অসাধ্য সাধন করেছে— তারই গল্প এই ছবি। অপর্ণা ঘর থেকে বেরোয় না বলেই সে গৃহস্থ। সেই নামে সিনেমার নাম বলে জানান ঋতাভরী।

ছবিতে তিনি ছাড়াও আছেন কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, সৌরভ দাস, সাহেব ভট্টাচার্য, অনুষা বিশ্বনাথনসহ আরও অনেকে। বিদেশে পুরো ছবির শুটিং হয়েছে। অভিনেত্রীর দাবি, ছকভাঙা কিছু করবেন— এই ভাবনা গোটা দলের ছিল। তাই প্রত্যেকে মানসিক দিক থেকে জড়িয়ে পড়েছিলেন ‘গৃহস্থ’-র সঙ্গে। যেমন— মৈনাক পরিচালনার পাশাপাশি লাইট দেখেছেন। ঋতাভরী অভিনয়ের পাশাপাশি পোশাক বা দৃশ্যে ব্যবহৃত মুখোশ বেছে জোগাড় করেছেন। অ্যাকশন দৃশ্যে সবার অভিনয় কেমন হবে, তার পরামর্শ দিয়েছেন সাহেব।

সিনেবোদ্ধাদের মতে, সম্ভবত ‘বহুরূপী’তে ‘পরী’ চরিত্র দিয়ে পর্দায় জটিল মনস্তাত্ত্বিক চরিত্রে অভিনয়ের হাতেখড়ি ঋতাভরী। টিজার বলছে, ‘গৃহস্থ’ও প্রায় একই ধাঁচের। আগের সেই ‘বাবলি গার্ল’ ঋতাভরী কি উধাও? আর ফিরবে না সে?

এমন প্রশ্ন শুনে বড় করে শ্বাস নিয়ে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, ‘গৃহস্থ’ উইন্ডোজ প্রযোজনা সংস্থার ছবি ‘বহুরূপী’র আগে নির্মিত। চরিত্র দুটোয় ফারাক রয়েছে। যেমন নতুন ছবিতে ‘অপর্ণা’ মানসিক আঘাতে বদলে গেছে। সে মানসিক রোগী নয়। ‘বহুরূপী’র ‘পরী’ কিন্তু বাইপোলার ডিজঅর্ডার এবং স্ক্রিৎজোফ্রিনিয়ার শিকার। তাকে ওষুধ খেয়ে সুস্থ থাকতে হয়। তবে দুটো চরিত্রেই যে জটিল মানসিক অবস্থার ছোঁয়া রয়েছে এবং চরিত্র দুটো তাকে নিংড়ে নিয়েছে, মনের ওপরে চাপ ও ছাপ ফেলে গেছে, তা অস্বীকার করেননি। ‘হইচই ওয়েব প্ল্যাটফর্মের জন্য যে সিরিজে অভিনয় করছি, তাতে আমি বিধবার চরিত্রে। পরের আর একটি সিনেমাতেও তাই-ই।

অনবরত এ ধরনের চরিত্র করতে ভালো লাগে? আগের মতো হাসিখুশি মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করতে চাই। পটের বিবি সেজে নায়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকতেও আপত্তি নেই। কিন্তু কোথাও বোধহয় পরিচালকদের চোখে আমি আগের তুলনায় পরিণত হয়ে গেছি। যার জেরে তারা মনে করছেন, শক্ত চরিত্র, তাতে মনস্তত্ত্বের প্রলেপ মানেই ঋতাভরী!

অভিনেত্রীর মতে, পরিচালকদের এই ভাবনা একাধারে তার জন্য আশীর্বাদ এবং অভিশাপও। নিত্যনতুন কঠিন ও জটিল চরিত্রে অভিনয়ের খিদে বাড়ছে তার। সম্পর্কের নানা স্তর এ ধারার চরিত্রের মাধ্যমে আবিষ্কার করতে পারছেন। দর্শকও ইদানীং তাই বদলে যাওয়া ঋতাভরীকে দেখতেই আগ্রহী।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয়

বুড়িমারী স্থলবন্দরে ১০ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ

নতুন আঙ্গিকে ঋতাভরীর আগমন ঘটছে যে সিনেমার মাধ্যমে 

প্রকাশের সময়ঃ ০৭:৪৪:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

আলোকিত কন্ঠ ডেস্কঃ সময়ের আলোচিত অভিনেত্রী ঋতাভরীকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ভাবে দেখা গেলেও এবার তার আগমন ঘটছে সম্পুর্ণ নতুন আঙ্গিকে।  সেটাই দেখা গেল প্রেম দিবসে প্রকাশ্যে আসা তার আগামী সিনেমা ‘গৃহস্থ’-এর টিজারে।

এক ঘটনা পর্দার ‘অপর্ণা’র সঙ্গেও ঘটেছে। যার জেরে মিশুকে মেয়েটি আচমকা বদলে গেছে। সারাক্ষণ একমাত্র সন্তানের জীবনহানির শঙ্কায় কাঁটা। ভয়ে ঘরের বাইরে পা রাখতে চায় না। লোকে তাকে ‘পাগলি’ বলে! সেই মেয়েটিই পড়শি হয়ে আসা এক এক মেয়ের জীবন রক্ষা করতে গিয়ে কত বড় অসাধ্য সাধন করেছে— তারই গল্প এই ছবি। অপর্ণা ঘর থেকে বেরোয় না বলেই সে গৃহস্থ। সেই নামে সিনেমার নাম বলে জানান ঋতাভরী।

ছবিতে তিনি ছাড়াও আছেন কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, সৌরভ দাস, সাহেব ভট্টাচার্য, অনুষা বিশ্বনাথনসহ আরও অনেকে। বিদেশে পুরো ছবির শুটিং হয়েছে। অভিনেত্রীর দাবি, ছকভাঙা কিছু করবেন— এই ভাবনা গোটা দলের ছিল। তাই প্রত্যেকে মানসিক দিক থেকে জড়িয়ে পড়েছিলেন ‘গৃহস্থ’-র সঙ্গে। যেমন— মৈনাক পরিচালনার পাশাপাশি লাইট দেখেছেন। ঋতাভরী অভিনয়ের পাশাপাশি পোশাক বা দৃশ্যে ব্যবহৃত মুখোশ বেছে জোগাড় করেছেন। অ্যাকশন দৃশ্যে সবার অভিনয় কেমন হবে, তার পরামর্শ দিয়েছেন সাহেব।

সিনেবোদ্ধাদের মতে, সম্ভবত ‘বহুরূপী’তে ‘পরী’ চরিত্র দিয়ে পর্দায় জটিল মনস্তাত্ত্বিক চরিত্রে অভিনয়ের হাতেখড়ি ঋতাভরী। টিজার বলছে, ‘গৃহস্থ’ও প্রায় একই ধাঁচের। আগের সেই ‘বাবলি গার্ল’ ঋতাভরী কি উধাও? আর ফিরবে না সে?

এমন প্রশ্ন শুনে বড় করে শ্বাস নিয়ে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, ‘গৃহস্থ’ উইন্ডোজ প্রযোজনা সংস্থার ছবি ‘বহুরূপী’র আগে নির্মিত। চরিত্র দুটোয় ফারাক রয়েছে। যেমন নতুন ছবিতে ‘অপর্ণা’ মানসিক আঘাতে বদলে গেছে। সে মানসিক রোগী নয়। ‘বহুরূপী’র ‘পরী’ কিন্তু বাইপোলার ডিজঅর্ডার এবং স্ক্রিৎজোফ্রিনিয়ার শিকার। তাকে ওষুধ খেয়ে সুস্থ থাকতে হয়। তবে দুটো চরিত্রেই যে জটিল মানসিক অবস্থার ছোঁয়া রয়েছে এবং চরিত্র দুটো তাকে নিংড়ে নিয়েছে, মনের ওপরে চাপ ও ছাপ ফেলে গেছে, তা অস্বীকার করেননি। ‘হইচই ওয়েব প্ল্যাটফর্মের জন্য যে সিরিজে অভিনয় করছি, তাতে আমি বিধবার চরিত্রে। পরের আর একটি সিনেমাতেও তাই-ই।

অনবরত এ ধরনের চরিত্র করতে ভালো লাগে? আগের মতো হাসিখুশি মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করতে চাই। পটের বিবি সেজে নায়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকতেও আপত্তি নেই। কিন্তু কোথাও বোধহয় পরিচালকদের চোখে আমি আগের তুলনায় পরিণত হয়ে গেছি। যার জেরে তারা মনে করছেন, শক্ত চরিত্র, তাতে মনস্তত্ত্বের প্রলেপ মানেই ঋতাভরী!

অভিনেত্রীর মতে, পরিচালকদের এই ভাবনা একাধারে তার জন্য আশীর্বাদ এবং অভিশাপও। নিত্যনতুন কঠিন ও জটিল চরিত্রে অভিনয়ের খিদে বাড়ছে তার। সম্পর্কের নানা স্তর এ ধারার চরিত্রের মাধ্যমে আবিষ্কার করতে পারছেন। দর্শকও ইদানীং তাই বদলে যাওয়া ঋতাভরীকে দেখতেই আগ্রহী।